কেজরিওয়ালকে তিহার জেলে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের দিল্লি হাইকোর্টে জামিন খারিজের দিনেই ফের ধাক্কা খেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপর মঙ্গলবার (২৫ জুন) তিহার জেলে গিয়ে তাকে আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।

জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে। বুধবার (২৬ জুন) তাকে আদালতে হাজির করানোর অনুমতিও পেয়েছে সিবিআই।
আদালতে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে সিবিআই।

কয়েকটি সংবাদমাধ্যম তার গ্রেফতারির খবর প্রকাশ করলেও সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে আপ নেতা সঞ্জয় সিং এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে কেজরিওয়ালের জামিনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতেই কেন্দ্র এবং সিবিআই মিলে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যে মামলা সাজিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চাইছে। গোটা দেশ এসব দেখছে। দেশের মানুষ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশে আছে।’

প্রসঙ্গত, আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। গত বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। শুক্রবার সকালে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে কেজরিওয়ালের জামিন স্থগিত রাখে দিল্লি হাইকোর্ট। গত শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে ইডির মামলা শোনে হাইকোর্ট। তবে শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারক। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল দিল্লি হাইকোর্টে।

শুনানিতে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে আপতত তিহার জেলেই থাকতে হবে কেজরিওয়ালকে।

দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গত রবিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সোমবার তার সেই আর্জি আগামী বুধবার পর্যন্ত স্থগিত করেন শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট গত সোমবার জানায়, বুধবারের মধ্যে ইডির মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট কোনে রায় দেয় কি না, তা দেখতে চায় তারা। তারপরেই শুনানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শেসমেষ মঙ্গলবারই তার জামিন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।

ইসরায়েলকে ফের যুদ্ধের হুঁশিয়ারি জানিয়েছে ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হিজবুল্লাহ- ইসরায়েল উত্তেজনা

হিজবুল্লাহ- ইসরায়েল উত্তেজনা

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে সামরিক অভিযান চালালে ইসরায়েলের সঙ্গে একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। শুক্রবার (২৮ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইরানের জাতিসংঘ মিশনের পক্ষ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এক্সের পোস্টে ইরানের জাতিসংঘ মিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ইসরায়েলে লেবাননের সামরিক অভিযানের ঘটনায় সব ধরনের বিকল্প, প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আলোচনা চলছে।’

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যকার অব্যাহত সংঘাতের মধ্যেই লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। সীমান্তে দুই পক্ষের মধ্যে নিয়মিত ছোট ছোট সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে এ উত্তেজনা আরও বেড়ে যাওয়ায় সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে, ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর দুই ব্রিগেডিয়ারসহ ১৩ কর্মকর্তা নিহত হন। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে এর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছিল ইরান। পরে শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। এর জেরে ইসরায়েল পরে ইরানে পাল্টা হামলা চালায়। 

;

লেবার পার্টি থেকে সাবিনার পদত্যাগ 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সাবিনা আক্তার

সাবিনা আক্তার

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনের আগে এক নির্বাচনি বিতর্কে অংশ নিয়ে বাংলাদেশিদের কটাক্ষ করে তোপের মুখে পড়েছেন লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টার্মার। তার কটাক্ষের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে দলটির ডেপুটি লিডার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবিনা আক্তার। 

বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

পদত্যাগ করে সাবিনা আক্তার বলেছেন, ‘দলের নেতা যখন আমার সম্প্রদায়কে একঘরে করে, আমার বাংলাদেশি পরিচয়কে অপমান করে, তখন আমি আর দল নিয়ে গর্ব করতে পারি না।’ 

স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক ‘ডেইলি সান’ আয়োজিত বিতর্ক অনুষ্ঠানে পাঠকদের এক প্রশ্নের জবাবে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টার্মার বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে যদি কেউ আসে, তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। কারণ, বর্তমান সরকারের তেমন কোনো প্রক্রিয়া নেই। ক্ষমতায় এলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। 

বাংলাদেশি কমিউনিটিকে নিয়ে লেবার নেতার এমন মন্তব্যকে বর্ণবাদী আখ্যা দিয়েছেন ব্রিটিশ এমপি জর্জ গ্যালাওয়ে। এ ছাড়া নিজ দলের নেতার এমন বেফাঁস মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেবার এমপি রুশনারা আলী ও আফসানা বেগম।

পরে অবশ্য স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার স্টাফোর্ডশায়ারে এক নির্বাচনি প্রচারণায় গিয়ে স্টার্মার বলেন, ‘ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা যারা আমাদের দেশের জন্য অনেক বড় অবদান রাখছেন, তাদের উদ্বেগ বা আঘাত করার উদ্দেশ্য আমার মোটেও ছিল না।’

তিনি দাবি করেন, যদি লেবার পার্টি নির্বাচনে জয়ী হয়, তাহলে তিনি ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে দলের ‘অত্যন্ত দৃঢ় সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে চান। 

এদিকে পদত্যাগপত্রে সাবিনা আক্তার লিখেছেন, ‘আমি লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাউন্সিলের প্রথম নারী স্পিকার এবং লেবার পার্টির একজন গর্বিত সদস্য ছিলাম। তবে আমি এই দলটি নিয়ে আর গর্ব করতে পারি না, যখন দলের নেতা আমার সম্প্রদায়কে একঘরে করে দেয় এবং আমার বাংলাদেশি পরিচয়কে অপমান করে।’ 

সাবিনা আরও লিখেছেন, ‘আমি সারাজীবন দলকে রক্ষা করেছি এবং এর জন্য খুব গর্বিত ছিলাম। কিন্তু এটা স্পষ্ট, আমার এবং আমার সম্প্রদায়ের কাছে এটি (দলের নেতার মন্তব্য) গ্রহণযোগ্য নয়।’

;

বিতর্ক খারাপ হলেও ট্রাম্পকে হারাতে পারব: বাইডেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনের আগে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া প্রথম বিতর্কের ‘অংশগ্রহণ’ কিছুটা খারাপ হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন। তবে বিতর্ক খারাপ হলেও হাল ছাড়তে রাজি নন তিনি। তার দাবি, তিনি  ট্রাম্পকে হারাতে পারবেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উত্তর ক্যারোলিনায় শুক্রবার (২৮ জুন) একটি সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বিতর্কে খারাপ পারফরম্যান্সের পরে নিজের আত্মবিশ্বাসের একটি চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। 

সমাবেশে তিনি নিজের আত্মবিশ্বাস এবং মনোবল ব্যক্ত করে জানান, নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তিনি প্রস্তুত এবং তিনি জিতবেন। 

উক্ত সমাবেশে আগের দিনের ট্রাম্প বিতর্কের পারফরম্যান্সের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘আমি এই নির্বাচনে জয়ী হতে চাই। আপনি যখন ছিটকে পড়বেন, তখনই ফিরে আসবেন। আমার ক্ষেত্রেও তাই। বিষয়টি আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আরও চার বছর আমি শাসনভার রক্ষা করতে পারব।’

তখন উচ্ছ্বসিত জনতা উচ্চস্বরে স্লোগান দিতে থাকে, ‘আরো চার বছর, আরও চার বছর’ এবং ‘যুক্তরাষ্ট্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র’।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি জানি আমি একজন যুবক নই। আমি আগে যেমন সহজেই হাঁটতে পারতাম এখন আর তা পারি না। আমি আগের মতো ভালো বিতর্ক করতে পারিনি। কিন্তু আমি জানি কীভাবে সত্য বলতে হয় এবং কীভাবে কাজ করতে হয়।’ 

এদিকে ভার্জিনিয়ায় একটি র‍্যালিতে অংশ নিয়ে ট্রাম্প বিতর্কে বড় জয় পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ৪ কোটি ৮০ লাখ মানুষ টিভিতে এই বিতর্ক দেখেছেন।

র‍্যালিতে ট্রাম্প বলেন, ‘বাইডেনের সমস্যা তার বয়স না। তার দক্ষতা। সে পুরোপুরি অদক্ষ।’

তবে ট্রাম্প মনে করেন, বাইডেন নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়বেন এমন জল্পনাকে তিনি বিশ্বাস করেন না। তার মতে, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসসহ অন্যান্য ডেমোক্র্যাটদের তুলনায় বাইডেন নির্বাচনে ভাল করেন।

অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ আর নানা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) শেষ হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম নির্বাচনী বিতর্ক। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বিতর্কে বার বার হোঁচট খেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। আর ট্রাম্প করেছেন একের পর এক মিথ্যাচার।

ডেমোক্র্যাট দলীয় নেতাদের কেউ কেউ মনে করছেন, ট্রাম্পকে জোরালোভাবে মোকাবিলা করতে পারেননি বাইডেন। এ সুযোগে ট্রাম্প অনর্গল মিথ্যা বলে গেছেন।

;

মোদির রাশিয়া সফরের খবরে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। আর প্রধানমন্ত্রী হয়েই ইতালি গিয়ে জি-৭ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। সেখানে ইউক্রেন শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর ছিল না ভারতের।

এরপরই জানা যায়, রাশিয়ায় গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন মোদি। তারপরই মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে ‘কিছুটা উদ্বেগ’ প্রকাশ করলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

মোদির মস্কো সফর নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট কার্ট ক্যাম্পবেল বলেন, প্রযুক্তি এবং সামরিক ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সখ্যতা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে ওয়াশিংটনের। তবে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাস্ট্রের বন্ধুত্বের ওপরে আমাদের বিশ্বাস রয়েছে।'

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ক্যাম্পবেল বলেন, 'ভারতের সঙ্গে আমরা সব সময়ই বিস্তারিত এবং খোলাখুলি আলোচনা করি। আমরা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলি। আবার ভারত-রাশিয় সম্পর্ক নিয়েও কথা হয় আমাদের। ভারত এবং রাশিয়ার বন্ধুত্ব কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের জন্যে উদ্বেগের, তা আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েও দিয়েছি। আমরা এই নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশও করেছি। তবে প্রযুক্তি এবং সামরিক খাতে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক যাতে বজায় না থাকে তার জন্য আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব। ভারতের সঙ্গে এই সবক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্ক ক্রমেই গভীর হচ্ছে। আমরা সেই সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে চাই।'

এরপর এই মার্কিন নেতা বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত, উভয় দেশই শক্তিশালী। আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে। তবে ঐতিহাসিকভাবে অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, সম্পর্ক পৃথক থাকতেই পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কৌশলগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি যে, আমরা একে অপরকে সম্মান দিয়ে পারস্পরিক মতামত শুনে থাকি। তবে যেসব ক্ষেত্রে আমাদের এখনো মিল হয়নি, সেই সব বিষয় ক্রমেই কমে আসছে।'

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, আগামী মাসেই রাশিয়ায় যেতে পারেন মোদি।

এর আগে মোদী তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী পথে শপথ নেওয়ার পরে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন পুতিন। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করার কথা জানিয়েছিলেন পুতিন।

;