বন্দীদের সেনাবাহিনীতে যোগদানে ইউক্রেনের বিল পাস
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধ প্রায় তিন বছরে পেড়িয়েছে। দীর্ঘ এই সময়ে যুদ্ধ চালিয়ে আসলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না ইউক্রেন। এ পরিস্থিতিতে নতুন একটি বিল পাস করেছে ইউক্রেন পার্লামেন্ট। আর এ বিল অনুযায়ী, এখন থেকে ইউক্রেনের কারাবন্দিরা দেশটির সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন। নামতে পারবেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়েও।
বুধবার (৯ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন সরকার পার্লামেন্টে একটি বিল পাস করেছে। যার ফলে দেশটির কিছু সংখ্যক কারাবন্দী যারা দেশপ্রেমী তাদেরকে সেনা বাহিনীতে যোগদানের অনুমতি দেয়া হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে সৈন্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছে এবং বিপরীতদিকে রাশিয়ান বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে ক্রমেই অগ্রসর হচ্ছে। মূলত এ কারণেই ইউক্রেন সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে রাশিয়া যুদ্ধের শুরুতে বন্দিদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিয়ে আসছিল। আর ইউক্রেন এতদিন এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছিল। কিন্তু এবার সৈন্য সংকটের কারণে ইউক্রেন কে এমন বিল করতে হচ্ছে । যদিও বিলটিকে আইনে পরিণত করার আগে পার্লামেন্টের চেয়ারপারসন ভারখোভনা রাদা এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে স্বাক্ষর করতে হবে।
জেলেনস্কির পার্টির প্রধান এমপি ওলেনা শুলিয়াক এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘(বিলের পক্ষে) পার্লামেন্ট হ্যাঁ ভোট দিয়েছে। খসড়া আইনটি কিছু শ্রেণির বন্দিদের জন্য সেই সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে যারা প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদানের মাধ্যমে তাদের দেশকে রক্ষা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।’
তবে এই বন্দিদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান হবে স্বেচ্ছায় এবং এটি শুধুমাত্র কিছু শ্রেণির বন্দিদের জন্যই উন্মুক্ত।
শুলিয়াক বলেন, যৌন সহিংসতা, দুই বা ততোধিক লোককে হত্যা, গুরুতর দুর্নীতি এবং সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে যাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তারা সামরিক বাহিনীতে সেবা করার যোগ্য নয় বলে বিবচিত হবে।
তিনি বলেন, যেসকল বন্দির সাজা ভোগের মেয়াদ শুধুমাত্র তিন বছরের কম বাকি রয়েছে তারাই সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার যোগ্য। এছাড়া অন্য যে কোনও বন্দি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাইলে তাদের ক্ষমার পরিবর্তে প্যারোল মঞ্জুর করা হবে।