দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন রণতরী, উদ্দেশ্য কী?

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে পৌঁছেছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী 'থিওডোর রুজভেল্ট'। মূলত জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের এ বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আগস্টে চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির বিপরীতে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা যৌথ সামরিক মহড়ার জন্য এক শীর্ষ সম্মেলনে সম্মত হন। ওই সম্মেলনে তিন দেশের নেতারা প্রতি বছর সামরিক মহড়ার আয়োজন করার জন্য সম্মত হন। তারই ধারাবাহিকতায় এ আয়জন করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী জানিয়েছে, এই রণতরীটি জাপান ও তাদের দেশের নৌ সেনাদের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নেবে।

ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ নাইন-এর কমান্ডার মার্কিন রিয়ার অ্যাডমিরাল ক্রিস্টোফার আলেকজান্ডার বলেছেন, "ফ্রিডম এজ" নামে এই মাসের মহড়ায় তিনটি দেশের নৌবাহিনী জড়িত থাকবে এবং এতে সমুদ্র, সাবমেরিন বিরোধী যুদ্ধ অনুশীলন এবং বিমান প্রতিরক্ষা অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এই মহড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমাদের নৌবাহিনীর মধ্যে আন্তঃব্যবহারযোগ্যতা উন্নত করার পাশাপাশি যেকোন সংকটে দ্রুতই সারা দিতে প্রস্তুতের বিষয়টি জানান দিতেই এই আয়োজন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এই মহড়ার ব্যবহৃত বিমানবাহী রণতরী থিওডোর রুজভেল্ট নির্দেশনা জাহাজ হিসাবে কাজ করবে।

এদিকে এ সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া সফর করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত ২৪ বছরের মধ্যে এটি পুতিনের প্রথম কোরিয়া সফর। এবারের সফরে উত্তরের প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন পুতিন। এই চুক্তিতে রয়েছে রাশিয়া বা উত্তর কোরিয়া যদি কোনো শত্রু দেশের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয় তাহলে তারা একেঅপরের সাহায্যে এগিয়ে আসবে।

উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া এমন চুক্তি করার পর এটির সমালোচনা করে পশ্চিমা ঘেঁষা দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। তারা চুক্তি বাতিলের দাবি জানায়।

এমনকি এই চুক্তির পর দক্ষিণ কোরিয়া হুমকি দেয় রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনকে তারা অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করবে। এরপর রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া যদি ইউক্রেনকে অস্ত্র দেয় তাহলে তারা এমন পদক্ষেপ নেবেন যেগুলো দেশটির সরকারের জন্য সুখকর হবে না।