গণহত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের জেগে উঠার আহ্বান হামাসের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের জেগে উঠার ডাক দিয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী রাফাহ শহরের একটি পরিকল্পিত নিরাপদ অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি তাঁবুতে বোমা হামলা চালিয়ে অন্তত ৩৫ জনকে হত্যা করেছে। এরপরই এমন আহ্বান জানাল সংগঠনটি।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, হামলায় কমপক্ষে ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অনেকেই নারী ও শিশু।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, হামলার পর তাঁবুতে আগুন ধরে যায়। এতে অনেকে আগুনে পুড়ে মারা গেছে।

এছাড়া তাল-আস-সুলতান এলাকাতেও হামলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনী জাবালিয়া, নুসেইরাত এবং গাজা সিটিসহ অন্যান্য এলাকায় উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্রে বোমাবর্ষণ করেছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব হামলায় কমপক্ষে ১৬০ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে হামাস বলেছে, ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে ইসরায়েলি বাহিনীর ‘গণহত্যার’ বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনটি রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘রোববার সন্ধ্যায় উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে অপরাধী দখলদার সেনাবাহিনী যে ভয়ঙ্কর গণহত্যা চালিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে আমরা পশ্চিম তীর, জেরুজালেম, অধিকৃত অঞ্চল এবং বিদেশে অবস্থানরত আমাদের জনগণকে জেগে উঠার এবং চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানাই।’

তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা ‘নির্ভুল অস্ত্র’ ব্যবহারকারী হামাস যোদ্ধাদের টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। আগুন লাগার সময় বেসামরিক লোকজন আহত হয়েছে বলেও স্বীকার করেছে ইসরায়েল। যদিও নিহতের বিষয়ে তারা কিছু বলেনি।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

   

সন্ত্রাস দমনে গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযান চালাবে পাকিস্তান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সন্ত্রাস দমনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে পাকিস্তান। আর পার্লামেন্টে আলোচনা না করেই সন্ত্রাস দমনে সেই নতুন নীতির ঘোষণা করে বিতর্কে জড়িয়েছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সরকার।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এর আগে শাহবাজের সরকার জানিয়েছিল পাকিস্তানে সন্ত্রাস দমনের জন্য ‘আজম-ই-ইস্তেকাম’ নামে একটি বিশেষ অভিযান চালানো হবে।

এরপরই ওই বিশেষ অভিযানের সমালোচনায় সরব হয় বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ হলো, আসলে বালুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সেনা নামিয়ে দমন পীড়নের উদ্দেশ্যেই পাকিস্তান সরকার এই কৌশল বেছে নিয়েছে।

তবে বিরোধীদের সেই অভিযোগ উড়িয়ে এবার পাকিস্তান সরকার কীভাবে সন্ত্রাস দমনে অভিযান চালাবে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ।

সন্ত্রাস দমনের নতুন নীতির কথা স্পষ্ট করে শাহবাজ জানিয়েছেন, এই অভিযান কোনো সামরিক অভিযান নয়, বরং এটি হবে গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযান। এই গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযানই এবার সন্ত্রাসবাদের মূল উৎপাটন করবে।

ফলে সেনা অভিযানের যে অভিযোগ বিরোধীরা তুলেছিলেন, সেই অভিযোগ কার্যত খারিজ হয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বালুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে প্রায়ই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। তাই সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার জন্য শাহবাজের সরকার গত সোমবার ওই অপারেশনের কথা ঘোষণা করেছিল।

তারপরেই তুমুল প্রতিক্রিয়া জানায় বিরোধীরা। তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয় যে ‘আজম-ই-ইস্তেকাম’ অভিযান নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।

এদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের দুটি প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া ও বালুচিস্তানে এই অভিযান চালানো হবে।

এই অভিযান আগের অভিযানগুলোর থেকে অনেকটাই আলাদা। এই অভিযানের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। এর একমাত্র উদ্দেশ্য হলো সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা।

এছাড়াও অভিযোগ উঠেছিল যে, চীনের নির্দেশেই এই অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তান। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেই অভিযোগ উড়িয়ে বলেছেন, চীন বা অন্য কারো নির্দেশে এই অভিযান চালানো হচ্ছে না।

তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, এই অভিযানের সময় কোনো প্রাণহানি বা দমন পীড়নের ঘটনা ঘটবে না।

;

মুক্ত জীবনে অ্যাসাঞ্জ, পৌঁছেছেন জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ায়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তির পর উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছেন।

তাকে বহনকারী চার্টার্ড বিমানটি বুধবার (২৬ জুন) দেশটির রাজধানী ক্যানবেরায় পৌঁছায়। খবর বিবিসি। 

অ্যাসাঞ্জকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে আসেন তার স্ত্রী স্টেলা অ্যাসাঞ্জ এবং তার বাবা জন শিপটন।

এর আগে মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের দোষ স্বীকারের পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চল নর্দান মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের একটি আদালত মুক্ত ঘোষণা করেছেন।

এর মাধ্যমে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ দীর্ঘ ১২ বছর পর মুক্ত জীবনে ফিরেছেন। গত ৫ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের একটি কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। এর আগের ৭ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে অবস্থান করেছেন তিনি।

;

পর্যাপ্ত শরীরচর্চা করেন না বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের মোট প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ পর্যাপ্ত শরীরচর্চা করছেন না, যা সারাবিশ্বে স্বাস্থ্যের জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সংস্থাটির বুধবার (২৬ জুন) প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২২ সালে সুপারিশকৃত ১.৮ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে ৩১ শতাংশেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক লোক পর্যাপ্ত পরিমাণে শারীরিক ব্যায়াম করেননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য গবেষকদের একটি সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

ডব্লিউএইচও’র স্বাস্থ্য প্রচার বিভাগের পরিচালক রুডিগার ক্রেচ বলেছেন, ‘শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বিশ্বস্বাস্থ্যের জন্য একটি নীরব হুমকি, যা রোগ বিস্তারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।’

তিনি একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত বিশ্ব সঠিক পথে হাঁটছে না।

সুস্থ থাকার জন্য ডব্লিউএইচও সুপারিশ করেছে যে, সকল প্রাপ্তবয়স্কদের উচিত প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি-তীব্র শারীরিক ব্যায়াম করা-যার মধ্যে হাঁটা, সাইকেল চালানো বা এমনকি ঘরের কাজও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

ক্রেচ বলেন, পর্যাপ্ত ব্যায়াম না করা মানুষের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথের গবেষণা অনুসারে, যদি বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তবে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের নিষ্ক্রিয়তার মাত্রা ৩৫ শতাংশে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যা এই দশকের শেষ নাগাদ শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার ১৫ শতাংশ হ্রাস করার ডব্লিউএইচও-এর লক্ষ্য থেকে অনেক কম হবে।

ডব্লিউএইচও’র ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি ইউনিটের প্রধান ফিওনা বুল বলেন, ‘গবেষণাটি ছিল একটি সতর্কবার্তা যে, যা আমরা করছি তা যথেষ্ট নয়।’

গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরচর্চায় ২৯ শতাংশ পুরুষ নিধারিত সীমায় পৌঁছান না। সেই তুলনায় বিশ্বব্যাপী নারীদের এই হার প্রায় ৩৪ শতাংশ।

ফিওনা বুল বলেন, সামগ্রিকভাবে কার্যকলাপের হার হ্রাসের জন্য একাধিক কারণ’ রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কম হাঁটা, কম্পিউটারে বেশি কাজ করা এবং সাধারণত স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে অবসর সময় কাটানো।

ক্রেচ স্মরণ করিয়ে দেন, খেলা দেখা শারীরিকভাবে সক্রিয় হওয়ার সমাধান নয়।

তিনি বলেন, ‘শুধু চেয়ারে বসে থাকবেন না, উঠুন এবং প্রতিটি পদক্ষেপ গণনা করে সক্রিয় হোন।’

ডব্লিউএইচও জোর দিয়ে বলেছে, ব্যক্তিগত আচরণ পরিবর্তন করা যথেষ্ট নয়। তাই দেশগুলোকে সামাজিক খেলাধুলার পাশাপাশি হাঁটা, সাইকেল চালানো এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে উন্নত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

;

উইকিলিকিসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জের মুক্তির নেপথ্যে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেক বছর কারাগারে কাটানোর পর উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মুক্তির সুবাতাস পেয়েছেন। কূটনৈতিক তৎপরতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আইনি সম্মতি সহায়তা করেছে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে মুক্তি পেতে।

এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর লবিং এবং মার্কিন বিচার বিভাগের কাছে দোষ স্বীকার করার পর মুক্তি মেলে অ্যাসাঞ্জের। এতে অবশ্য সম্মতি মেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের।

এরপর সোমবার একটি প্রাইভেট জেট প্লেনে করে লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দর থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ সাইপানে পৌঁছে একটি আদালতে হাজিরা দেন। সেখান থেকে তাকে মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

এতে করে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুক্তভাবে বিচরণ করতে পারবেন। তাকে আর সে দেশে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না।

বুধবার বিকেলে উইকিলিকিসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা আসেন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান, তার স্ত্রী স্টেলা।

বিবিসি ও অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি অনলাইন সংবাদমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (সিপিএস) এক বিবৃতি জানায়, গত মার্চ মাসে অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়ে মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে চুক্তিটি তাদের নজরে আসে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মার্কিন আদালতে হাজির হবেন, সেখানে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করবেন। এরপর তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যে কারাগারে অ্যাসাঞ্জ যে সাজা ভোগ করেছেন, তাতে নতুন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর সাজা ভোগ করতে হবে না।

কূটনৈতিক, রাজনৈতিক লবিং এবং আইনি সম্মতির নেপথ্যে
২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অ্যান্থনি আলবানিজের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠিত হয়। তিনি তখন দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অ্যান্থনি আলবানিজ নিজে থেকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, উইকিলিকিসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মার্কিন সামরিক বাহিনীর একান্ত গোপনীয় তথ্য ফাঁস করাকে তিনি সমর্থন করেন না। তবে তিনি চান, অ্যাসাঞ্জ মুক্তিলাভ করুক।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সংসদের একটি প্রতিনিধি দল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। তারা মার্কিন কংগ্রসে অ্যান্থনি আলবানিজের হয়ে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়ে লবিং করেন। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন তারা।

এছাড়া এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। এরপর বিষয়টি ভোটাভুটিতে সর্বসম্মতভাবে অ্যাসাঞ্জের মু্ক্তির জন্য যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বানকে জোরালোভাবে সমর্থন জানানো হয়।

লবিংয়ে দুই দেশের রাষ্ট্রদূতের প্রভাব

অস্ট্রেলিয়ার সংসদে অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়ে সম্মতি আলোচনায় গতি পায়। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্যারোলিন কেনেডির সঙ্গে যোগাযোগ অস্ট্রেলিয়া সরকার।

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির পর তার আগমণকে যেভাবে সমর্থকেরা স্বাগত জানান, ছবি- সংগৃহীত

এছাড়া ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন স্মিথ যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়টিকে অনেকটা ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর এপ্রিল মাসে তিনি যু্ক্তরাজ্যে বেলমার্শ কারাগারে গিয়ে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর থেকেই অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়টি দ্রুত পরিণতির দিকে আগাতে থাকে।

অবশেষে মুক্তি এবং মার্কিন আদালতে অ্যাসাঞ্জের হাজিরা

অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, ছবি- সংগৃহীত

বেলমার্শ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই সোমবার একটি প্রাইভেট জেটে করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ সাইপানের একটি আদালতে হাজির হন তিনি।
সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে ফের বুধবার অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরাতে ফেরেন তিনি। সেখানে ফিরে পরিবারের সদস্যদের মিলিত হন অ্যাসাঞ্জ।

;