কেজরিওয়ালের পর কৈলাশ গেহলটকে ইডির তলব
আম আদমি পার্টির নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রয়েছেন নিরাপত্তা হেফাজতে। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ব্যাংক একাউন্টও জব্দ করা হয়েছে। এসব নিয়ে ভারতের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে চলছে তোলপাড়। এরই মধ্যে দিল্লির মন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা কৈলাশ গেহলটকে অর্থপাচার মামলায় তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
অর্থপাচার মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্দেশ্যে তাকে তলব করা হয়েছে বলা জানা গেছে। দিল্লি সরকারের বর্তমান স্বরাষ্ট্র, পরিবহন এবং আইনমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন গেহলট। তলব নোটিশ পাওয়ার পরই তিনি এজেন্সি অফিসে হাজির হয়েছেন।
একই মামলায় মাত্র কয়েকদিন আগে অরবিন্দ কেজরিওয়ালসহ গ্রেফতার করা হয়েছে আম আদমি পার্টির তিনজন শীর্ষ নেতাকে। অন্য দু’জন হলেন দলের এমপি সঞ্জয় সিং ও দিল্লির সাবেক ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী মানিশ সিসোদিয়া। ওদিকে ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) নেতা ও তেলেঙ্গানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দশেখর রাওয়ের কন্যা কে. কবিতাকেও জেলে নেয়া হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইডি সূত্র বলেছে, এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ এবং জবানবন্দি অর্থপাচার রোধ সংক্রান্ত আইনের অধীনে রেকর্ড করতে তলব করা হয়েছে গেহলটকে। এই মামলাটি ২০২১-২২ সময়ে দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি প্রণয়ন এবং কার্যকর করার ক্ষেত্রে কথিত দুর্নীতি ও অর্থপাচারের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে পরে ওই নীতিটি বাতিল করা হয়েছে।
ইডির অভিযোগ, এই মদ-নীতির ফলে খুচরা বিক্রেতারা অস্বাভাবিক হারে (শতকরা প্রায় ১৮৫) ভাগ লাভ করেছে। আর পাইকারি বিক্রেতারা করেছে শতকরা ১২ ভাগ লাভ। পাইকারি বিক্রেতাদের লাভের শতকরা ৬ ভাগ ঘুষে এবং বাকি অর্থ গোয়া এবং পাঞ্জাবের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যয় করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এমন অর্থের পরিমাণ কমপক্ষে ৬০০ কোটি রুপি। এই ব্যবসায় জড়িত গ্রুপ আম আদমি পার্টি ও এর নেতাদের ঘুষ হিসেবে ১০০ কোটি রুপি দিয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
ইডি তার অভিযোগে বলেছে, গেহলট একটিমাত্র সিম নম্বর ব্যবহার করেছেন। কিন্তু তার ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি (আইএমইআই) পরিবর্তন করেছেন তিনবার। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে।