সমুদ্রে সাঁতার কাটা উপভোগ করছে ছয় পায়ের কুকুর ছানাটি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: ছয়টি পা ও একটি কিডনি নিয়ে জন্মগ্রহণ করা কুকুর ছানা এরিয়েল

ছবি: ছয়টি পা ও একটি কিডনি নিয়ে জন্মগ্রহণ করা কুকুর ছানা এরিয়েল

  • Font increase
  • Font Decrease

জীব বৈচিত্র্যময় এই বিশ্বে কত কিছুই-না দেখা যায়। তেমনই ছয়টি পা ও একটি কিডনি নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিল একটি কুকুর ছানা। নাম তার এরিয়েল। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য মালিক তাকে ফেলে আসে রাস্তায়। এরপর কুকুর ছানাটি আশ্রয় পায় নতুন একটি পরিবারে। নতুন সেই বাড়িতে বেশ ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে এরিয়েল। সেখানে সমুদ্রে সাঁতার কাটা, প্যাডেল বোডিং ও সার্ফিং উপভোগ করছে বলে জানায় তার নতুন মালিক। স্কাই নিউজের এক খবরে এমন তথ্য জানানো হয়।

গত বছরের সেপ্টেম্বেরে ওয়েলসের পেমব্রোকেশায়ার শহরের একটি বিএন্ডএম স্টোরের সামনে পাওয়া যায় এরিয়েলেকে। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১১ সপ্তাহ। হ্যাভারফোর্ড ওয়েস্টের স্থানীয় রেসকিউ টিম গ্রিনক্রেস তাকে উদ্ধার করে। আদরে এই কুকুর ছানা ছয়টি পা, দুইটি ভাল্ব ও একটি কিডনি নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিল।

এরিয়েলের নতুন মালিক অলি বার্ড পশ্চিম ওয়েলসে একটি সার্ফ স্কুল চালান। ৪০ বছর বয়সী ওই লোক পশ্চিম ওয়েলসের সমুদ্র সৈকতের (ফ্রেশওয়াটার ওয়েস্ট) কাছাকাছি বসবাস করেন।

এই কুকুর ছানা ছয়টি পা, দুইটি ভাল্ব ও একটি কিডনি নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে

তিনি স্কাই নিউজকে বলেন, ‘সম্ভবত ওয়েলসে আমরা একমাত্র পরিবার যারা এরিয়েলকে দত্তক নেওয়ার সময় তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে গুরুত্ব দেইনি।’

তিনি জানান, এমন একটি সময় তারা এরিয়েলেকে পান যখন তারা কুকুর হারানোর শোক কাটানোর চেষ্টা করছিলেন। ১৩ বছর ধরে তারা সমুদ্রের কাছে কুড়িয়ে পাওয়া একটি কুকুর ছানা পালন করে আসছিলেন। কিন্ত দুর্ভাগ্যবশত সেই কুকুরটি মারা যায়। শোকের এই সময়ে তারা আবার এরিয়েলকে দত্তক হিসেবে পান।

মি. বার্ড বলেন, ‘পুরো ৪৮ ঘণ্টা আমরা কুকুর ছাড়া ছিলাম, বাড়িটি খালি খালি লাগছিল। কুকুরের জন্য গ্রিনক্রেস্টে আবেদনও করেছি। কিন্তু ভেবেছিলাম হয়তো আর কুকুর পাওয়া যাবে না। তবে তখনই গ্রিনক্রেস্ট আমার জন্য সুখবর নিয়ে আসে। এরিয়েলের সাথে আমাদের পরিচয় হয়। তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কথা জানলেও আমরা আনন্দিত ছিলাম।’

মি. বার্ড বলেন, ‘এরিয়েল নতুন বাড়িতে বেশ ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে। আমারা যেখাই যাই এরিয়েল আমাদের সঙ্গে যায়, সে খুব ভালো হাটতেও পারে। তবে লম্বা পথ হাটতে হলে তাকে বারবার বিশ্রামের জন্য বিরতি দিতে হয়। এজন্য কুকুর ছানাটি বহনের জন্য একটি ব্যাগ সঙ্গে রাখি। সে সমুদ্রে সাঁতার কাটা, প্যাডেল বোডিং ও সার্ফিং উপভোগ করছে। এরিয়েল একটি কোমল বাচ্চা, সে স্থির হয়ে বসে থাকতে এবং সমুদ্র দেখতে পছন্দ করে।’

এরিয়েলকে যখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তখন তার জন্য ১৫ হাজার পাউন্ডের বেশি অনুদান সংগ্রহ করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশী প্রায় ২২ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৭ টাকা। তাদেরকে সাহায্য করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এরিয়েলের নতুন পরিবার।

ওয়েলস একটি ভিন্ন দেশ হলেও এটি যুক্তরাজ্যের অংশ। আর পেমব্রোকেশায়া হলো ওয়েসের সবচেয়ে জনবহুল শহর।

ইন্ডিগো ফ্লাইটে যাত্রীর নাচের রিল, সামাজিক মাধ্যমজুড়ে ক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: এনডিটিভি

ছবি: এনডিটিভি

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের নিয়মিত ছবি, ভিডিও, রিল আপলোড করা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এসব কন্টেন্ট শেয়ার করে অনেকেই আবার অর্থও উপার্জন করছেন। তবে এসব রিল, ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করতে গিয়ে অন্যদের অস্বস্তিতে ফেলছেন কেউ কেউ। ভিডিও আপলোড করে অন্যদের গোপনীয়তাও নষ্ট করছেন।

এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতে। ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স একটি ফ্লাইটে এক মহিলার নাচের একটি রিল ভিডিও করেন। ওই নারীর নাম সালমা শেখ। তার নিজ একাউন্ট থেকে পোস্ট করলে রিলটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামজুড়ে বেশ ভাইরাল হয়েছে।

ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কালো শাড়ি পরে এক নারী বিমানের ভেতর নাচছেন। তখন এ.আর. রহমান এবং এস.পি. বালাসুব্রহ্মণ্যমের "স্টাইল স্টাইল" গানটি বাজছিল। এসময় অন্য যাত্রীরা বেশ অস্বস্তি পড়েছেন।

শেয়ার করার পর থেকে ইনস্টাগ্রাম রিলটি ১ দশমিক ৬ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ এবং ১৬ হাজার লাইক পড়েছে। তবে বেশিরভাগ নেটিজেন ভিডিওটি ভালোভাবে নেননি। ওই নারীর এহের আচরণে তারা বেশ বিরক্তি প্রকাশ করেছে।

ওই ভিডিওতে একজন মন্তব্য করেন, দেখে বুঝা যাচ্ছে যাত্রীরা বিব্রত বোধ করছেন। তাছাড়া এটি তার ব্যক্তিগত ফ্লাইট না, মূর্খ।’

আরেকজন লিখেন, ‘আমাদের সকলেরই কি জনসম্মুখে এই ধরনের নাচের স্টেপ দেওয়া উচিত? উফ। আমি জানিনা এই ধরনের সাহসী নাচের জন্য তার প্রশংসা করা উচিত, নাকি মজা করা উচিত।’

অন্য এক ইনস্টগ্রাম ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এই ধরনের নাচ কেবল ট্র্যাফিক সিগন্যাল এবং ট্রেনে হয়। তাহলে কি এখন বিমানেও এমন নাচ করা শুরু হয়েছে?’ এনডিটিভির খবর।

;

বাল্যবিয়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে সিয়েরা লিওনে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো মঙ্গলবার (২ জুলাই) একটি আইনের মাধ্যমে দেশটিতে বাল্যবিয়ে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

দেশটিতে লাখ লাখ মেয়েকে ১৮ বছর বয়সের আগেই বিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এএফপি জানিয়েছে, রাজধানী ফ্রিটাউনে নারীবাদী গ্রুপ এবং পশ্চিম আফ্রিকান ফার্স্ট লেডিস আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বায়ো বলেন, ‘আমাদের নারীদের জন্য স্বাধীনতা এসেছে।’

সিয়েরা লিওনের পার্লামেন্ট গত মাসে আইনটি অনুমোদন করে একটি বিল পাস করেছে।

এই আইনে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের কম বয়সি মেয়েদেরকে বিয়ে দেওয়া বা বিয়ে করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে কমপক্ষে ১৫ বছরের জেল বা ২ হাজার ডলারের বেশি জরিমানা হতে পারে।

বায়ো এই আইনকে ‘আফ্রিকাতে আশার আলোকবর্তিকা’ বলে অভিহিত করে বলেছেন, এই আইনের মাধ্যমে নারীদের নিজেদের ভবিষ্যত নির্ধারণ এবং বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করার সুযোগ রয়েছে।

তিনি নারীদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার সহিংসতা এবং অনৈতিকতা দূর করে সমতাকে লালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

দেশটির এমন ‘ঐতিহাসিক’ আইনের প্রশংসা করেছে বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।

ইউনিসেফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৯০ লাখ জনসংখ্যার দেশ সিয়েরা লিওনে ২০১৭ সালে ১৮ বছরের কম বয়সি বিবাহিত নারীর সংখ্যা ছিল ৮ লাখ। আবার এদের মধ্যে ৪ লাখ মেয়ের বয়স ১৫ বছরেরও কম ছিল।

সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক প্যাট্রিক অ্যানালোর মতে, বাল্যকালে বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েরা আজীবন নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে থাকে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে তাদের ভবিষ্যতের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়া।

;

বন্ধ্যাকরণ আইন অসাংবিধানিক: জাপান সুপ্রিম কোর্ট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তরাধিকারসূত্রে প্রতিবন্ধী হওয়ায় সাড়ে ১৬ হাজার প্রতিবন্ধীকে জোর করে বন্ধ্যাকরণ করায় জাপান সরকার। যেই আইনের মাধ্যমে এমন অমানবিক কাজ করা হয়েছিল সেই আইনকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে জাপানের সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে এই ঘটনায় ১১ জন ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাদের মামলাগুলো নিম্ন আদালতের রায় শেষে আপিল শুনানির জন্য অপেক্ষমান ছিল।

বুধবার (৩ জুলাই) যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এ খবর প্রকাশ করে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, যুগান্তকারী এই রায়ের মধ্যে দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা ন্যায়বিচার পেল এবং তাদের এক দশক ধরে চলা আন্দলনের অবসান ঘটলো। এঘটনায় বেঁচে থাকা ভুক্তভোগীরা বছরের পর বছর মামলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অবশেষে ২০১৯ সালে করা একটি আইনের মাধ্যমে তারা ক্ষতিপূরণ পেতে যাচ্ছে। যদিও বিতর্কিত এই আইনটি ১৯৯৬ সালে বাতিল করা হয়।

এ সম্পর্কিত মোট পাঁচটি মামলা ছিল। যার মধ্য চারটিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায় দেয় নিম্ন আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চ আদালতে আপিল করে। পঞ্চম মামলাটির বাদী ছিল দুইজন নারী। নিম্ন আদালত তাদের মামলা খারিজ করে দেয়। এরপর তারাও রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জাপান সরকার ২৫ হাজার লোককে চিহ্নিত করে, যারা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রতিবন্ধী। এই সকল লোকদের সন্তানরাও যেন প্রতিবন্ধী না হয় তাই অস্ত্রোপচার করে বন্ধ্যাকরণ করা হয় তাদের। জাপান সরকার স্বীকার করে ১৬ হাজার ৫০০ জন এই অস্ত্রোপচারে সম্মতি দেয়নি। অন্য ৮ হাজার ৫০০ জন এই অস্ত্রোপচারে সম্মত ছিল। তবে আইনজীবীরা বলছেন, তারাও চাপের মুখোমুখি বাধ্য হয়ে অস্ত্রোপচারে সম্মতি দিয়েছেল।

২০১৯ সালের করা আইনে বলা হয়, বন্ধ্যা করার সময় যাদের বয়স ২০ বছরের কম ছিল তারা ক্ষতিপূরণ আওতার বাহিরে থাকবে। তবে বুধবারের রায়ে বলা হয় বন্ধ্যাকৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ২০ বছরের সীমাবদ্ধতার আইন প্রয়োগ করা যাবে না। এই আইনের অধীনে বেঁচে থাকা ভুক্তভোগীরা প্রত্যেকে ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ইয়েন (বাংলাদেশি ২৩ লাখ ২১ হাজার ৯২৪ টাকা) পেতে পারেন।

বাদীদের আইনজীবী ইউটাকা ইয়োশিয়ামা বলেন, ‘সরকার এই ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের দাবিতে কর্ণপাত করছেন না। সমস্যাটি দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারকে অবশ্যই কঠোর উদ্দ্যােগ নিতে হবে। মামলা করাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পেয়ে মারা গেছেন।’

সেরিব্রাল পালসি (কম্পন) রোগে আক্রান্ত হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ইউমি সুজুকি। তাকে ১২ বছর বয়সে জোর করে বন্ধ্যা করা হয়। ২০২১ সালে তিনি বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, 'যখন আমি জানতে পারলাম যে আমি কখনই মা হতে পারব না, তখন আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল।’

বুধবার ১১ বাদীর মধ্যে ৬৮ বছরের এক বৃদ্ধ বিবিসিকে বলেন, আমি টাকা চাই না। আমার সাথে কি ঘটেছিল মানুষকে জানাতে চাই। আর কোনো প্রতিবন্ধীর সঙ্গে এমন আচরণ না হোক এটা নিশ্চিত করতে চাই। প্রতিবন্ধীরা বস্তু নয়, তারাও মানুষ।’

;

লড়াইয়ে থাকতে বাইডেনের অজুহাত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

  • Font increase
  • Font Decrease

নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে জো বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর আলোচনা খোদ ডেমোক্রেটিক দলের মধ্যে জোরালো হচ্ছে। এমন সময় ৮১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট প্রথম বিতর্কে ভালো করতে না পারার জন্য বিদেশ ভ্রমণকে দায়ী করেছেন।

সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, একের পর এক সফরের কারণে তিনি ক্লান্ত ছিলেন। আর তারই প্রভাব পড়েছে বিতর্কে। বাইডেন বলেন, আমি আমার প্রতিযোগীর কথা ঠিকমতো শুনতে পাইনি। আর ক্লান্তির কারণে মঞ্চে প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

খোদ ডেমোক্রেটিক দলের মধ্যেই বাইডেনের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। টেক্সাসের এক ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতা তাকে আসন্ন নভেম্বরের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে নিতে এমন মন্তব্য করলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা

তারা বলছেন, বাইডেনের বিতর্কে ভাল করতে না পারাটা তার প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচনী দৌড়ে একধাপ এগিয়ে দিয়েছে। ফলে নানা ত্রুটিবিচ্যুতি নিয়েও ট্রাম্পের আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার পট প্রস্তুত হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতা লয়েড ডগেট বলেন, আমি আশা করি, তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের মতো বেদনাদায়ক ও কঠিন সিদ্ধান্ত নেবেন।

বিতর্কে হতাশাজনক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করায় জো বাইডেনকে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদক পরিষদও।

সম্পাদক পরিষদ বলেছে, বিতর্কে প্রেসিডেন্ট একজন মহান সরকারি কর্মচারীর ছায়া রূপে আবির্ভূত হয়েছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে কী করবেন, তার ব্যাখা দিতে হিমশিম খেয়েছেন তিনি। হিমশিম খেয়েছেন মি. ট্রাম্পের উসকানির জবাব দিতে। হিমশিম খেয়েছেন ট্রাম্পকে তার মিথ্যা কথা, ব্যর্থতা ও ভয়ানক সব পরিকল্পনার জন্য জবাবদিহি করাতে। একাধিকবার তিনি একটা বাক্য শেষ করতে গিয়ে সংগ্রাম করেছেন।

চারদিক থেকে এমন সমালোচনার পরও হাল ছাড়তে রাজি নন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার দাবি, তিনি ট্রাম্পকে হারাতে পারবেন।

এদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং ইপসোসের এক জরিপে দেখা গেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারাতে ডেমোক্রেটদের শক্তিশালী প্রার্থী হতে পারেন সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা।

প্রকাশিত জরিপে দেখা গেছে, সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা অন্তত ১০ পয়েন্টে ট্রাম্পকে পরাজিত করবেন। শুধু তাই নয় জরিপে এটাও দেখা গেছে, মিশেল ছাড়া ডেমোক্র্যাট শিবিরে আর কোনো প্রার্থী নেই যিনি ট্রাম্পকে হারাতে পারবেন।

জরিপটিতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের কাছে বাইডেনের বিকল্প হিসেবে ডেমোক্র্যাট দলের কল্পিত বা সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মিশেলকে রাখা হয়েছিল। ট্রাম্প কিংবা মিশেল কাকে ভোট দেবেন এমন প্রশ্নে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ মিশেলকেই বেছে নিয়েছেন। বিপরীতে ট্রাম্পকে সমর্থন করেছেন ৩৯ শতাংশ মানুষ।

আরও দেখা গেছে, প্রতি তিনজন ডেমোক্র্যাটের মধ্যে অন্তত একজন মনে করেন ট্রাম্পের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিতর্কের পর বাইডেনের উচিত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো।

বাইডেনের বিকল্প বিবেচনা করার মতো আরেকটি গ্রুপ রয়েছে, ‘সুপার ডেলিগেটস’। প্রায় ৭০০ জন সিনিয়র নেতা এবং নির্বাচিত কর্মকর্তাদের একটি দল। তাদের অবস্থানের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনভেনশনে প্রতিনিধি হয়। সাধারণত দলীয় নিয়মের অধীনে তারা প্রথম ব্যালটে ভোট দিতে পারেন না। তবে তারা মনোনয়ন পরিবর্তন করতে পারেন। তারা পরবর্তী ব্যালটে ভোট দিতে পারেন।

তবে সত্যি যদি নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচনের কয়েক মাসের মধ্যে একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান, তাহলে এটি একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করবে। তবে এ সংকট কাটানোর জন্য ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের কিছুটা ভিন্ন কৌশল রয়েছে।

ডেমোক্র্যাটরা এক্ষেত্রে পার্টির চেয়ার ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ করেন। পার্টির নিয়ম অনুযায়ী কনভেনশনের পর শূন্যস্থান পূরণ করার ক্ষমতা ডেমোক্র্যাটিক জাতীয় কমিটিকে দেওয়া হয়।

;