ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কাল থেকে ভোটগ্রহণ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ভোটগ্রহণ। সাত দফায় দেশটির প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। ফলে এ নির্বাচন হতে চলেছে বিশ্বের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় নির্বাচন।

নির্বাচনের আগ মূহুর্তেও ভারতের রাজনীতির মাঠ এখন সরগরম। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আনতে মরিয়া। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে মোদির উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।

এদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ ইন্ডিয়া জোটও বসে নেই। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস এবার পশ্চিমবঙ্গসহ আসামে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে প্রচার চালাচ্ছে। দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টিসহ দেশটির অন্যান্য রাজ্যের অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলোও প্রচারে ব্যস্ত। কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী ইন্ডিয়া জোটের অপর গুরুত্বপূর্ণ নেতা অখিলেশ যাদবকে নিয়ে প্রচারে নেমেছেন। মাঠে সরব রয়েছেন কংগ্রেসের জনপ্রিয় মুখ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও।

এদিকে ভারতের নির্বাচন কমিশনও এরই মধ্যে শেষ করেছে ভোটের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। প্রথম দফায় আগামীকাল (শুক্রবার) ১৯ এপ্রিল ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর দুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি রয়েছে। প্রথম দফা ভোটে প্রার্থীর সংখ্যাও ছাড়িয়েছে আড়াই হাজারের বেশি।

নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, এবার ভারতে নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৮ লাখ। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছেন ৪৭ কোটি ১০ লাখ, আর পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি ৭০ লাখ। ৪৮ হাজার ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ছাড়াও এবার শতবর্ষী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। একই সঙ্গে ৮৫ বছরের বেশি ভোট দাতার সংখ্যাও প্রায় ৮২ লাখ।

দেশজুড়ে এবার ২ হাজার ৬৬৬টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল লোকসভায় ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বহুজন সমাজবাদি পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন রয়েছে, তেমনই মমতার তৃণমূল, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মতো শক্তিশালী প্রাদেশিক দলও রয়েছে।

   

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রায় সাত মাস চলমান। এ অবস্থায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার ১৭ লাখেরও বেশি বাসিন্দা। মানবিক সংকটে অনেকেই গাজা থেকে পালিয়ে জীবন রক্ষা করতে চাইছেন। এ পরিস্থিতিতে বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে চাইলে তাদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছে তারা।

বুধবার (১ মে) সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন সরকারের অভ্যন্তরীণ নথিগুলোতে দেখা গেছে, মার্কিন নাগরিকদের সঙ্গে সংযুক্ত গাজা থেকে পালিয়ে আসা ফিলিস্তিনিদের ‘মার্কিন রিফিউজি অ্যাডমিশন প্রোগ্রাম’র মাধ্যমে আশ্রয় দেয়ার সম্ভাব্য বিকল্প উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সংক্রান্ত প্রস্তাবও পেশ করেছেন।

নথি অনুসারে, মার্কিন কর্মকর্তারা গাজা থেকে অতিরিক্ত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেয়ার কথাও বিবেচনা করছেন। তবে প্রস্তাবটি মিশরের সঙ্গে সমন্বয়ের ওপর নির্ভর করবে। কারণ দেশটি এতদিন ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিতে রাজি ছিল না।

মঙ্গলবার রাতে সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৮শ' টিরও বেশি আমেরিকান নাগরিক এবং তাদের পরিবারকে গাজা ছেড়ে যেতে সহায়তা করেছে। যাদের মধ্যে অনেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্দেশে আমরা এ সহায়তা করেছি। এছাড়াও কিছু বিশেষভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের, যেমন গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন এবং ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছে এমন শিশুদের এই অঞ্চলের নিকটবর্তী হাসপাতালে যত্ন নেওয়ার মতো সহায়তা আমরা করেছি এবং এটি অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

;

ই-মেইলে বোমার হুমকি, দিল্লির ১০০ স্কুল বন্ধ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ই-মেইলের মাধ্যমে বোমার হুমকি পাওয়ায় ভারতের রাজধানী দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী নয়ডা শহরের প্রায় ১০০ স্কুল খালি করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।

বুধবার (১ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

দেশটির বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য দিল্লি ও নয়ডাজুড়ে স্কুলগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে অপক্ষো করছেন অভিভাবকরা। স্কুলগুলোতে পুলিশের বিশেষ দল, ডগ স্কোয়াড ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট তল্লাশি পরিচালনা করেছে।

দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র সুমন নালওয়া এনডিটিভিকে বলেন, যেসব স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে সেখানে আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।

আরেক পুলিশ অফিসার বলেন, এটা ভুয়া বলে মনে হচ্ছে। আতঙ্ক ছড়াতে এত বড় পরিসরে সব স্কুলে মেল পাঠানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতিশী লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন অনুযায়ী অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করবে।

দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা বলেন, পুলিশ বোমার হুমকি ই-মেলের উত্স খুঁজে পেয়েছে। এটি একটি প্রতারণা বলে মনে হচ্ছে। আমি দিল্লির নাগরিকদের আশ্বস্ত করছি এই বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দিল্লি ও নয়ডার স্কুলে বোমার হুমকি দিয়ে করা ই-মেইলের উৎস রাশিয়া বলে জানিয়েছেন দিল্লির এক কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ভিপিএন ব্যবহার করে রাশিয়া থেকে ই-মেইল করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। 

 

;

চীনে মহাসড়কে ধস, নিহত অন্তত ১৯



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: আল জাজিরা

ছবি: আল জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে গভীর রাতে একটি মহাসড়কের একাংশ ধসে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অনেকেই।

বুধবার (১ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার স্থানীয় সময় রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মেইঝো শহর এবং ডাবু কাউন্টির মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী এস১২ হাইওয়ের ১৭.৯ মিটার (৫৮.৭ ফুট) প্রসারিত অংশ ধসে পড়ে। এতে ১৮টি গাড়িতে কয়েক ডজন লোক সেখানে আটকা পড়ে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং ৩০ জনকে হাসপাতালে জরুরি সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের জীবন বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে নেই।

এদিকে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য কর্তৃপক্ষ প্রায় ৫০০ জনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে মহাসড়কটি ধসে পড়েছে তা এখনো স্পষ্ট না।

;

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের বহিষ্কার, চলছে ধরপাকড়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকদিন ধরে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঠেকাতে হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। একইসাথে নির্বিচারে গ্রেফতার করছে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের।

বুধবার (১ মে) ওয়াশিংটনের পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার আদেশ জারি করার পর নিউইয়র্ক পুলিশ হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করে অভিযান চালায়। নিউইয়র্ক পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হ্যামিল্টন হল খালি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়। পুলিশ হ্যামিল্টন হলে ঢুকে পড়ে। তারা বিক্ষোভকারীদের ধাক্কা দেয়, আঘাত করে।

পুলিশকে ঠেকাতে বিক্ষোভকারীদের অনেকে দরজার বাইরে মানবঢাল তৈরি করেন। এছাড়াও টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্রেনের মতো দেখতে বড় ভ্রাম্যমাণ মই বেয়ে পুলিশ ভবনটিতে প্রবেশ করছে।

এদিকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করতে শুরু করেছে। গতকাল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বেন চাং বলেছেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরবর্তী ধাপের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কারের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সমর্থন দেওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। একইসাথে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহ আগে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে এই বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পাসগুলোয় তাঁবু খাটিয়ে চলছে বিক্ষোভ।

 

;