নাভালনির শেষ ইচ্ছা পূরণে ভোটকেন্দ্রে হাজারও পুতিনবিরোধী

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুর পরে সেই অর্থে রাশিয়ায় ভ্লাদিমির পুতিনের বড় কোন প্রতিপক্ষ নেই এ বারের নির্বাচনে। ধারণা করা হচ্ছে, এ নির্বাচনে ভূমিধস জয় পাবেন পুতিন। এদিকে, পুতিনবিরোধীরা ভোটের শেষ দিনে রোববার (১৭ মার্চ) এক অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ‘নুন এগেইনস্ট পুতিন’ বা ‘পুতিনের বিরুদ্ধে দুপুর’ পালন করেছেন।

পুতিনবিরোধীরা ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, নাভালনির শেষ ইচ্ছা পূরণে আপনারা ব্যালট পেপার নষ্ট করুন নতুবা পুতিনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো তিনজন প্রার্থীর একজনকে ভোট দিন।

বিজ্ঞাপন

এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানায়, তিন দিনের এ নির্বাচনের প্রথম দুদিন অর্ধেকেরও বেশি রুশ নাগরিক ভোট দিয়ে দিয়েছেন। নির্বাচনের তৃতীয় ও চূড়ান্ত দিনটিকে বলা হচ্ছে দেশের বিরোধীদের শক্তি পরীক্ষার দিন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনবিরোধীরা এক জায়গায় জড়ো না হয়ে রাশিয়ার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদে কত লোক উপস্থিত হয়েছিল তা ধারণা করা কঠিন।

বিজ্ঞাপন

প্রয়াত নাভালনির ইউটিউব চ্যানেলে দেখানো হয়, বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে প্রতিবাদ জানাতে কয়েক ডজন থেকে শুরু করে কয়েকশ লোকের সমাগম।

রয়টার্সের সাংবাদিকরা মস্কো এবং ইয়েকাটেরিনবার্গের কিছু ভোটকেন্দ্রেও পুতিনবিরোধীদের সমাগম দেখেছেন।

এদিকে, অস্ট্রেলিয়া, জাপান থেকে আর্মেনিয়া, কাজাখস্তান ও জর্জিয়া পর্যন্ত রাশিয়ান কূটনৈতিক মিশনের ভোট কেন্দ্রে শত শত রাশিয়ান দুপুরে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যোগ্য ভোটার সংখ্যা ১১৪ মিলিয়ন। তবে রাশিয়ান কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি বলেছে যে, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬৩ মিলিয়নেরও বেশি ভোট পড়েছে।

নাভালনি মৃত্যুর আগে তার আইনজীবীদের সহায়তায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় ‘পুতিনের বিরুদ্ধে দুপুর’ পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছিলেন। ক্রেমলিনের সমালোচক বলে পরিচিত সংবাদপত্র ‘নোভায়া গাজেটা’ একে নাভালনির রাজনৈতিক টেস্টামেন্ট বলে অভিহিত করেছে।

পুতিনের বিরুদ্ধে দুপুর আন্দোলনের বিষয়ে নাম না প্রকাশ করে রুশ এক তরুণ বলেন, গণতন্ত্রের কিছুই অবশিষ্ট নেই। তবে আপনি যদি কিছু করতে চান আন্দোলন করা উচিত।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক তরুণী বলেন, তিনি পুতিনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থীর একজনকে ভোট দিয়েছেন।

পশ্চিমের হয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ক্রেমলিন নাভালনির রাজনৈতিক মিত্রদের বেশিরভাগকেই রাশিয়া থেকে বের করে দিয়েছে।