আইসিজে’র আদেশ মানা বাধ্যতামূলক : গুতেরেস
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) আদেশ মানা বাধ্যতামূলক এবং সকল পক্ষ অবশ্যই তা মেনে চলবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস।
রয়টার্স জানিয়েছে, জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত রাফায় ইসরায়েলি অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেয়ার পর শুক্রবার (২৪ মে) গুতেরেস এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছেন তার মুখপাত্র।
গুতেরেস জোর দিয়ে বলেন, আদালতের আদেশ মানা বাধ্যতামূলক এবং তিনি বিশ্বাস করেন সকল পক্ষই আদালতের এ রায় মেনে চলবে।
এদিকে, আইসিজে’র নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেছে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। শুক্রবার রাফার শাবৌরা শরণার্থী শিবিরে যুদ্ধবিমান থেকে চালানো হয় হামলা।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলার শুনানিতে শুক্রবার ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা শহরে হামলা বন্ধের নির্দেশ দেন জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই আদালতের ১৫ বিচারকের একটি প্যানেল।
একইসঙ্গে রাফার মিশর সীমান্ত ক্রসিং মানবিক ত্রাণ প্রবেশের জন্য খুলে দেওয়া, গাজায় তদন্তকারীদের প্রবেশ নিশ্চিত করা এবং ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনকে গাজায় ঢোকার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আইসিজে।
তবে আইসিজের এ রায় ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আইসিজের এ রায় ঘোষণার পর ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, গাজায় ক্ষমতাসীন সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ধ্বংস করা এবং গোষ্ঠীটির কব্জায় থাকা জিম্মিদের উদ্ধারে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে এই রায়কে ভুয়া, ভয়ানক এবং ন্যায়বিচার পরিপন্থী উল্লেখ করে বলা হয়, ‘প্রত্যেক দেশেরই আন্তর্জাতিক আইন ও মূল্যবোধ অনুসরণের ভিত্তিতে নিজেদের নাগরিক ও সীমানা রক্ষার অধিকার রয়েছে এবং ইসরায়েল ঠিক তা-ই করছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘রাফার বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক শারীরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে সেখানে অভিযান চালাতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রধান লক্ষ্য সেখানকার শত্রু ঘাঁটিগুলোতে অভিযান চালানো। বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ক্ষতিসাধন নয়।’