গাজাজুড়ে ইসরায়েলের হামলা, অন্তত ৫০ প্রাণহানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় আরও অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডজুড়ে চালানো পৃথক হামলায় তারা নিহত হন।

এদিকে ইসরায়েলি হামলার জেরে এখন পর্যন্ত রাফাহ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন ৮ লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। শুক্রবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকা জুড়ে আকাশ ও স্থলপথে চালানো হামলায় কমপক্ষে ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে হামাসের নেতৃত্বাধীন যোদ্ধাদের সাথে ইসরায়েলি সেনাদের ব্যাপক লড়াই চলছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এবং হামাসের সশস্ত্র শাখা।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ট্যাংকগুলো রাফার আরও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে, শহরের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা ইবনার দিকে অগ্রসর হয়েছে এবং তিনটি পূর্ব শহরতলিতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘দখলদার ইসরায়েলিরা আরও পশ্চিমে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তারা ইবনার প্রান্তে রয়েছে, যা ঘনবসতিপূর্ণ। তারা এখনও এটি আক্রমণ করেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছি, এবং আমরা দেখছি যে সেনারা আক্রমণ করেছে এবং সেখান থেকে কালো ধোঁয়া উঠছে। এটি আরেকটি খুব কঠিন রাত ছিল।’

এই মাসে গাজার উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে একযোগে ইসরায়েলি হামলার ফলে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে এবং ইসরায়েলি বাহিনী সাহায্য প্রবেশের প্রধান প্রবেশ পথও বন্ধ করে দিয়েছে, যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিও বাড়িয়েছে।

ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা ছাড়াই রাফাহতে স্থল হামলা শুরু করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যরা গাজার দক্ষিণের এই শহরটিতে হামলার জন্য ইসরায়েলকে ব্যাপকভাবে সমালোচনাও করেছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, সেখানে হামাস যোদ্ধাদের বেশ কয়েকটি ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে তাদের অবশ্যই অগ্রসর হতে হবে।

গাজায় পরিচালিত প্রধান সাহায্য সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস বলছে, চলতি মে মাসের প্রথম দিকে ইসরায়েল রাফা শহরটিতে হামলা শুরু করার পর থেকে গত সোমবার পর্যন্ত ৮ লাখেরও বেশি মানুষ রাফা থেকে পালিয়ে গেছেন।

গাজায় নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের জরুরি প্রতিক্রিয়া নেতা সুজে ভ্যান মিগান বলেছেন, অনেক বেসামরিক নাগরিক এখনও সেখানে আটকে আছেন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘রাফাহ শহরটি এখন তিনটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিশ্বের সমন্বয়ে গঠিত: পূর্ব দিকটি মৌলিক যুদ্ধ অঞ্চল, মাঝামাঝি অঞ্চলটি ভৌতিক শহরে পরিণত হয়েছে এবং পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থানরত জনবহুল জনগোষ্ঠী শোচনীয় পরিস্থিতিতে বসবাস করছে।’

উল্লেখ্য, সমান্তরালভাবে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরেও স্থল আক্রমণ বাড়িয়েছে। সেখানে তারা বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকাও ধ্বংস করেছে। নিকটবর্তী শহর বেইট হানুনেও হামলা করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েল অবশ্য কয়েক মাস আগেও এই অঞ্চলে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু এখন তাদের দাবি, হামাসকে সেখানে পুনরায় সংগঠিত হতে বাধা দিতে তাদের আবারও ফিরে আসতে হয়েছে।

ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, মধ্য গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ শহরের পূর্বে অবস্থিত জনকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি দোকানে বিমান হামলায় অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, ভোরের দিকে চালানো দুটি বিমান হামলায় গাজা শহরে ১৫ শিশুসহ আরও ২৬ জন নিহত হয়েছেন।

সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, এর মধ্যে একটি হামলায় গাজার একটি পরিবারের বাড়িতে বোমা আঘাত হানে। ওই হামলায় আল-দারাজ এলাকায় ১৬ জন নিহত হয় এবং মসজিদ প্রাঙ্গণে চালানো আরেকটি হামলায় ১০ জন নিহত হয়।

মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় আরও আটজন নিহত হয়েছেন।

গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা শহরের আবাসিক জেলাগুলো সফর করার সময় ইসরায়েলি হামলায় দিয়া আলদিন আল-শুরাফা নামের একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

নৃশংস হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল খাবার পানীয়, খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানি সরবরাহের ওপরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং গাজাজুড়ে বেশ কয়েকটি হাসপাতালও বন্ধ করতে বাধ্য করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, দেইর আল-বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে বিদ্যুৎ জেনারেটরে ‘কয়েক মিনিটের’ জ্বালানি অবশিষ্ট রয়েছে। জ্বালানি শেষ হলে ১৩০০ জন রোগীর সেবাও বন্ধ হয়ে যাবে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘গাজায় যদি বিপুল পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ শুরু না হয়, তাহলে হতাশা ও ক্ষুধা ছড়িয়ে পড়বে’ বলে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

   

ইইউ’র ৮১ সংবাদমাধ্যমে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৮১টি গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার ব্লক করার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। চার রুশ সংবাদমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব হিসেবে মঙ্গলবার (২৫ জুন) তাদের ৮১টি সংবাদমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার ঘোষনা দিয়েছে মস্কো।

বুধবার (২৬ জুন) এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের শুরু থেকেই অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহসহ ইউক্রেনকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ দেশ। পাশাপাশি অর্থনীতি ও গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো নানা কৌশলে রাশিয়াকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে পশ্চিমা দেশগুলো। এরই অংশ হিসেবে গত মাসে রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তারা।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানিকভাবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে’ এমন সংবাদমাধ্যমগুলোতে রুশ জনগণের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে। তবে রুশ গণমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে রুশ নিষেধাজ্ঞাগুলোও ‘সংশোধন’ করা হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।

;

সংবিধান হাতে নিয়ে শপথ নিলেন রাহুল গান্ধী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের শপথ পাঠ চলছে। মঙ্গলবার সংসদে শপথ পাঠ করেন রাহুল গান্ধী। হাতে সংবিধানের একটি কপি নিয়ে শপথ নেন এই কংগ্রেস নেতা। শপথ পাঠের পর জয় সংবিধান বলেও স্লোগান দিতে দেখা যায় তাকে।

তবে শুধু সংসদেই নয় ভোটের প্রচার পর্ব থেকেই সংবিধানের কপি হাতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঝোড়ো প্রচার করেছেন রাহুল গান্ধী। এছাড়া ভোটের পরও তার দলসহ ইন্ডিয়াজোটের ব্যাপক সাফল্যের পর কংগ্রেসের এমপি রাহুল বলেন, দেশ এই নির্বাচনে সংবিধানের পক্ষে রায় দিয়েছে। এরপর, সোমবার সংসদে সদস্য পদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের শপথের সময়ও দেখা যায় রাহুলরা সংবিধানের কপি হাতে তুলে তা দেখাচ্ছেন।

এবার উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি ও কেরালার ওয়েনাড থেকে জয়ী হন রাহুল গান্ধী। তবে ওয়েনাড থেকে নয়, রায়বরেলীর সংসদ সদস্য হিসেবেই সংসদে শপথ নিয়েছেন রাহুল গান্ধী। ওয়েনাড রাহুল গান্ধী ছেড়ে দেওয়ায় সেখানকার উপনির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লড়বেন। রায়বরেলীতে এবার রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন রাহুল। এই আসনে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য ছিলেন সোনিয়া। তারও আগে রায়বরেলী থেকে কংগ্রেসের সংসদ সদস্য ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।

;

কেনিয়ার সংসদ ভবনে বিক্ষোকারীদের আগুন, গুলিতে নিহত অন্তত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: কেনিয়ায় পার্লামেন্টের ভেতর বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব

ছবি: কেনিয়ায় পার্লামেন্টের ভেতর বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব

  • Font increase
  • Font Decrease

কেনিয়ায় কর বৃদ্ধি বিষয়ক আইন পাস নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষোভ এতটাই শক্তি ধারণ করে যে অসংখ্য বিক্ষোভকারী দেশটির সংসদের ভেতর ঢুকে পড়েছেন। বিক্ষোভকারীরা সংসদে ঢুকে পড়ার পর এমপিরা বেজমেন্টে গিয়ে লুকান। বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক উপস্থিতি এবং পুলিশের গোলাগুলির কারণে তারা সেখান থেকে বের হতে পারছেন না।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা সংসদে আগুন দিয়েছেন। এতে ভবনটির একটি অংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেসব বিক্ষোভকারী সংসদে ঢুকে পড়তে সমর্থ হয়েছেন তাদের বের করে দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু ইতিমধ্যেই সংসদের ভেতর থাকা চেয়ার টেবিল ভেঙে ফেলেছেন তারা।

বিক্ষোভ দমনে সরাসরি গুলি ছুড়েছে পুলিশ। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক প্যারামেডিক। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

বিবিসি তাদের সর্বশেষ আপডেটে জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা এখনো সংসদের ভেতর অবস্থান করছেন।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, কর বৃদ্ধি আইন পাসের বিরোধীতা করে আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) সারাদিন সংসদের বাইরে অবস্থান নেন সাধারণ মানুষ। এ সময় তাদের সরিয়ে দিতে অসংখ্য কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা একটা সময় রাজধানী নাইরোবিতে অবস্থিত সংসদে ঢুকে পড়তে সমর্থ হন।

গত সপ্তাহে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ-সমাবেশ দেশটির সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছে। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো গত সপ্তাহের শেষের দিকে বলেছিলেন, তিনি বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত।

কিন্তু মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে নাইরোবিতে উত্তেজনা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হাজার হাজার মানুষ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের পাশাপাশি ব্যারিকেড ভেঙে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেসময় আইনপ্রণেতারা কর বৃদ্ধির প্রস্তাবের একটি বিতর্ক করছিলেন। সংসদ অধিবেশন চলাকালীন বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনে হামলার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ সংসদ ভবনের বাইরে জনতার ওপর গুলি চালায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় কেনিয়ার মানবাধিকার কমিশন (কেএইচআরসি) বলেছে, ‘‘পুলিশ চারজন বিক্ষোভকারীকে গুলি করেছে এবং একজনকে হত্যা করেছে।’’

কিন্তু ইতোমধ্যে জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকটে জর্জরিত দেশটির নাগরিক নতুন এই কর বৃদ্ধি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। বিক্ষোভকারীরা দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।

পূর্ব আফ্রিকার সবচেয়ে উন্নয়নশীল অর্থনীতির একটি দেশ কেনিয়া। দেশটির ৫ কোটি ২০ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশই দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করেন।

;

দক্ষিণ কোরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ কোরিয়ায় লিথিয়াম ব্যাটারি কারখানায় সোমবারের (২৪ জুন) ভয়াকহ অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ফায়ার ডিপার্টমেন্ট বলেছে, অগ্নিকাণ্ডে ১৭ জন চীনা নাগরিকসহ ২৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ফায়ার ফাইটার কিম জিন-ইয়ং সাংবাদিকদের বলেন,‘আমরা নিহতদের দেহ থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করেছি।’

দেশটির সরকার মঙ্গলবার (২৫ জুন) অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে আনুষ্ঠানিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এরপর আগুন লাগার সঠিক কারণ চিহ্নিত করতে তদন্তকারীরা ভবনটিতে প্রবেশ করেছে।

কারখানায় ১০০ জনেরও বেশি লোক কাজ করছিলেন বলে জানা গেছে। তখন শ্রমিকরা দ্বিতীয় তলা থেকে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। সেখানে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিগুলোর প্যাকেজিং হচ্ছিল।

ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারখানা ভবনের প্রবেশপথের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ২০ সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে সাদা ধোঁয়ায় এলাকাটি ভরে যায় এবং লোকজন দৌঁড়ে বেরিয়ে যেতে থাকে।

লিথিয়াম ব্যাটারি প্লান্ট অ্যারিসেলের মালিক ও সিইও পার্ক সুন-কোয়ান মঙ্গলবার অগ্নিকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে সব রকমের সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, পুরো ভবনটিজুড়ে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রয়েছে এবং তারা কর্মীদের জন্য নিয়মিত নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ মহড়া পরিচালনা করেছেন।

সিউলে চীনের রাষ্ট্রদূত জিং হাইমিং সোমবার গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন করেছেন। তিনি এটিকে একটি দুর্ভাগ্যজনক এবং হৃদয়বিদারক ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন।

;