নারী সেনাদের আটক করার ভিডিও প্রকাশ করল ইসরায়েল
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে ইসরায়েলের পাঁচজন নারী সেনাকে আটক করার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, জিম্মি হিসেবে আটক এসব সেনার পরিবার অনুমতি দেওয়ার পরে বুধবার (২২ মে) ইসরায়েলের একটি প্রচারণা দল এ ভিডিও প্রকাশ করে।
তিন মিনিটের ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা গেছে, জিম্মি নারী সেনারা মাটিতে বসে আছেন। তাদের কারো কারো মুখে রক্ত এবং হাত পেছনে শক্ত করে বাঁধা। দক্ষিণ ইসরায়েলের নাহাল ওজ ঘাঁটি থেকে তাদের বন্দী করা হয়।
জিম্মি ও নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত ফ্যামিলি ফোরামের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ওই ফুটেজ হামাসের ক্যামেরায় ধারণ করা দুই ঘন্টার ভিডিও থেকে নেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ভিডিওতে তাদের অপহরণের সময়কার হিংসাত্মক, অপমানজনক ও আতংকজনক আচরণের বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে।
ফুটেজের শেষ দিকে দেখা গেছে এসব নারী সেনাকে হামাস একটি সামরিক জিপে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ইসরায়েল দাবি করেছে, ওই সামরিক ঘাঁটিতে হামাসের হামলায় ৫০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৫ জন নারী সেনা রয়েছেন।
ওই সামরিক ঘাঁটিতে হামলার সময় হামাস সাত নারী সেনাকে জিম্মি হিসেবে আটক করে। এদের মধ্যে একজনকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের সময় ছেড়ে দেওয়া হয় এবং অপর একজনের লাশ উদ্ধার করে ইসরায়েলকে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে হামাস বলেছে, ওই ভিডিও ফুটেজে কারসাজি করা হয়েছে, যাতে মিথ্যে অভিযোগ এবং প্রতিরোধের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করা যায়।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে।
এখনও হামাসের কাছে ১২৪ জন জিম্মি হিসেবে আটক রয়েছে বলে ধারণা করছে ইসরায়েল।
হামাসের হামলার পরে গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৫ হাজার ৭০৯ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।