আবগারি নীতি মামলায় কেজরিওয়াল গ্রেফতার, ১৪৪ ধারা জারি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লির আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

তার ফোন বাজেয়াপ্ত করার পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের আশপাশে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ নেত্রী অতিশী জানিয়েছেন, কেজরিওয়ালই থাকবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

এর আগে কেজরিওয়ালের বাড়িতে হানা দেয় ইডির কর্মকর্তরা। এনডিটিভি জানিয়েছে, গ্রেফতারের আগে নিজ বাড়িতেই কেজরিওয়ালকে আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।

দিল্লি হাইকোর্ট আবগারি মামলায় কেজরিওয়ালকে রক্ষার বিষয়টি প্রত্যাহার করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইডির একটি দল তার বাড়িতে পৌঁছায় বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

সূত্রের খবর, ১২ জনের ইডি কর্মকর্তাদের একটি দল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছে। তল্লাশি অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় নথি দেখিয়েই কেজরিওয়ালের বাড়িতে প্রবেশ করে তারা। তার বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে দিল্লি পুলিশ। নিরাপত্তাও আঁটসাঁট করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযানের সময় কাউকেই বাড়ির ভেতর প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

দিল্লির আবগারি মামলায় আপ প্রধানকে মোট ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু ৮ বারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ পাঠানো সমনে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু, হাজিরা না দিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল।

আদালতে পেশ করা আবেদনে কেজরিওয়াল বলেন, ‘ইডি নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, তাদের তলবে সাড়া দিলে আমার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হবে না।’

আপের অভিযোগ হলো, ইডির লক্ষ্য জিজ্ঞাসাবাদ নয়। এতদিন ধরেও তারা এই মামলায় কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য-প্রমাণ পায়নি। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে সমন পাঠিয়ে তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি সুরেশকুমার কাইথ এবং বিচারপতি মনোজ জৈনের ডিভিশন বেঞ্চে কেজরিওয়ালের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল।

শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, ‘আমরা উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। তবে আমরা এই পর্যায়ে মামলাকারীকে কোনও সুরক্ষা দেওয়ার কথা দিচ্ছি না।’

এই রায়ের পরেই তৎপর হয় ইডি। যদিও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান নিয়ে আপের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, আবগারি মামলায় বিআরএস নেত্রী কে কবিতাকে কয়েক দিন আগেই গ্রেফতার করেছে ইডি। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। কবিতা ছাড়াও এই মামলায় এখনও পর্যন্ত আপের দুই প্রবীণ নেতা সিসৌদিয়া এবং আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং গ্রেফতার হয়েছেন।

এর আগে অভিযোগ ওঠে যে, দিল্লি সরকারের ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতি বেশ কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা করে দিয়েছিল। এই নীতি প্রণয়নের জন্য যারা ঘুষ দিয়েছিলেন, তাদের সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। আপ সরকার সেই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে।