‘মস্কো হামলার সন্দেহভাজনদের মারাত্মক নির্যাতন করা হয়েছে’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মস্কোর কনসার্ট হলে শুক্রবারের গণগুলির ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে এক কিরগিজস্তানের নাগরিককে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার হেফাজত শেষে আদালতে হাজির করেছে রাশিয়া।

রয়টার্স জানিয়েছে, এ ছাড়াও ওই হামলায় অভিযুক্ত অন্য চারজনের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তদন্তকারীদের তাজিকিস্তানে পাঠিয়েছে মস্কো।

কিন্তু অধিকারকর্মীদের অভিযোগ হলো, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সন্দেহভাজনদের মারাত্মক নির্যাতন করা হয়েছে।

কিন্তু রাশিয়া বলেছে, চার সন্দেহভাজন বন্দুকধারী স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

কিন্তু, সন্দেহভাজনরা আদালতে হাজির হওয়ার সময় আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে বলেছে, তাদের নির্যাতন করা হয়েছে।

রাশিয়ার মানবাধিকার কমিশনার বলেছেন, সন্দেহভাজনদের আইন অনুযায়ী আটক করা উচিত।

তাস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় একজনের কানের একটি অংশ কেটে গেছে।

রাশিয়ার মানবাধিকার কমিশনার তাতায়ানা মোসকালকোভাকে তাসকে বলেছেন, ‘বন্দি এবং আসামীদের উপর নির্যাতনকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।’

প্রসঙ্গত, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতায় আসার কয়েকদিন পর দেশটিতে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ওই হামলায় ১৩৯ জন নিহত এবং ১৮২ জন আহত হয়।

ওই হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত আট সন্দেহভাজনকে বিচার-পূর্ব রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই হামলার দায় স্বীকার করে হামলার ফুটেজ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সও বলেছে যে, তাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী ওই গোষ্ঠীটিই হামলার পেছনে ছিল।

অন্যদিকে গত সোমবার পুতিন বলেছিলেন, ‘হামলাটি ইসলামিক জঙ্গিদের দ্বারা পরিচালিত হলেও ওই হামলায় রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেন একটি ভূমিকা পালন করতে পারে।’

ইউক্রেন ওই হামলায় কোনোভাবে জড়িত থাকার ঘটনা বরাবরই অস্বীকার করেছে।

   

হজযাত্রীদের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা দিচ্ছে সৌদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজ উপলক্ষ্যে হাজীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘণ্টা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সেবার ব্যবস্থা রেখেছে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে, শুক্রবার (১৪ জুন) থেকেই শুরু হয়েছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। শনিবার (১৫ জুন) আরাফাতের ময়দানে উপস্থিতির মাধ্যমে হজের চূড়ান্ত পর্যায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরই মধ্যে হাজিরা মিনা থেকে আরাফায় উপস্থিত হচ্ছেন। 

 শনিবার আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে শুক্রবার ‘কিংডম এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ চালু হয়েছে। প্রথম দিনেই বেশ কয়েকজন অসুস্থ রোগীদের সফলভাবে অ্যাম্বুলেন্সে পরিবহণ করে নেয়া হয়েছে হাসপাতালে।

সৌদি রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষের একটি ইউনিট অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে অসুস্থ যাত্রীদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। ৬০ বছর বয়সী আফ্রিকান ব্যক্তি বলেন, ‘আমার প্রচণ্ড বুক ব্যথা হচ্ছিল, ঠিক তখনই রেড ক্রিসেন্টের একটি দল আমাকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বসায়। এরপর মুহূর্তের মধ্যেই আমি পৌঁছে যাই হাসপাতালে।’

;

পারমাণবিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরান তার পারমাণবিক সক্ষমতা আরও বাড়াচ্ছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সংস্থাটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে দেশটির ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার মাত্রা যেমন ভয়াবহ বলে ধারণা করা হচ্ছিল, তার চেয়ে কম বলে জানিয়েছে আইএইএ

ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএইএর বিবৃতিতে ইরানের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা না পাওয়ার সমালোচনা করে এক সপ্তাহ আগে পরিচালনা পর্ষদে একটি প্রস্তাবও পাস হয়। তবে ওই প্রস্তাব পাসের পরও বন্ধ নেই ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম।

নতুন বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে আরও বেশি ক্যাসকেড মজুত করছে তেহরান। বিষয়টি তেহরানের কাছ থেকেই আইএইএ জানতে পেরেছে। 

তবে একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ইরান মাঝারি ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছে। গত সপ্তাহে আইএইএর পরিচালনা পর্ষদে ‘ইরান যথেষ্ট সহযোগিতা করছে না’ মর্মে প্রস্তাব উত্থাপন করে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি।’ 

এতে বলা হয়, ইরান ইউরেনিয়াম পরিশোধনের মাত্রা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে গেছে, যা দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব। তবে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে চীন ও রাশিয়া।  ক্যাসকেড হচ্ছে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ব্যবহৃত সেন্ট্রিফিউজসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি বলেছে, এ ধরনের প্রতীকী প্রস্তাব উত্থাপনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানের ওপর কূটনৈতিক চাপ জোরদার করা। এভাবে একসময় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেও প্রস্তাবটি তোলার সুযোগ তৈরি হবে। 

আইএইএর পরিচালনা পর্ষদে ৩৫টি দেশের প্রতিনিধি রয়েছেন। তারা বলেছেন, ২০২২ সালের নভেম্বরের পর প্রথমবারের মতো এ ধরনের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। ইরান এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে বলেছে, প্রস্তাবটি মোটেও বিবেচনাপ্রসূত নয়। এটি যে তড়িঘড়ি করে উত্থাপন করা হয়েছে, তা স্পষ্ট।

এর আগেও আইএইএর গভর্নর বোর্ডে এ ধরনের প্রস্তাব পাস হয়েছে। তারপর দেখা গেছে, ইরান তাদের পারমাণবিক স্থাপনা থেকে নজরদারি ক্যামেরা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরিয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বাড়িয়ে দিয়েছে।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, আইএইএর প্রতিবেদন থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বাড়াচ্ছে এবং এর মধ্যে শান্তিপূর্ণ কোনো উদ্দেশ্য নেই।

;

দক্ষিণ গাজার ধ্বংসের মাত্রা দেখে হতবাক কার্ল স্কাউ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণাঞ্চলের ধ্বংসের মাত্রা দেখে হতবাক জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উপ-নির্বাহী পরিচালক কার্ল স্কাউ। তিনি বলেছেন, ওই অঞ্চলে ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আটকা পড়েছেন। তাদের কাছে নেই বিশুদ্ধ খাবার পানি, নেই স্যানিটেশনের ব্যবস্থা।

শনিবার (১৫ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসের কারণে দক্ষিণ গাজায় প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উপ-নির্বাহী পরিচালক কার্ল স্কাউ বলেন, গাজা সিটির মধ্য দিয়ে জাবালিয়া যাওয়ার পথে ধ্বংসের চিহ্ন অবিশ্বাস্য। গাজার উত্তরে কোন একটি ভবন আমি অক্ষত দেখতে পাইনি। এই অঞ্চলের মানুষ এখন ট্রমার মধ্যে আছে।

তিনি বলেন, একজন মহিলা যিনি যুদ্ধে তার স্বামীকে হারিয়েছেন। তিনি আমাকে বলেন ২৫০ দিন ধরে চলা যুদ্ধ আমার কাছে ২৫০ বছরের মতো মনে হচ্ছে।

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, গাজায় আমাদের জন্য কাজ করা কঠিন হচ্ছে। কর্মীদের প্রতিদিন পাঁচ থেকে আট ঘণ্টা চেকপয়েন্টে অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের আঘাত করেছে।

ডব্লিউএফপি আশঙ্কা করছে যে দক্ষিণ গাজায় শিগগিরই উত্তরাঞ্চলের মতো দুর্ভিক্ষে"র কবলে পড়েবে।

দক্ষিণ গাজার পরিস্থিতি খুব দ্রুত অবনতি হচ্ছে। ১০ লাখের বেশি লোককে রাফাহ থেকে এই অঞ্চলে ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে সমুদ্র সৈকত বরাবর একটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আটকা পড়েছে, স্কাউ বলেন।

ডব্লিউএফপি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদানের জন্য নিরাপদ ও টেকসই পথ খোলার আহ্বান জানিয়েছে।

;

গ্রিসে তাপদাহে নিহত ৪, জরুরি সতর্কতা জারি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে গ্রিস। দেশটিতে রেকর্ড তাপমাত্রায় অন্তত চারজন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও অনেকে নিখোঁজ থাকায় ভ্রমণকারীদের জন্য জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ইউরোপের বেশিরভাগ অংশের জন্য প্রিয় ছুটির গন্তব্য গ্রিসের বিভিন্ন অংশে ৩৯ থেকে ৪৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের শহর চানিয়ায় গত বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রচণ্ড গরমে এথেন্স ও এর বাইরের বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে দেশটি। সম্প্রতি লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার সময় লোকেরা অজ্ঞান হয়ে যায়। এ খবরের পরে দেশটির প্রাচীন দর্শনিয় স্থান অ্যাক্রোপলিস বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ অবস্থায় গ্রিক সরকার 'লেভেল থ্রি হিট অ্যালার্ট' জারি করে নাগরিকদের ফোনে স্বয়ংক্রিয় সতর্কবার্তা পাঠিয়ে লোকজনকে বাড়ি থেকে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে বাইরে কঠোর কাজকর্ম এড়িয়ে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।

গ্রিসের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের আবহাওয়াবিদ পানোস গিয়ান্নোপোলোস বলেন, গ্রিসে বিংশ শতাব্দীতে তেমন কোনো তাপপ্রবাহ দেখা যায়নি। একবিংশ শতাব্দীতে আমরা বেশ কয়েকটি তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হয়েছি।

;