জন্মহার কমায় বড়দের ডায়াপার উৎপাদনে ঝুঁকছে জাপান

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাপানে জন্মহার উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় শিশুদের ডায়পার উৎপাদন বন্ধ করে বড়দের জন্য ডায়পার তৈরির ঘোষণা দিয়েছে একটি কোম্পানি। ওজি হোল্ডিংস নামের কোম্পানি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জাপানে বড়দের ডায়াপার বিক্রি শিশুদের তুলনায় বেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত বছর জাপানে জন্মহার ছিল ১৯ শতকের মধ্যে সর্বনিম্ন। উল্টোদিকে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। গত বছর প্রথমবারের মতো জাপানে ৮০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।

জাপানে জন্মহার রেকর্ড পরিমাণ কমেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ২০২৩ সালে জাপানে ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩১টি শিশু জন্ম নিয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ১ শতাংশ কম। ১৯৭০-এর দশকে দেশটিতে বছরে ২০ লাখেরও বেশি শিশু জন্ম নিত।

বিজ্ঞাপন

এক বিবৃতিতে, ওজি হোল্ডিংস বলেছে বর্তমানে তাদের প্রতিষ্ঠান ওজি নেপিয়া বছরে ৪০০ মিলিয়ন শিশুদের ডায়াপার তৈরি করে। ২০০১ সাল থেকে উৎপাদন কমে চলেছে। সে বছরে উৎপাদন ছিল ৭০০ মিলিয়ন। তবে প্রতিষ্ঠানটি মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় শিশুদের ডায়াপার উৎপাদন অব্যাহত রাখবে, কারণ সেখানে চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

জাপানের শীর্ষ ডায়পার তৈরির প্রতিষ্ঠান ইউনিচার্ম ২০১১ সালে জানায়, তাদের বয়স্কদের ডায়পার বিক্রি শিশুদের ডায়পার বিক্রিকে ছাড়িয়ে গেছে।

দেশটিতে ক্রমেই বেড়ে উঠছে বয়স্কদের ডায়পারের বাজার। বয়স্কদের ডায়পারে বাজারের আকার ২০০ কোটি ডলার। জাপানে এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর বাস। দেশটির ৩০ শতাংশেরই বয়স ৬৫ বছরের বেশি।

জন্মহার কমে আসায় এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে জাপানের জনসংখ্যা। বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ অর্থনীতির এ দেশের জন্য এটি একধরনের সংকট রূপেই আবির্ভূত হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে জাপান সরকার। তবে এখনো উল্লেখযোগ্য কোনো সফলতা দেখেনি দেশটি।

গত বছর জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছিলেন, একটি সমাজ হিসেবে আমরা কার্যকরভাবে এগিয়ে যেতে পারি কি না, তার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে জাপান।

তবে এ চিত্র শুধু জাপানের একারই নয়; হংকং, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রবণতা।