ইউক্রেনের ছয় শিশুকে ফিরিয়ে দিল রাশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাতারের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত ছয় শিশুকে ফেরত দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাস’র বরাতে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।

তাস নিউজ এজেন্সি বুধবার (২২ মে) একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে কাতারের রাষ্ট্রদূত মস্কোতে কাতারের দূতাবাসে আপন দুই ভাইসহ ছয় থেকে ১৭ বছর বয়সি ওই শিশুদের সঙ্গে করমর্দন করছেন।

এ বিষয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে তাস জানিয়েছে, ইউক্রেনের শিশুদের হস্তান্তর অনুষ্ঠানে রাশিয়ার শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভা’র প্রতিনিধিত্বকারী কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এই মারিয়া লভোভা-বেলোভা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন থেকে শিশুদের রাশিয়ায় বেআইনিভাবে নির্বাসন করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) অভিযুক্ত হয়েছেন।

যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন।

ইউক্রেন বিশ্বাস করে যে, রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আক্রমণের পর থেকে প্রায় ২০ হাজার ইউক্রেনীয় শিশু এবং নাবালককে অবৈধভাবে নির্বাসন দিয়েছে, যার মধ্যে ৪০০ জনেরও কম শিশুকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা শিশুদের নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তাদের দূরে স্থানান্তর করেছে।

মস্কো দাবি করেছে, এদের মধ্যে কিছু নাবালকের বাবা-মা যুদ্ধে নিহত হয়েছেন, অন্যরা যুদ্ধের শুরুতে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ইউক্রেনের এতিমখানায় ছিল, যে অঞ্চল তখন দখল করেছিল রাশিয়া।

গত বছর থেকে রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ের সঙ্গে আলোচনার পরে এই শিশুদের পারিবারিক পুনর্মিলন প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছে কাতার।

বুধবারের সফলতার পরে এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশা করছে উপসাগরীয় রাষ্ট্রটি।

গত মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, ইউক্রেনের ১৬ জন অসুস্থ শিশু, যাদের পূর্বে জোরপূর্বক রাশিয়ায় নির্বাসিত করা হয়েছিল, তারা কাতারে সুস্থ হয়ে উঠছে।

জেলেনস্কি বলেন, কাতারের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার জন্য শিশুরা তাদের পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হতে পেরেছে।

   

রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান গভীর সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে পেন্টাগন মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, ‘এখানে আশ্চর্যের কিছু নেই যে, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া এই সম্পর্কের বিকাশ ও লালন করছে। তবে একে আমরা গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি এবং পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছি।’

আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে রাইডার বলেন, ‘যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে ফোকাস করে, তখন সমগ্র বিশ্বের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার বিষয়ে সমমনা দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কাজ চালিয়ে যায়, তার মধ্যে এই অঞ্চলকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’

সম্প্রতি রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে হওয়া চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে তারা তৃতীয় কোনো দেশের দ্বারা আক্রমণের শিকার হলে বিলম্ব না করে একে অপরকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে আমরা তাদের এসব চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চাচ্ছি না।’

পেন্টাগন মুখপাত্র বলেন, ‘আপনারা অতীতে যেমনটা দেখেছেন যে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধকে সমর্থন করছে। দেশটি রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে, যা দিয়ে নিরীহ ইউক্রেনীয়দের হত্যা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাই আবারও বলছি, তাদের এই চুক্তি অবশ্যই সেইসব জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ, যারা সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে, আইনের শাসনকে সম্মান করে।’

ইউক্রেনকে বশে আনতে গিয়ে রাশিয়া নিঃস্ব হয়ে গেছে দাবি করে রাইডার বলেন, ‘রাশিয়াকে এখন অস্ত্র সংগ্রহের জন্য উত্তর কোরিয়ার মতো একটি দেশে যেতে হয়েছে। এটাই প্রমাণ করে যে রাশিয়া এখন কতটা বিচ্ছিন্ন ও নিঃস্ব।’

;

রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান গভীর সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে পেন্টাগন মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, ‘এখানে আশ্চর্যের কিছু নেই যে, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া এই সম্পর্কের বিকাশ ও লালন করছে। তবে একে আমরা গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি এবং পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছি।’

আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে রাইডার বলেন, ‘যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে ফোকাস করে, তখন সমগ্র বিশ্বের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার বিষয়ে সমমনা দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কাজ চালিয়ে যায়, তার মধ্যে এই অঞ্চলকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’

সম্প্রতি রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে হওয়া চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে তারা তৃতীয় কোনো দেশের দ্বারা আক্রমণের শিকার হলে বিলম্ব না করে একে অপরকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে আমরা তাদের এসব চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চাচ্ছি না।’

পেন্টাগন মুখপাত্র বলেন, ‘আপনারা অতীতে যেমনটা দেখেছেন যে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধকে সমর্থন করছে। দেশটি রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে, যা দিয়ে নিরীহ ইউক্রেনীয়দের হত্যা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাই আবারও বলছি, তাদের এই চুক্তি অবশ্যই সেইসব জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ, যারা সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে, আইনের শাসনকে সম্মান করে।’

ইউক্রেনকে বশে আনতে গিয়ে রাশিয়া নিঃস্ব হয়ে গেছে দাবি করে রাইডার বলেন, ‘রাশিয়াকে এখন অস্ত্র সংগ্রহের জন্য উত্তর কোরিয়ার মতো একটি দেশে যেতে হয়েছে। এটাই প্রমাণ করে যে রাশিয়া এখন কতটা বিচ্ছিন্ন ও নিঃস্ব।’

;

ইউক্রেনকে অস্ত্র দিলে বড় ভুল করবে দক্ষিণ কোরিয়া : পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিলে দক্ষিণ কোরিয়া বড় ধরনের ভুল করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন।

রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার নতুন চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় সিউল এ ধরনের সম্ভাবনা বিবেচনা করছে বলে জানানোর পর তিনি এ মন্তব্য করলেন।

বিবিসি জানিয়েছে, পুতিন বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বলেছেন, সিউল যদি কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে মস্কো এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে তা দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান নেতৃত্বের জন্য বড় ধরণের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পিয়ংইয়ং ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা পরই দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চ্যাং হো-জিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার পরিকল্পনা করছি।’

এদিকে, পুতিনের সফরে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে, যার সমালোচনা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।

চ্যাং হো-জিন বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে শক্তিশালী করে, এ ধরনের যেকোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের লঙ্ঘন। অথচ রাশিয়া নিজেই ওই প্রস্তাবের পক্ষে ছিল। তাই এই প্রতিরক্ষা চুক্তি করে স্বয়ং মস্কো তা লঙ্ঘন করেছে। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়াকে সহায়তা দিলে তা দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়ার সম্পর্কে নিঃসন্দেহে নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলবে।”

দক্ষিণ কোরিয়া ইউক্রেনকে মানবিক সহায়তা ও সামরিক সরঞ্জাম দিলেও এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ করতে রাজি হয়নি। কারণ, যুদ্ধরত কোনো পক্ষের কাছে অস্ত্র বিক্রি না করার নীতি দীর্ঘদিন ধরেই মেনে চলছে সিউল।

তাই রুশ হামলার শুরুর পর ওয়াশিংটন ও কিয়েভের অনুরোধের পরও ইউক্রেনকে অস্ত্র বিক্রি করতে রাজি হয়নি দেশটি।

ইউক্রেনের কেউ কেউ আশা করছেন যে, মস্কো এবং পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে গভীর সামরিক সহযোগিতা সিউলকে তার দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করবে।

পুতিনের সফরের উত্তর কোরিয়ার নেতা ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।

রাশিয়াও এরই মধ্যে ইউক্রেনে উত্তর কোরিয়া থেকে পাওয়া ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে শুরু করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে মস্কো-পিয়ংইয়ংয়ের প্রতিরক্ষা চুক্তিতে অবাক হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি। এই চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাপানও।

;

ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে কসাই জিহাদ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার অভিযুক্ত কসাই জিহাদ হাওলাদারের ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (২১ জুন) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত ও দায়রা আদালত এই নির্দেশ দেন।

গত ২৩ মে জিহাদকে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। ২৪ মে প্রথমবার তাকে বারাসাত আদালতে তোলা হয়। এরপর মোট ২ দফায় ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত। সিআইডি রিমান্ড শেষে গত ৭ জুন আদালতে তোলা হলে প্রথম দফায় ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারক। সেই মেয়াদ শেষেই শুক্রবার ফের দ্বিতীয় দফায় ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন আদালত।

তবে এদিন আদালতে সশরীরে হাজিরা দেয়নি অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদার। বর্তমানে তিনি দমদমের কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। সেখান থেকে ভিডিও কনফারেন্সে আসামির বক্তব্য শোনেন এবং পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভঙ্কর বিশ্বাস। সে ক্ষেত্রে আগামী ৫ জুলাই ফের তাকে আদালতে তোলা হবে।

অভিযুক্ত জিহাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ), ৩০২ (অপরাধমূলক নরহত্যা), ২০১ (তথ্য প্রমাণ লোপাট) এবং ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র)- এই চার জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনে এমপি আনারকে খুন করা হয়। হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান শাহীনের নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড হয় বলে জানা যায়।

;