সেলফি তুলতে শেখালেন মোদি !



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
"স্মার্টফোনটা ব্যবহার করি বেশ কিছুদিন ধরেই, কিন্তু এখনও ঠিক মতো ছবি তুলতে পারি না। সেলফি তোলার ব্যাপারটাও ঠিক আয়ত্তে আসেনি। সেটা দেখেই উনি আমার ফোনটা নিয়ে হিন্দিতে বললেন, 'সেলফি অ্যায়সে খিঁচা যাতা', অর্থাৎ এইভাবে সেলফি তুলতে হয়। তারপরে নিজেই তুলে দিলেন সেলফিটা," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন করিমুল হক। করিমুল পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয় জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারে চা বাগানের একজন কর্মী। তার থেকেও বড় পরিচয়, তিনি 'অ্যাম্বুলেন্স দাদা।' আর যিনি করিমুলকে সেলফি কীভাবে তুলতে হয়, সেটা হাতে কলমে দেখালেন, তিনি আর কেউ নন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার যিনি অন্য ভারতীয় রাজনীতিকের থেকে অনেক আগেই রপ্ত করে ফেলেছেন। তাই সেলফিও যে কীভাবে তুলতে হয়, সেটাও তিনি অন্য অনেকের আগেই শিখে ফেলেছেন। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আমন্ত্রিত ছিলেন ওই চাবাগান কর্মী, কারণ, ২০১৭ সালে তাকে 'পদ্মশ্রী' সম্মানে ভূষিত করেছে ভারত সরকার। 'পদ্মশ্রী', ভারতের বেসামরিক নাগরিকদের দেওয়া তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মান। করিমুল হককে ওই সম্মানে ভূষিত করার কারণটা লুকিয়ে আছে ওই 'অ্যাম্বুলেন্স দাদা' পরিচয়ের মধ্যেই। নিজের মোটরসাইকেলটাকে তিনি ব্যবহার করেন অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে। ধলাবাড়ি চা বাগান আর তার আশপাশের প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় তার মোটরসাইকেলটাই মানুষের কাছে হাসপাতালে পৌঁছানোর একমাত্র উপায়। অনেক বছর আগে অসুস্থ মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য লোকের দরজায় দরজায় সাহায্য চেয়েও পাননি তিনি। চিকিৎসা পাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তার মায়ের। তখন থেকেই করিমুল হকের মাথায় ছিল আর্ত মানুষকে নূন্যতম চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কী করা যায়, সেটা। প্রায় ১৪ বছর আগে চা বাগানের এক সহকর্মী কাজ করতে করতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখনই নিজের মোটরসাইকেলে চাপিয়ে, নিজের গায়ের সঙ্গে ওই অসুস্থ সহকর্মীকে বেঁধে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেন তিনি। তারপর থেকে কোনো অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার দরকার পড়লে নিয়মিতই তার ডাক আসতে শুরু করে। চা বাগানের কর্মী করিমুল হক হয়ে ওঠেন দুর্গম এলাকার ত্রাতা - অ্যাম্বুলেন্স দাদা। হাজার চারেক রুপি বেতন তার, তবুও পুরো কুড়ি গ্রামের মানুষের কাছ থেকে বাইক-অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কোনো অর্থ নেন না করিমুল হক। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ছাড়া তিনি গ্রামের মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসাও দেন। এই করিমুল হককে গতবছর পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। আর শুক্রবার, ২০১৮ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে সব 'পদ্ম' সম্মানপ্রাপ্তদের সঙ্গে করিমুল হককেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল দিল্লিতে। তারপরে, রাষ্ট্রপতি ভবনে ছিল আপ্যায়ন। হাজির ছিলেন রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীসহ আসিয়ান দেশগুলির প্রধানরাও। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তুলতে চেয়েছিলেন করিমুল হক। "কয়েকবার চেষ্টা করলাম, হলো না। তখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই দেখিয়ে দিলেন যে সেলফি কীভাবে তুলতে হয়। তারপরে রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও সেলফি তুলেছি," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন করিমুল হক। এই প্রতিবেদনের সঙ্গে দেওয়া ছবিটি করিমুল হকের ফোনে নরেন্দ্র মোদির তুলে দেওয়া সেলফি।
   

ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে হিজবুল্লাহ: গ্যালান্ত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৭ মাস ধরে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত।

শনিবার (১৮ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার রাজধানী জেরুজালেমে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে যে আমাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই এবং আমরা এটা বুঝতে পারি; কিন্তু যে গত কয়েক মাসে যত সন্ত্রাসীকে আমরা হত্যা করতে পেরেছি, সেই সাফল্যও তুচ্ছ নয়।’

ওই বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘আমি বরাবরই বলে আসছি যে আমাদের সব সময় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এতদিন পর্যন্ত কেউ একে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ৭ অক্টোবরের পর সবাই বুঝতে পেরেছে যে আমরা কতখানি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। তবে আমরা কখনও পিছু হটব না। সন্ত্রাসীদের প্রতিটি হামলার জবাব আমরা দেবো।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহর এসব হামলার জবাবে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে ও লেবাননের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকবার বিমান ও গোলা হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। এসব হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২ শতাধিক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা।

;

হরিয়ানায় চলন্ত বাসে আগুন, প্রাণ গেল ৯ পুণ্যার্থীর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে পুণ্যার্থীবাহী চলন্ত বাসে আগুন লেগে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন আরও ২৪ জন। ঘটনার সময় বাসে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন।

শনিবার (১৮ মে) ইন্ডিয়া ট্যুডে'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৭ মে) রাতে হরিয়ানার নুহ জেলার মানেসার পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবোঝাই একটি বাসে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এতে ছয়জন নারো ও তিনজন পুরুষ ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হন। এছাড়া আহত হন আরও ২৪ জন। জানা যায়, যাত্রীদের অধিকাংশই ধর্মীয় তীর্থযাত্রী ছিলেন।

আগুন নেভানোর পর চিকিৎসার জন্য দগ্ধদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় হতাহতরা চণ্ডীগড় ও পঞ্জাবের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তারা সবাই মথুরা ও বৃন্দাবন থেকে ফিরছিলেন। নারী-শিশুসহ বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন।

কী কারণে চলন্ত বাসে আগুন ধরল, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। পুলিশ পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত দেড়টার দিকে চলন্ত বাসে আগুন লাগার বিষয়টি লক্ষ্য করেন তারা। বাসের পেছন থেকে লেলিহান আগুনের শিখা বের হচ্ছিল। গ্রামবাসীরাই চিৎকার করে বাস চালককে বাস থামাতে বললেও বাসের চালক তা শোনেনি ৷ এরপর এক যুবক বাইকে করে বাসটিকে ধাওয়া করে সেটিকে থামায়।

;

রাফায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে ১৩ দেশের চিঠি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার রাফায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যৌথ চিঠি পাঠিয়েছে ১৩ টি মিত্র দেশ। দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পাঁচ পাতার একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করে তা ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজের হাতে তুলে দিয়েছেন। একই সঙ্গে সে চিঠি জনসম্মুখেও প্রকাশ করেছেন।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা রাফায় পূর্ণ মাত্রার সামরিক অভিযানের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করছি, যা বেসামরিক জনগণের ওপর বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্যদেশ ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও সুইডেন।

উক্ত চিঠিতে গাজা উপত্যকায় বিধ্বংসী ও ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিরসনে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভাকে কাজ করার কথাও তারা উল্লেখ করেছেন। একইসাথে
মিত্র দেশের মন্ত্রীরা ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জরুরী মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে রাফাহ ক্রসিংসহ সমস্ত সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এছাড়াও চিঠিতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে গাজায় আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর পাশাপাশি ইউএন এজেন্সি ফর ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের (UNRWA) অ্যাক্সেসের অনুমতি দিতে, সাহায্য কর্মী এবং আন্তর্জাতিক কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং স্থানীয় ট্রাক চালকদের জন্য পর্যাপ্ত পারমিট প্রদান করতে বলা হয়েছে।

;

হামাসের সুড়ঙ্গ থেকে ৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামাসের একটি সুড়ঙ্গে অভিযান চালিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

শনিবার (১৮ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতরা হলেন শানি লোক, অমিত বুসকিলা এবং ইজহাক গেলেরেন্তার। এই তিনজনকে গত ৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফ্যাস্টিভালে হত্যা করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পরে তাদের মরদেহ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ইসরায়েলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের দক্ষিণ ইসরায়েলে নোভা উৎসবে হত্যা করা হয়েছিল। ৭ অক্টোবর ওই উৎসবে যোগ দেয়া ৩৬০ জনের বেশি মানুষ হামাসের হামলায় নিহত হন।

ইসরায়েলে হামাসের ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন। এ ছাড়া দেশটি থেকে ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস সদস্যরা। তাদের মধ্যে ১০৫ জনকে গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারের পর প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, 'প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিনজন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের খবরে আমি মর্মাহত। আমার স্ত্রী সারা এবং আমি তাদের পবিরারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা আমাদের সব জিম্মিকে ফেরাব-জীবিত অথবা মৃত। আমি আমাদের সাহসী সেনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যারা আমাদের ছেলে ও মেয়েদের বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছে।'

এদিকে হামাসের হাতে এখনো প্রায় ১২৫ জন জিম্মি রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে কতজন জীবিত আছেন, তা নিশ্চিত নয়। এই জিম্মিদের দেশে ফেরাতে ইসরায়েলে নিয়মিত বিক্ষোভ করছেন দেশটির নাগরিকেরা।

;