গাজায় নারী ও শিশুসহ আরও ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ আরও ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার মধ্যাঞ্চলীয় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে এবং গাজা সিটিতে পৃথক ইসরায়েলি হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। মূলত জেইতুন এলাকায় মানুষ একটি গ্যাস স্টেশনের সামনে জড়ো হয়েছিল এরপরই তাদের ওপর ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান সহিংসতায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৫ হাজার ৭০৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। হামলায় আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন বলেও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

   

ন্যাটোর প্রধান হচ্ছেন ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের অক্টোবরে শেষ হবে ন্যাটোর বর্তমান মহাসচিব স্টলটেনবার্গের পদে থাকার মেয়াদ। তারপর এই দায়িত্বভার নেবেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে। 

ন্যাটো শরিকদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। জার্মান সংবাদসংস্থা ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়,  ২০২৩ সালের জুলাইতে ১৩ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকার পর রুটে ঘোষণা দেন, তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন। নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী। 

কিন্তু কেন তিনি এই ঘোষণা করেছিলেন?

জোটের মধ্যে অভিযোগ ওঠে, রুটে অভিবাসীদের প্রতি নরম মনোভাব দেখাচ্ছেন। এর ফলে চারদলীয় জোট ভেঙে যায়। এরপর নির্বাচনে দক্ষিণপন্থীরা সবচেয়ে বেশি আসন পায়। রুটে তার রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় হারের মুখে পড়েন।

তারপর থেকে তিনি কার্যকরী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন। কারণ দক্ষিণপন্থি দল এখনো সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছে।

২০২৩ সালে ৫৭ বছর বয়সি রুটে তার অবসর ঘোষণার কথা ভুলে ন্যাটোর শীর্ষ পদে বসার ইঙ্গিত দিতে থাকেন। রুটে ন্যাটো দেশগুলোর প্রধানদের সঙ্গে দেখা করতে শুরু করেন। তিনি এতদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকার সূত্রে তাদের আগে থেকেই চিনতেন ও জানেন। রুটে হলেন ইউক্রেনের একনিষ্ঠ সমর্থক। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেতেও তার অসুবিধা হয়নি। পরে ন্যাটোর অন্য সদস্য দেশও তাকে সমর্থন জানায়।

তবে হাঙ্গেরির দক্ষিণপন্থী জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সমর্থন পেতে তার কিছুটা দেরি হয়। অরবানের সঙ্গে রুটের সম্পর্ক আগে খুব একটা মধুর ছিল না। রুটেকে প্রতিশ্রুতি দিতে হয়, তিনি যতদিন ন্যাটোর নেতৃত্ব দেবেন, ততদিন হাঙ্গেরি ন্যাটোর সীমার বাইরে ইউক্রেনকে সাহায্য করবে না। অরবানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক খুব ভালো এবং তিনি ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন।

অতীতে ইইউ-তে রুটের উদারনৈতিক মনোভাবের সঙ্গে অরবানের মতের সংঘাত হয়েছে। ২০২১ সালে হাঙ্গেরি যখন এবজিবিটিকিউপ্লাস-এর বিরোধী আইন করেন, তখন রুটে বলেছিলেন, যদি ইইউ-র নীতির সঙ্গে এরকম বিরোধ হয় তো অরবান ইইউ ছেড়ে চলে যেতে পারেন।

তবে রুটে এমনিতে এমন একজন মানুষ, যার রসিকতাবোধ আছে। যিনি সাধারণ বাড়িতে থাকেন। সাইকেলে করে অফিসে আসেন। মাঝেমধ্যে তিনি হেগ সেন্ট্রাল স্টেশনে পিয়ানো বাজান।

তবে ন্যাটো প্রধান হিসেবে তাকে আরেকটু সিরিয়াস হতে হবে ও কূটনৈতিক পথে চলতে হবে। ন্যাটোর ৩২টি সদস্য দেশের বিরোধী স্বার্থের মধ্যে ভারসাম্য করে চলতে হবে, যাতে সকলে একসুরে কথা বলতে পারে। স্টলটেনবার্গ একটু নির্বিকার প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তার সাফল্যের পিছনে এই মনোভাব কাজ করেছে বলে মনে করা হয়।

;

ক্ষমতায় এলে বিদেশি গ্র্যাজুয়েটদের গ্রিন কার্ড দেবেন ট্রাম্প



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিবাসন ইস্যুতে সুর নরম করলেন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি বলেন, তিনি যদি ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে, কলেজগুলো থেকে গ্র্যাজুয়েট করা বিদেশিদের গ্রিন কার্ড দেবেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প অঙ্গীকার করে বলেন, মেধাবীদের যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার প্রক্রিয়া তিনি সহজ করবেন ও যারা কলেজগুলো থেকে গ্র্যাজুয়েট করবেন তারা থাকতে পারবেন।

সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, হার্ভার্ড ও এমআইটিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের গ্র্যাজুয়েটদের হারানোটা দুঃখজনক।

ট্রাম্প বলেন, গ্রাজুয়েট শেষ করার পরে স্বাভাবিকভাবেই গ্রিন কার্ড পাওয়া উচিত ও এক্ষেত্রে জুনিয়র কলেজগুলোও অন্তর্ভুক্ত হবে।

গ্রিন কার্ড হলো যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজ করার অনুমতি। এর মাধ্যমেই মূলত নাগরিক হওয়ার পথ সুগম হয়।

ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের কারণে প্রতি বছর নতুন নাগরিকত্বের আবেদন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। অভিবাসন ইস্যুতে নিজের কঠোর অবস্থান থেকে সরে এলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, এতে রিপাবলিকান পার্টিতেও তার গুরুত্ব বাড়বে।

তবে অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিতাড়িত করার ব্যাপারে অনড় রয়েছেন সাবেক এই বিতর্কিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এক্ষেত্রে তিনি বাইডেনের সমালোচনাও করেন।

;

‘হামাস নির্মূল’ অসম্ভব বললেন হাগারি, সেনা-সরকার তোলপাড়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হামাস নির্মূলের হুংকার নিয়ে গাজায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এতদিন ধরে যুদ্ধ করলেও, প্রকৃতপক্ষে তা অসম্ভব ও অবাস্তব বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হাগারি। তার বক্তব্যকে ঘিরে তোলপাড় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রশাসন।

সম্প্রতি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের দেওয়া এক বক্তব্য ঘিরে বিভক্তির বিষয়টি আরও প্রকাশ্যে এসেছে।

গাজায় ৯ মাসে ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেও ক্ষান্ত হয়নি ইসরায়েল। হামাস নির্মূল না করা পর্যন্ত নেতানিয়াহু এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু হামাস এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে গাজায়। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের তাই বিপদ বাড়ছে। বিপরীতে ইসরায়েলি জনগণও দিনে দিনে আস্থা হারাচ্ছে।

তবে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হাগারির দেওয়া বক্তব্যে বিপাকে নেতানিয়াহু। তার হামাস নির্মূলের লক্ষ্য অর্জন নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

গত বুধবার দেশটির গণমাধ্যম চ্যানেল থার্টিন’কে হাগারি বলেছেন, হামাসকে নির্মূল করার কাজটি ‘অসম্ভব’ এবং এককথায় ‘ভুল’।

সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেন, হামাসকে ধ্বংস করা, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া; এককথায় জনগণের চোখে ধুলা দেওয়ার মতো বিষয়। 

এই সেনা কর্মকর্তার দাবি, হামাস একটি আদর্শ। সেই সাথে হামাস একটি দল। সংগঠনটি তাদের জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। কেউ যদি মনে করে আমরা হামাসকে নির্মূল করতে পারব, সেটা ভুল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, হাগারির এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে চলমান যুদ্ধ নিয়ে নেতানিয়াহুর নেওয়া কৌশলের বিষয়ে একটি ধারণা পাওয়া যায়। আর মাঠে লড়াই চালিয়ে যাওয়া সেনাবাহিনী বলছে এই নীতি মূলত অবাস্তব।

হাগারির বক্তব্যের জবাবে নেতানিয়াহুর দপ্তর বলেছে, হামাসের সামরিক এবং সরকার পরিচালনার সক্ষমতা ধ্বংস করে দেওয়ার বিষয়টি যুদ্ধের লক্ষ্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ঠিক করে দিয়েছে। অবশ্যই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীও এর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এরপরই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে দেওয়া বিবৃতিতে সামরিক বাহিনী বলেছে, মন্ত্রিসভার ঠিক করে দেওয়া যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জনে সামরিক বাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ। যুদ্ধে দিনরাত সেই কাজটিই করে চলেছে সামরিক বাহিনী এবং অব্যাহতভাবে সেটা করে যাবে।

হাগারির মন্তব্যের বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, তার বক্তব্য ছিল মতাদর্শ ও ধারণা হিসেবে হামাসকে ধ্বংস করা নিয়ে। তিনি খুবই স্পষ্টভাবে বিষয়টি বলেছেন। এ নিয়ে অন্য সব দাবি তার বক্তব্যের সাথে অপ্রাসঙ্গিকভাবে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।

;

হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা এড়াতে ইসরায়েলকে ব্লিঙ্কেনের আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলি নেতাদের আহ্বান জানান যেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা এড়িয়ে চলে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছ্

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হ্যানেগবি ও ইসরায়েলের কৌশলগতবিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমারের সঙ্গে বৈঠকের সময় ব্লিঙ্কেন এই মন্তব্য করেছেন।

হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর কঠোর হুঁশিয়ারির পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে বৈঠক হয়। নাসরুল্লাহ বলেছেন, লেবাননে হামলা চালালে হিজবুল্লাহ সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করবে। মানা হবে না কোনো নিয়মনীতি।

এর আগে বুধবার (১৯ জুন) ইরান-সমর্থিত সংগঠন হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অনুমোদন দেয় তেল আবিব। এর জবাবে ইসরায়েল ও তাদের ‘সহযোগী’ সাইপ্রাসকে হুমকি দেন হিজবুল্লাহর হাসান নাসরুল্লাহ।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফাতে হামলার হুমকি দেয় হিজবুল্লাহ। এমনকি, তারা শহরটির ওপর দিয়ে একটি পর্যবেক্ষণ ড্রোনও উড়ায়। এর পরপরই হিজবুল্লাহকে ‘ধ্বংস’ করতে লেবাননে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দেয় তেল আবিব।



;