সুপ্রিম কোর্টে জামিন নামঞ্জুর কবিতার
ভারতের সুপ্রিম কোর্টে জামিন পাননি তেলঙ্গানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) নেত্রী কে কবিতা।
এনডিটিভি জানিয়েছে, দিল্লির আবগারি মামলায় ইডির গ্রেফতারকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন তিনি। কবিতার দাবি ছিল, ইডি বেআইনিভাবে তাকে গ্রেফতার করেছে।
কিন্তু শুক্রবার শীর্ষ আদালত কানেই তুলেনি কবিতার আবেদন। কবিতার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে ট্রায়াল আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন বিশেষ বেঞ্চ।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ কবিতার আবেদন গ্রহণ করতে চায়নি। বেঞ্চ জানিয়েছে, কবিতাকে অবশ্যই নীতি অনুসরণ করতে হবে। তার জন্য কোনও নিয়ম ভাঙা যাবে না। শীর্ষ আদালতে এভাবে সরাসরি জামিনের আবেদন করা যায় না।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ১৫ মার্চ দুপুরে কবিতার হায়দ্রাবাদের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। চলে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ। তার পর বিকালে নিজ বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়।
ইডি সূত্রের খবর, বিকেল ৫টা ২০ মিনিট নাগাদ কবিতাকে গ্রেফতার করা হয়। আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত কবিতাকে ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।
গত ডিসেম্বরে মণীশ সিসৌদিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত অমিত আরোরা নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তখনই তারা জানতে পারে, এই মামলায় যুক্ত রয়েছেন কবিতা।
কবিতাকে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত বছর জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তবে সম্প্রতি তিনি ইডির তলব এড়িয়ে যান। এই মামলার চার্জশিটে ইডির অভিযোগ, দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আবগারি সংক্রান্ত নীতির ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সিসৌদিয়া আবগারি নীতির পরিবর্তন ঘটিয়ে দক্ষিণ ভারতের যে ব্যবসায়িক সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন, ওই সংস্থাটির ৬৫ শতাংশের মালিক এই কবিতা।
এই মামলায় ইডি দাবি করেছে, দিল্লির আবগারি নীতিতে বিশেষ সুবিধা পেতে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং দিল্লির সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন কবিতা। সুবিধা পাওয়ার বিনিময়ে তিনি আপ নেতাদের ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছে ইডি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। অন্যদিকে, ইডির গ্রেফতারকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন দিল্লির এই মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার কেজরিওয়ালের আবেদনের শুনানি করবেন বিচারপতি খান্নার বেঞ্চ।