আফগানিস্তানের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে স্থলমাইন বিস্ফোরণে ৯ শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রাদেশিক প্রধান হামিদুল্লাহ নিসার।
সোমবার (১ এপ্রিল) তিনি বলেন, গজনী প্রদেশের গেরু জেলায় রোববার স্থল মাইনের বিস্ফোরণ ঘটে। এসময়ে এক দল শিশু সেখানে খেলছিল। রুশ অভিযানের সময়ে পোঁতা এই স্থল মাইন হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়। দুর্ভাগ্যবশত এতে নয় শিশু প্রাণ হারায়। গজনী পুলিশ জানিয়েছে, নিহত শিশুদের মধ্যে পাঁচজন মেয়ে ও চারজন ছেলে। এদের সকলের বয়স চার থেকে দশ বছরের মধ্যে। আর্ন্তজাতিক রেডক্রস কমিটি জানিয়েছে, আফগানিস্তানে এখনও নিয়মিত অবিস্ফোরিত গোলা ও মাইনের কারণে জীবনহানি ঘটছে। মূলত শিশুরাই এতে নিহত হচ্ছে।
ভারতের শিল্প জগতের অনন্য রত্ন টাটা গ্রুপের ইমেরিটাস চেয়ারম্যান রতন টাটার শেষকৃত্যে দেখা গেল ভিন্ন ছবি। ভারতের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো মৃতদেহ বহনকারী কাসকেটের সামনে পারসি, হিন্দু ও শিখ পুরোহিতের পাশাপাশি বৌদ্ধ ভিক্ষু, মুসলিম মৌলভী ও খ্রিস্টান যাজকের উপস্থিত। তারা নিজ নিজ ধর্মের আলোকে প্রার্থনা করছেন।
রতন টাটা ছিলেন পারসি ধর্মাবলম্বী। ব্যক্তিগত জীবনে তার সফলতা ও মানবিক চরিত্রের নানা কথা সামনে আসলেও তার ধর্মাচারের দৃশ্য খুব একটা সামনে আসেনি। রতন টাটার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায়। তার মরদেহ বৈদ্যুতিক চুল্লিতে দাহ করা হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
রীতি অনুযায়ী পারসিদের মৃতদের খায় চিল-শকুনে
পারসি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আচার অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তার অন্যতম হলো- মৃতদেহ সৎকারের প্রক্রিয়া। তারা হিন্দুদের মতো মৃতদেহ দাহ করেন না, মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মতো কবরও দেন না। পারসিদের মৃতদেহ নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া শেষে নিয়ে যাওয়া হয়- টাওয়ার অব সাইলেন্সে।
কলকাতার বেলেঘাটায় এমন একটি স্থাপত্য আছে, যাকে ডাখমা বলা হয়। এটাই জরথুস্ত্রীয় ধর্মাবলম্বী অর্থাৎ পারসি সম্প্রদায়ের শেষকৃত্য স্থান। স্থাপনাটি একটু উঁচুস্থানে তৈরি গোল টাওয়ার বিশেষ। সেখানে মৃতদেহ খোলা আকাশের নিচে সূর্যের আলোয় রেখে আসা হয়। তারপর শকুন, চিল, কাক সেই মৃতদেহ ছিঁড়ে খুবলে খায়। মুম্বাইয়ের দুঙ্গারওয়াডিতে টাওয়ার অব সাইলেন্স রয়েছে।
পারসিরা মনে করেন, মৃতদেহ দাহ করলে বা কবর দিলে পরিবেশ দূষণ হয়। আসলে পারসিরা মৃতদেহকে অপবিত্র বলে মনে করেন। তাদের বিশ্বাস, মৃতদেহ দাহ করলে তাতে আগুন অপবিত্র হয়ে যায়, কবর দিলে মাটি অপবিত্র এবং নদীতে ভাসিয়ে দিলে পানি অপবিত্র হবে। পারসিদের কাছে আগুন, মাটি ও পানি অত্যন্ত পবিত্র। তাদের বিশ্বাস মৃতদেহ দাহ করা বা কবর দেওয়া ধর্মীয় বিচারে একেবারেই অনুচিত।
তবে বর্তমানে ভারতে শকুন উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যাওয়ায় সৎকার প্রক্রিয়ায় সমস্যায় পড়ছেন পারসিরা। শহরের দিকে আজকাল শকুন প্রায় দেখাই যায় না। শকুন মানুষের মাংস অত্যন্ত দ্রুত খেয়ে ফেলতে পারে। তাই আগে যেখানে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় একটা মৃতদেহ শেষ হয়ে যেত, সেখানে এখন তিন থেকে চার দিন লেগে যাচ্ছে এবং সেই মৃতদেহ থেকে পঁচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।
শকুনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এদেশে বসবাসকারী পারসিদের অনেকেই এখন মৃতদেহ সৎকারের করার জন্য দাহ করার প্রক্রিয়া বেছে নিচ্ছেন। বৈদ্যুতিক চুল্লিতে মৃতদেহ সৎকার করেছেন পারসি ধর্মের কেউ কেউ। এ প্রক্রিয়া রতন টাটার দেহ ওরলির শ্মশানে দাহ করা হয়েছে।
পারসিদের শেষকৃত্য
টাওয়ার অব সাইলেন্সে কিংবা শ্মশানে- যেখানে শেষকৃত্য হোক, শেষকৃত্যের আগে বিশেষ কিছু রীতি তারা পালন করেন। পারসি মতে, মৃতদেহ গোসল করিয়ে বিশেষ পোশাক পরানো হয়। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে পারসি ধর্মের কিছু মানুষ। এরপর সাদা কাপড় ও পবিত্র কোমরবন্ধনী পরানো হয় দেহে। এগুলো যথাক্রমে ‘সুদ্রেহ’ ও ‘কুষ্টি’ নামে পরিচিত। চিরনিদ্রায় শায়িত দেহকে নির্দিষ্ট স্থানে রেখে আসা হয়। তার আগে পারসি পুরোহিতরা মৃত ব্যক্তির শান্তি কামনা করে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রার্থনা করেন। রতন টাটার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানেও দেখা গেছে, গান স্যালুট ও শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আত্মীয়-স্বজন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বের হয়ে গেলে, সাদা রঙয়ের বিশেষ পোশাক পরিহিত কয়েকজন পারসি ধর্মগুরু শ্মশানে প্রবেশ করছেন।
পারসিরা ভারতের সংখ্যালঘু ধনী সম্প্রদায়
ভারতে জনসংখ্যার হিসেবে অতি ক্ষুদ্র, কিন্তু ইতিহাসে সবচেয়ে বিত্তশালী ও সফল সম্প্রদায়ের মধ্যে অন্যতম পারসি সম্প্রদায়। অর্থাৎ প্রাচীন পারস্যদেশের (ইরান) জরথুস্ত্রপন্থী জাতিবিশেষ। হাজার বছর ধরে ক্ষুদ্র এই গোষ্ঠী বসবাস করে আসছে ভারতে।
ভারতের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পারসি সম্প্রদায়ের অবদান অনস্বীকার্য। ভারতের প্রথম স্টিল মিল, প্রথম বাণিজ্যিক বিমান পরিবহন ব্যবস্থা, প্রথম বিলাসবহুল হোটেল, এশিয়ার প্রথম স্টক এক্সচেঞ্জ এগুলোর প্রতিটির পেছনেই রয়েছে কোনো না কোনো পারসির হাত।
পারসিক ধর্ম কী
অষ্টম থেকে দশম শতকে ইরান থেকে জরথুস্ত্রপন্থিরা ভারতে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে ঠাঁই নেয়। পারসি সম্প্রদায়ের লোকেরা যে ধর্মে বিশ্বাস করে, তার নাম হলো ‘জরথুস্ত্রবাদ‘ বা ‘পারসিক ধর্ম।’ অতিপ্রাচীন এই ইরানীয় ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন জরথুস্ত্র। আবেস্তা বা জেন্দাবেস্তা তাদের ধর্মগ্রন্থ।
সপ্তম শতাব্দীতে পারস্য (ইরান) ছিল সাসানীয় সাম্রাজ্যের অধীনে। ৬৫১ খ্রিস্টাব্দে মুসলিমদের পারস্য বিজয় পতন ঘটায় সাসানীয় সাম্রাজ্যের। এই বিজয়ে পারস্যে ক্রমশ ম্লান হয়ে আসে জরথুস্ত্রীয় ধর্মের প্রভাব। এরপর থেকে ছোট ছোট পারসিকদের দল খণ্ড খণ্ডভাবে আসতে থাকে ভারতে। ঐতিহাসিকদের মতে, দুই কারণে পারসিরা পাড়ি জমান ভারতে। প্রথমত: নিজ ধর্ম ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ। দ্বিতীয়ত: অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা।
পারসিদের ভারত আগমন নিয়ে মজার একটি কিংবদন্তি চালু আছে। শুরুতে ক্ষুদ্র জনসংখ্যার একটি পারসি সম্প্রদায় আরব সাগর পাড়ি দিয়ে পা রাখে ভারতে। তৎকালীন গুজরাটের সাঞ্জান শহরের শাসক ছিলেন সম্রাট জাদি রানা। সেই সম্রাটের সঙ্গে কথাবার্তার জন্য পাঠানো হয় জরথুস্ত্র এক পুরোহিতকে। তিনি রাজাকে বলেন, আপনার রাজ্যে শরণার্থী হিসেবে থাকতে দিলে আমাদের বেশ উপকার হয়। কিন্তু রাজা অপরিচিত এই সম্প্রদায়কে নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। তিনি তাদের দুধে কানায় কানায় পূর্ণ একটি বাটি দেখিয়ে বললেন, আমার রাজ্যে জনসংখ্যার অবস্থা এই দুধের বাটির মতোই। অতিরিক্ত আরেকটু যুক্ত হলেই উপচে পড়ে যাবে। পুরোহিত তখন রাজার কাছে একমুঠো চিনির আবদার করেন। চিনি নিয়ে আসা হলে সেই চিনিকে দুধের পাত্রে মিশিয়ে দেন পুরোহিত। বলেন, দুধে এই চিনির মিশ্রণের মতোই আমরা আপনার রাজ্যে প্রজাদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকব।
পুরোহিতের উপস্থিত বুদ্ধি দেখে যারপরনাই মুগ্ধ হন রাজা। তাদেরকে দেওয়া হয় থাকার অনুমতি। কিন্তু এর সঙ্গে কিছু শর্ত জুড়ে দেন তিনি। তা হলো- পারসি নারীদের অবশ্যই শাড়ি পরিধান করতে হবে। পারসি পুরুষেরা কোনো অস্ত্র বহন করতে পারবে না। পারসি ধর্ম সম্পর্কে রাজাকে বোঝাতে হবে। গুজরাটি ভাষা শিখতে হবে।
পরবর্তী কয়েকশো বছরে আরও ছোট ছোট কিছু পারসি গোষ্ঠী বসতি গড়ে গুজরাটের সাঞ্জান এলাকায়। তাদের সম্মানার্থে ১৯২০ সালে সাঞ্জান স্তম্ভ নামে এক স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাঞ্জান শহরের গুরুত্ব কমে যাওয়ায় পারসিরা ভারতের অন্যান্য শহরে ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ পাড়ি জমায় মুম্বাইয়ের পথে। সেজন্য বর্তমানে ভারতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পারসি পাওয়া যায় মুম্বাই শহরে।
তারা মনোনিবেশ করে ব্যবসা এবং কারুশিল্পের দিকে। ব্রিটিশরা মুম্বাই আসার পর ব্যবসায়ী ও কারুশিল্পীদের খোঁজ করতে থাকলে মুম্বাইয়ে পারসিকদের চাহিদা বেড়ে যায়।
ব্রিটিশ শাসনামলে তারা সন্তানদের ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে পাঠানো শুরু করে। পারসিদের সন্তানেরা শিখে ফেলে ইংরেজি ভাষা, আয়ত্ত করে পশ্চিমাদের আচার-ব্যবহার, যেটা সে সময়ের জন্য বিলাসপূর্ণ চালচলন হিসেবেই গণ্য করা হতো। এজন্য তারা নিজেদের এক ব্যক্তিত্বশালী সম্প্রদায় হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তখন পারসি মাত্রই ছিল শিক্ষিত, প্রগতিশীল এবং সফল এক সম্প্রদায়। তা ব্রিটিশ এবং ভারতীয় কেউই অস্বীকার করত না।
পারসিদের বংশবিস্তার
পারসিদের অনন্য সাধারণ একটি বৈশিষ্ট্য হলো, তারা দানশীলতার সঙ্গে যুক্ত। রতন টাটাও মানবকল্যাণে তার সম্পদের একটা অংশ ব্যয় করেছেন। সমাজ ও নিজ সম্প্রদায়ের উন্নয়নে তারা দানকর্মে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এই শিক্ষা অবশ্য জরথুস্ত্র ধর্মের মূল ভিত্তিতেও রয়েছে। তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, সর্বদা সৎ কাজ করলেই মন্দকে দূরীভূত করা সম্ভব।
বর্তমান ভারতের পারসি ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ৬০ হাজারের কাছাকাছি। পারসি জনসংখ্যা কমার পেছনে সন্তান জন্মদানে অনীহা, বিলম্বে বিয়ে এবং দেশান্তরকে দুষছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার পারসি নারীর সঙ্গে অ-পারসি পুরুষের মিলনে জন্ম নেওয়া সন্তানকে পারসি হিসেবে গণ্য না করাও বড় একটি কারণ।
সংখ্যার বিচারে তারা অল্প হলেও ভারতীয় অর্থনীতিতে পারসিদের অবদান দেখলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। টাটা পরিবার, গোদরেজ পরিবার, ওয়াদিয়া পরিবারের নাম ভারতীয় শিল্পপতি পরিবারগুলোর তালিকায় বেশ ওপরের দিকেই রয়েছে। এমনকি ভারতীয় অভিনেতাদেরও বিশাল একটি অংশ পারসি ধর্মাবলম্বী।
জরথুস্ত্রবাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, পারসিদের বংশের ধারা প্রবাহিত হয় শুধুমাত্র পুরুষদের মাধ্যমে। অর্থাৎ একজন পারসি পুরুষের সঙ্গে যদি একজন অপারসি নারীর বিয়ে হয়, তাদের সন্তান হবে পারসি। অপরদিকে যদি একজন অপারসি পুরুষের সঙ্গে একজন পারসি নারীর বিয়ে হয়, তাদের সন্তানকে সেক্ষেত্রে পারসি বলা যাবে না।
গাজায় একটি স্কুলের আশ্রয়কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। এতে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯২ জন।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
গাজার সরকারী মিডিয়া অফিস এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে জানান, "ইসরায়েলি বাহিনী জেনেই স্কুলের আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা করেছে। তারা জানতো এ স্থানটিতে হাজার হাজার নারী ও শিশু তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে এখানে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। তারপরও তারা হামলা চালিয়েছে। আর তারা বোমা হামলার জন্য এমন একটি সময়কে বেছে নিয়েছে যখন নারী ও শিশুরা প্রতিদিনের খাবার নিচ্ছিল।
ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৯০ জনে পৌঁছেছে।
এদিকে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪২ হাজার ০৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৯৭ হাজার ৮৮৬ জন।
১৬০ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় হারিকেন মিল্টন আঘাত হেনেছে। এর তাণ্ডবে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন ৩০ লাখের বেশি গ্রাহক।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের তথ্য পর্যবেক্ষক পাওয়ারআউটেজ ডট ইউএসের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপি এ তথ্য জানিয়েছে। সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছেন হারডি কাউন্টির বাসিন্দারা। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী সারাসোটা ও মানাটি কাউন্টিতে এ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
হারিকেন মিল্টন স্থলভাগে আঘাত হানার আগেই প্রায় ১২৫টি বাড়ি লন্ডভন্ড করে দেয় জানিয়ে ফ্লোরিডা জরুরি পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক কেভিন গুথরি বলেছেন, যার বেশিরভাগই প্রবীণ নাগরিকদের জন্য তৈরি করা।
সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রায় ১৬ ইঞ্চি বৃষ্টি হয়েছে। সেখানেও বেশকিছু মানুষ মারা গেছেন। তবে তার সংখ্যা কত তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। বলা হয়েছে, এরকম বৃষ্টি হাজার বছরের মধ্যে একবার হয়। ফলে বিপুল এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
হারিকেন মিল্টনের আঘাতে ফ্লোরিডার পূর্ব উপকূল থেকে হতাহতের খবর পেয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। স্থানীয় শেরিফ কিথ পিটারসন জানিয়েছেন, প্রবীণদের কাউন্টি ক্লাব ভেঙে পড়ায় একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছে। তিনি বলেন, ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানায়, বুধবার রাতে স্থলভাগে আঘাত হানার প্রায় ৯০ মিনিট পরে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের অবস্থান ছিল সারাসোটা কাউন্টি থেকে প্রায় ২০ মাইল (৩০ কিলোমিটার) উত্তর-পূর্বে। এ সময় কিছুটা দুর্বল হয়ে ২ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় মিল্টন। এটির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১০ মাইল (১৭৫ কিলোমিটার), যা ঘণ্টায় ১৬ মাইল (২৬ কিলোমিটার) বেগে পূর্ব-উত্তর পূর্বে অগ্রসর হচ্ছিল।
হামাসের সঙ্গে একত্রিত হয়ে ফিলিস্তিনে যৌথ সরকার গঠন করতে চায় ফাতাহ। এ জন্য গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গাজাভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ডেজ অব প্যালেস্টাইন’ এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, বুধবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে ফাতাহ-এর সঙ্গে হামাস গ্রুপের ধারাবাহিক এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর পর আগামী জুলাই মাসে চীনের রাজধানীতে আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
হামাস-এর মিডিয়া অ্যাডভাইজর তাহের আল-নোনো নিশ্চিত করেছেন, খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে পৌঁছেছেন। খলিল আল-হাইয়া মধ্যস্থতাকারীদের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।
তাহের আল-নোনো বলেন, বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন প্রতিরোধ এবং ফিলিস্তিনিদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য দুটি সংগঠনের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘ফাতাহ’ মূলত ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতের গঠিত সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল লিবারেশন মুভমেন্ট’ (পিএলও) ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন লেজিসলেটিভ কাউন্সিল’ (পিএলসি) সমন্বয়ে গঠিত একটি কর্তৃপক্ষ। এই ফাতাই ফিলিস্তিনি সরকার পরিচালনা করে থাকে। এর সদর দফতর রামাল্লাহতে অবস্থিত।
‘ফাতাহ’ রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীন সরকার গঠন করতে চায়। অন্যদিকে, সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনে সরকার গঠনের পক্ষপাতী হামাস।