উচ্ছেদ আদেশের পর দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি হামলা
![ছবি: আল-জাজিরা](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Jul/02/1719918085004.jpg)
ছবি: আল-জাজিরা
উত্তর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকার হয়ে দক্ষিণ গাজার আশ্রয় নিচ্ছিলেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। তবে এবার দক্ষিণ গাজার বৃহত্তম শহর খান ইউনুসের বেশিরভাগ এলাকা জুড়ে উচ্ছেদ আদেশ জারি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এই আদেশ জারি করার পর দক্ষিণ গাজায় নতুন করে হামলাও চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় আটজন নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হামলার শিকার হয়ে শত শত ফিলিস্তিনি ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আল জাজিরাকে জানায়, শহরসহ আশেপাশের একাধিক জায়গায় হামলা করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মতে, আটজন নিহত এবং ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
![](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&quality=100&path=uploads/news/2024/Jul/02/1719917821933.jpg)
এর আগে গত সোমবার ফিলিস্তিন থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে অভিনব রকেট হামলা করা হয়েছিল। সেই হামলার জবাব দিতে খান ইউনুসে বোমা হামলা করে ইসরাইল। ইসরাইলে রকেট হামলার কথা স্বীকার করেছে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে)। গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হামাসের পাশাপাশি লড়াই করছে ফিলিস্তিনী ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে)।
রকেটগুলো গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছিল। পিআইজে-এর সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেড বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে , খান ইউনুস থেকে ২০টি গোলাবারুদ ছো্ঁড়া হয়েছিল। যার বেশিরভাগই তারা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে তারা।
এমতবস্থায় ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে ভয় ছড়িয়ে পড়েছে। তারা মনে করছেন, খুব শিগগিরই খান ইউনুসের অন্যান্য এলাকাসহ আল-কারারা, বনি সহেলা অংশে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হতে পারে। বছরের শুরুতে এই শহরটিতে হামাস সৈন্যদের নির্মূল করার দাবি করে এলাকা ছাড়ে ইসরায়েলি সেনারা। তবে উচ্ছেদ আদেশ জারি করে শহরটিতে পুনরায় আত্রুমণের ইঙ্গিত দিলো ইসরায়েল।
বনী সুহেলার বাসিন্দা আহমেদ নাজ্জার বলেন, ‘উচ্ছেদের আদেশের পর এখানের জনগণ ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। বাসিন্দাদের বড় একটি অংশ অন্য জায়গা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছিল।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার ২.৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার বেশিরভাগই তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। আবার অনেকে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইসরায়েলি লড়াই, বিধিনিষেধ ও অবরোধের জন্য মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত যুদ্ধ বিধ্বস্ত জনসাধারণ। ফলে গাজায় তৈরি হয়েছে তীব্র ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষ।