থাইল্যান্ডে সমকামী বিয়ে বৈধতা পাচ্ছে
সমকামী বিয়ে বৈধতা পেতে যাচ্ছে থাইল্যান্ডে। বুধবার (২৭ মার্চ) দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষে সমকামী বিয়ের বিল পাস হয়। এর ফলে সমকামী বা এলজিবিটিকিউ বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হতে যাচ্ছে থাইল্যান্ড।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সংসদের নিম্নকক্ষে ৩৯৯ ভোটে এই বিল পাস করা হয়। তবে থাইল্যান্ডের রাজা অনুমোদন দেওয়ার আগে সিনেটে এই বিল অনুমোদন পেতে হবে। এরপরই এটি রয়্যাল গ্যাজেটে প্রকাশ করা হবে।
থাইল্যান্ডে সমকামী বিয়েকে বৈধ করার জন্য ব্যাপক জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও বার বার তা ব্যর্থ হয়। গত বছরের শেষের দিকে একটি সরকারি সমীক্ষায় দেখা যায়, ৯৬ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট এই বিলের পক্ষে। অবশেষে, যার প্রতিফলন দেখা গেছে দেশটির সংসদেও।
তবে, আশা করা হচ্ছে চলতি বছরের শেষ নাগাদ সমকামী বিয়ে দেশটিতে বৈধতা পাবে।
এলজিবিটিকিউ+ অধিকারের জন্য চাপ দেওয়া প্রগতিশীল দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির সদস্য তুনিয়াওয়াজ কামলওংওয়াত বলেন, আজ সমাজ আমাদের প্রমাণ করেছে, তারা এলজিবিটি অধিকারের বিষয়ে যত্নশীল। অবশেষে আমরাও এখন অন্যদের সমান অধিকার পাব।
এশিয়ায় শুধু তাইওয়ান ও নেপালে সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। গত অক্টোবরে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সমকামী বিষয়ক সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন। থাইল্যান্ডে এখন আন্তর্জাতিক এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের জন্য গ্রহণযোগ্যতা বাড়লেও কয়েক দশক ধরেই রক্ষণশীল মনোভাব এবং মূল্যবোধের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাচ্ছে থাই অধিকারকর্মীরা।
প্রস্তাবিত বিলে বিয়ের আইনে ‘পুরুষ’, ‘নারী’, ‘স্বামী’ ও ‘স্ত্রী’ এর বদলে লিঙ্গ নিরপেক্ষ শব্দ ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সমকামী দম্পতিরা প্রথমবারের মতো উত্তরাধিকার ও দত্তক নেওয়ার অধিকার উপভোগ করতে পারবেন।