জাতিসংঘে ‘ইসলামভীতি’ সমাধান প্রস্তাব, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা তুঙ্গে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামভীতির বিরুদ্ধে লড়াই উপলক্ষে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘ইসলামভীতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ’ নিয়ে প্রস্তাব তুলে পাকিস্তান। সম্প্রতি ভারতের বিতর্কিত রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা, নাগরিকত্ব আইন কার্যকর ও ইসলামভীতির প্রসঙ্গ টানলেই চিরপ্রতিদ্বন্দী পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

রোববার (১৭ মার্চ) ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৫ মার্চ) একটি ভোটাভুটির মাধ্যমে ‘ইসলামোফোবিয়া মোকাবিলার পদক্ষেপ’ শীর্ষক প্রস্তাবের পক্ষে ১১৫ দেশ ভোট দিয়েছে। তবে পাকিস্তানের উদ্যোগে উত্থাপিত এই প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্যসহ ৪৪টি দেশ। 

প্রস্তাবের বিপক্ষে কোন দেশ ভোট দেয়নি। সাধারণ পরিষদের এই অধিবেশনে ‘ইসলামভীতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ’ নিয়ে পাকিস্তান প্রস্তাব তুলে। ওই প্রস্তাবের ভোট দেয়নি ভারত। প্রস্তাব উত্থাপনের সময় পাকিস্তানের দূত মুনির আকরাম ভারতের অযোধ্যায় রাম মন্দির স্থাপন ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ)  প্রসঙ্গ টানেন। আর এতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান ভারতের রাষ্ট্রদূত। 

বিজ্ঞাপন

রামমন্দির ও সিএএ নিয়ে পাকিস্তানকে ‘ভাঙা রেকর্ড’ বলে মন্তব্য করেন ভারতীয় স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। ইসলামাবাদকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান সেখানে স্থবির হয়ে আছে।’ 

রুচিরা কম্বোজ বলেন, ‘আমার দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে এই প্রতিনিধিদলের সীমিত এবং বিভ্রান্তিকর দৃষ্টিভঙ্গির সাক্ষী হওয়া দুর্ভাগ্যজনক। বিশেষ করে, যখন সাধারণ পরিষদ এমন একটি বিষয় বিবেচনা করছে, যা নিয়ে সব সদস্যের কাছ থেকে প্রজ্ঞা, গভীরতা এবং বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। সম্ভবত এই প্রতিনিধিদলের কাছে এসব বিশেষত্ব নেই।’ 

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘ইসলামভীতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ’ শীর্ষক প্রস্তাব গ্রহণের সময় ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করে একটি বিবৃতি দেন কম্বোজ।