‘লেবাননের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধে ইসরায়েলের ভয় পাওয়া উচিত’
ইসরায়েলের প্রতি কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ’র প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ।
রয়টার্স জানিয়েছে তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল লেবাননে বড় আক্রমণ চালালে কোনো সংযম এবং নিয়ম ছাড়াই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে হিজবুল্লাহ।
লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে বুধবার (১৯ জুন) নাসরাল্লাহ এমন মন্তব্য করলেন, যখন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, দেশটি হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।
ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় নাসরাল্লাহ বলেন, ‘শত্রুপক্ষ এবং ইসরায়েলি মিডিয়াতে লেবাননে যুদ্ধ সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে, তা আমাদের ভীত করে না।’
তিনি বলেন, ‘লেবাননের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধে ইসরায়েলের ভয় পাওয়া উচিত।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার হিজবুল্লাহ’র নজরদারি ড্রোনে থেকে উত্তর ইসরায়েলে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং সামরিক অবস্থানগুলোর ফুটেজ প্রকাশ করার পরে লেবানের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে গুরুতর সংঘর্ষের সম্ভাবনা উত্থাপন করেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
কাটজ একটি সোস্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা হিজবুল্লাহ এবং লেবাননের বিরুদ্ধে নিয়ম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের খুব কাছাকাছি। একটি সর্বাত্মক যুদ্ধে হিজবুল্লাহ ধ্বংস হবে এবং লেবানন মারাত্মকভাবে আঘাত হানবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসাবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পূর্ণ শক্তির সঙ্গে উত্তরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করবে।’
এরপর গত বুধবার হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতার উপর গুরুত্ব আরোপ করে নাসরাল্লাহ বলেন, গোষ্ঠীটি নতুন অস্ত্র হাতে পেয়েছে এবং তাদের কাছে প্রচুর ড্রোন রয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে তৈরি।
তিনি বলেন, ‘শত্রুরা ভালো করেই জানে যে, আমরা সবচেয়ে কঠিন দিনগুলোর জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছি। শত্রুরা এটাও ভালো করেই জানে তাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। তারা এটা জানে যে বসিরায়েলে এমন কোনো জায়গা থাকবে না যা আমাদের রকেট এবং ড্রোন থেকে রেহাই পাবে। প্রতিটি রকেট নির্বুল নিশানায় আঘাত হানবে।’
ইসরায়েলেকে সতর্ক করে নাসরাল্লাহ আরও বলেছেন যে, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে স্থল বাহিনী পাঠাতে পারে হিজবুল্লাহ।
উল্লেখ্য, ইরান-সম্পর্কিত লেবাননের এই সংগঠনটি গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরের দিন উত্তর ইসারায়েলে সামরিক ঘাঁটিতে হামলা শুরু করে।
হিজবুল্লাহ দাবি করেছে যে, তারা ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর সমর্থনে ওই হামলা শুরু করেছে।
নাসরাল্লাহ জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে গাজা থেকে ইসরায়েলি সামরিক সম্পদ সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে পার্থক্য তৈরি করছে হিজবুল্লাহ।