হামাসের কৌশলের কাছে ব্যর্থ হচ্ছে ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, আট মাসের যুদ্ধের পরও হামাসের সক্ষমতা অক্ষত রয়েছে। সর্বশেষ শনিবার (২৫ মে) দখলদার বাহিনীর ওপর ভয়াবহ হামলা চালিয়ে বহু সেনাকে হত্যা ও বন্দি করার দাবি করেছে গাজা শাসনকারী সংগঠনটি।

দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের অধ্যাপক মোহাম্মদ এলমাসরি যুক্তরাষ্ট্রের পলিটিকো গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, হামাসের ৭০ শতাংশ যোদ্ধা গাজা যুদ্ধে অক্ষত রয়েছেন। এ ছাড়া হামাস হাজার হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের বিস্তৃত টানেল নেটওয়ার্কও অনেকাংশে অক্ষত রয়েছে।

এলমাসরি বলেন, এমনও খবর পাওয়া গেছে, হামাস অবিস্ফোরিত ইসরায়েলি বোমা পুনরায় ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে। তাই ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর আর অস্ত্র সরবরাহের সমস্যা নেই।

এ রকম পরিস্থিতিতে হামাস বলেছে, তাদের যোদ্ধারা শনিবার গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদের ধরে নিয়ে এসেছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেছেন, উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে লড়াইয়ের সময় তাদের যোদ্ধারা টানেলের ভেতরে ইসরায়েলি বাহিনীর সদস্যদের হত্যা, আহত বা বন্দি করেছে।

তিনি কতজনকে অপহরণ করা হয়েছে, তা বলেননি। তবে জানিয়েছেন, বিস্তারিত শিগগির প্রকাশ করা হবে।

কাসেম ব্রিগেড আরও বলেছে, তাদের যোদ্ধারা রবিবার তেল আবিবে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই এলাকায় ১৫টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

এদিকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংসপ্রাপ্ত অবরুদ্ধ গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করার জন্য সব কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ৭০টিরও বেশি বৈশ্বিক সংস্থা।

শনিবার ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটর এক বিবৃতিতে বলেছে, রাফায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর স্থল অভিযানের কারণে খাদ্য নিরাপত্তার মাত্রা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দির আল-বালা, খান ইউনিস এবং রাফাসহ গাজা উপত্যকার পুরো জনসংখ্যা উচ্চ মাত্রার তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হচ্ছে, যাদের অর্ধেকই দুর্ভিক্ষের পর্যায়ে রয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে উত্তর সিনাইয়ের মিসরীয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান খালেদ জায়েদ রয়টার্সকে বলেছেন, ২০০টি সাহায্য ট্রাক গতকাল কারেম আবু সালেম (কেরেম শালোম) ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভা হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির জন্য নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার কায়রোতে গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা আবার শুরু হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম।

তবে হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন আলোচনার কথা প্রত্যাখ্যান করেছে। হামাসের কর্মকর্তা ওসামা হামদান বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন আলোচনার প্রয়োজন নেই।

শনিবার আল জাজিরা আরবিকে সাক্ষাৎকারে হামদান বলেছেন, অবিলম্বে ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং সব আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। এর বাইরে নতুন আলোচনার দরকার নেই।

তিনি বলেন, হামাস এর আগে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছিল। তবে ইসরায়েল তখন তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় যাওয়ার জন্য নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করার অর্থ হলো আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলকে আরও সময় দেওয়া।

হামাস এ পর্যন্ত ১০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। তবে আরও ১২০ জনের বেশি গাজায় জিম্মি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

হামাসের হাতে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে শনিবার তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে।

এ সময় ইসরায়েলি পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবি জানায়।

ইসরায়েলি বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৫৮ জনকে হত্যা করেছে বলে উপত্যকার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এ নিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

   

মুক্ত জীবনে অ্যাসাঞ্জ, পৌঁছেছেন জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ায়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তির পর উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছেন।

তাকে বহনকারী চার্টার্ড বিমানটি বুধবার (২৬ জুন) দেশটির রাজধানী ক্যানবেরায় পৌঁছায়। খবর বিবিসি। 

অ্যাসাঞ্জকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে আসেন তার স্ত্রী স্টেলা অ্যাসাঞ্জ এবং তার বাবা জন শিপটন।

এর আগে মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের দোষ স্বীকারের পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চল নর্দান মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের একটি আদালত মুক্ত ঘোষণা করেছেন।

এর মাধ্যমে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ দীর্ঘ ১২ বছর পর মুক্ত জীবনে ফিরেছেন। গত ৫ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের একটি কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। এর আগের ৭ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে অবস্থান করেছেন তিনি।

;

পর্যাপ্ত শরীরচর্চা করেন না বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের মোট প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ পর্যাপ্ত শরীরচর্চা করছেন না, যা সারাবিশ্বে স্বাস্থ্যের জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সংস্থাটির বুধবার (২৬ জুন) প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২২ সালে সুপারিশকৃত ১.৮ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে ৩১ শতাংশেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক লোক পর্যাপ্ত পরিমাণে শারীরিক ব্যায়াম করেননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য গবেষকদের একটি সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

ডব্লিউএইচও’র স্বাস্থ্য প্রচার বিভাগের পরিচালক রুডিগার ক্রেচ বলেছেন, ‘শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বিশ্বস্বাস্থ্যের জন্য একটি নীরব হুমকি, যা রোগ বিস্তারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।’

তিনি একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত বিশ্ব সঠিক পথে হাঁটছে না।

সুস্থ থাকার জন্য ডব্লিউএইচও সুপারিশ করেছে যে, সকল প্রাপ্তবয়স্কদের উচিত প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি-তীব্র শারীরিক ব্যায়াম করা-যার মধ্যে হাঁটা, সাইকেল চালানো বা এমনকি ঘরের কাজও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

ক্রেচ বলেন, পর্যাপ্ত ব্যায়াম না করা মানুষের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথের গবেষণা অনুসারে, যদি বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তবে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের নিষ্ক্রিয়তার মাত্রা ৩৫ শতাংশে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যা এই দশকের শেষ নাগাদ শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার ১৫ শতাংশ হ্রাস করার ডব্লিউএইচও-এর লক্ষ্য থেকে অনেক কম হবে।

ডব্লিউএইচও’র ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি ইউনিটের প্রধান ফিওনা বুল বলেন, ‘গবেষণাটি ছিল একটি সতর্কবার্তা যে, যা আমরা করছি তা যথেষ্ট নয়।’

গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরচর্চায় ২৯ শতাংশ পুরুষ নিধারিত সীমায় পৌঁছান না। সেই তুলনায় বিশ্বব্যাপী নারীদের এই হার প্রায় ৩৪ শতাংশ।

ফিওনা বুল বলেন, সামগ্রিকভাবে কার্যকলাপের হার হ্রাসের জন্য একাধিক কারণ’ রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কম হাঁটা, কম্পিউটারে বেশি কাজ করা এবং সাধারণত স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে অবসর সময় কাটানো।

ক্রেচ স্মরণ করিয়ে দেন, খেলা দেখা শারীরিকভাবে সক্রিয় হওয়ার সমাধান নয়।

তিনি বলেন, ‘শুধু চেয়ারে বসে থাকবেন না, উঠুন এবং প্রতিটি পদক্ষেপ গণনা করে সক্রিয় হোন।’

ডব্লিউএইচও জোর দিয়ে বলেছে, ব্যক্তিগত আচরণ পরিবর্তন করা যথেষ্ট নয়। তাই দেশগুলোকে সামাজিক খেলাধুলার পাশাপাশি হাঁটা, সাইকেল চালানো এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে উন্নত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

;

উইকিলিকিসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জের মুক্তির নেপথ্যে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেক বছর কারাগারে কাটানোর পর উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মুক্তির সুবাতাস পেয়েছেন। কূটনৈতিক তৎপরতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আইনি সম্মতি সহায়তা করেছে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে মুক্তি পেতে।

এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর লবিং এবং মার্কিন বিচার বিভাগের কাছে দোষ স্বীকার করার পর মুক্তি মেলে অ্যাসাঞ্জের। এতে অবশ্য সম্মতি মেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের।

এরপর সোমবার একটি প্রাইভেট জেট প্লেনে করে লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দর থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ সাইপানে পৌঁছে একটি আদালতে হাজিরা দেন। সেখান থেকে তাকে মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

এতে করে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুক্তভাবে বিচরণ করতে পারবেন। তাকে আর সে দেশে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না।

বুধবার বিকেলে উইকিলিকিসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা আসেন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান, তার স্ত্রী স্টেলা।

বিবিসি ও অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি অনলাইন সংবাদমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (সিপিএস) এক বিবৃতি জানায়, গত মার্চ মাসে অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়ে মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে চুক্তিটি তাদের নজরে আসে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মার্কিন আদালতে হাজির হবেন, সেখানে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করবেন। এরপর তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যে কারাগারে অ্যাসাঞ্জ যে সাজা ভোগ করেছেন, তাতে নতুন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর সাজা ভোগ করতে হবে না।

কূটনৈতিক, রাজনৈতিক লবিং এবং আইনি সম্মতির নেপথ্যে
২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অ্যান্থনি আলবানিজের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠিত হয়। তিনি তখন দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অ্যান্থনি আলবানিজ নিজে থেকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, উইকিলিকিসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মার্কিন সামরিক বাহিনীর একান্ত গোপনীয় তথ্য ফাঁস করাকে তিনি সমর্থন করেন না। তবে তিনি চান, অ্যাসাঞ্জ মুক্তিলাভ করুক।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সংসদের একটি প্রতিনিধি দল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। তারা মার্কিন কংগ্রসে অ্যান্থনি আলবানিজের হয়ে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়ে লবিং করেন। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন তারা।

এছাড়া এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। এরপর বিষয়টি ভোটাভুটিতে সর্বসম্মতভাবে অ্যাসাঞ্জের মু্ক্তির জন্য যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বানকে জোরালোভাবে সমর্থন জানানো হয়।

লবিংয়ে দুই দেশের রাষ্ট্রদূতের প্রভাব

অস্ট্রেলিয়ার সংসদে অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়ে সম্মতি আলোচনায় গতি পায়। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্যারোলিন কেনেডির সঙ্গে যোগাযোগ অস্ট্রেলিয়া সরকার।

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির পর তার আগমণকে যেভাবে সমর্থকেরা স্বাগত জানান, ছবি- সংগৃহীত

এছাড়া ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন স্মিথ যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়টিকে অনেকটা ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর এপ্রিল মাসে তিনি যু্ক্তরাজ্যে বেলমার্শ কারাগারে গিয়ে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর থেকেই অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়টি দ্রুত পরিণতির দিকে আগাতে থাকে।

অবশেষে মুক্তি এবং মার্কিন আদালতে অ্যাসাঞ্জের হাজিরা

অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, ছবি- সংগৃহীত

বেলমার্শ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই সোমবার একটি প্রাইভেট জেটে করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ সাইপানের একটি আদালতে হাজির হন তিনি।
সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে ফের বুধবার অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরাতে ফেরেন তিনি। সেখানে ফিরে পরিবারের সদস্যদের মিলিত হন অ্যাসাঞ্জ।

;

মালয়েশিয়ায় অপহরণের অভিযোগে ৫ বাংলাদেশি আটক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাউথ ইস্ট এশিয়া, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি এক নাগরিককে অপহরণের অভিযোগে ৫ বাংলাদেশিকে আটক করেছে মালয়েশিয়া পুলিশ। গত শুক্রবার (২২ জুন) সেলানগর থেকে তাদের আটক করা হয়।

তিমুর লট ডিস্ট্রিক্ট পুলিশের প্রধান এসিপি রাজলাম আব হামিদ জানান, সেলানগরের শাহআলম এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই ৫ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।

তিনি জানান, জর্জ টাউনে কর্মরত একজন বাংলাদেশি পরিচ্ছন্নকর্মী একটি ফোন পান। ফোনে জানানো হয়, তার সন্তানকে অপহরণ করা হয়েছে। তার কাছে ২ লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বা ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

রাজলাম বলেন, এরপর সেই পরিচ্ছন্নতাকর্মী পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। উদ্ধারকৃত বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য গিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে এবং কিডনাপিংয়ের অপরাধে পেনাল কোডের ৩৬৫ ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

;