ভারতে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৬



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের উত্তর প্রদেশের হাতরাস শহরের মুঘলগড়ি গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নারী ও তিন শিশুসহ অন্তত ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানায়। 

এনডিটিভি জানায়, প্রার্থনা সভা (সৎসঙ্গ) চলাকালীন পদদলিত হয়। কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের ভিজ্যুয়ালে দেখা গেছে, কান্নারত স্বজনদের উপস্থিতিতে বাস ও টেম্পোতে বেশ কিছু মরদেহ সেখানে আনা হচ্ছে।

ইটাহের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতদের লাশ শনাক্তকরণের কাজ চলছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষ হতেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। বিপুল সংখ্যক ভক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় পরিস্থিতি খারাপ হয়। হুড়োহুড়ির চোটে অনেকে মাটিতে পড়ে যান, তাতেই পদদলিতের ঘটনা ঘটে।

এক্স-এর একটি পোস্টে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খুব দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার জন্য। আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষ্মী নারায়ণ চৌধুরী এবং সন্দীপ সিং ওই গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন এবং মুখ্য সচিব ও পুলিশের মহাপরিচালককেও সেখানে পাঠানো হয়েছে। 

নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্যানেলের নেতৃত্বে থাকবেন আগ্রার অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালক এবং আলিগড় কমিশনার।

এ ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, "ঘটনাটি হৃদয়বিদারক। যারা তাদের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।"

গোপনে ফিলিস্তিনের ৩১৩৮ একর জমি দখলে নিল ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ফিলিস্তিনের বিপুল জমি দখলে নিল ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের বিপুল জমি দখলে নিল ইসরায়েল

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা আগ্রাসনের মধ্যেই অধিকৃত পশ্চিম তীরের ৩ হাজার ১৩৮ একর জমি নিজেদের বলে অনুমোদন করেছে দখলদার ইসরায়েল।

ইসরাইলের অবৈধ বসতি নজরদারি করা সংস্থা পিস নাউয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তির পর এবারই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিজেদের বলে স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল।

অসলো চুক্তির বিভিন্ন শর্তের মধ্যে উল্লেখ ছিল, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা থেকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ধীরে ধীরে সরে যাবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে তার উল্টো। প্রায় প্রতিবছরই ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে ইসরায়েলিদের ছিনিয়ে নেওয়া জমিগুলোকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।

নতুন ভূখণ্ড অনুমোদনের বিষয়ে ইসরায়েলি অধিকার সংস্থা ‘পিস নাউ’ একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরে বেসামরিক ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট নতুন ভূখণ্ডের অনুমোদন দিয়েছে গত ২৫ জুন। তবে গতকাল বুধবারের আগ পর্যন্ত তা প্রকাশ করা হয়নি।

সংস্থাটি জানিয়েছে, নতুন ঘোষণার আওতায় পশ্চিম তীরের পূর্বাঞ্চলে জেরিকো শহরের কাছাকাছি ১ হাজার ২৭০ হেক্টর (৩ হাজার ১৩৮ একর) ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড সরকারিভাবে ইসরায়েলের করে নেওয়া হয়েছে।

অধিকার সংস্থা ‘পিস নাউ’এক বিবৃতিতে এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছে, এই ঘোষণায় ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিগ্রহণ করা ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোতে নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের দখল করা জমিগুলোকে অনুমোদ দিয়ে আসছে ইসরায়েল। একবার কোনো জমি সরকারিভাবে অনুমোদন করে নিলে পরবর্তী সময় এই জমিগুলোর ফিলিস্তিনি ব্যক্তিমালিকানাকে অস্বীকার করে ইসরায়েল।

পিস নাউয়ের বিবৃতির বিষয়ে সিএনএনের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ শেষ হলে গাজা উপত্যকা দখল বা শাসন করতে চায় না ইসরায়েল।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। সেদিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গত নয় মাসে গাজায় ৩৮ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। ইসরায়েলের হামলা থেকে ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, শরণার্থীশিবির—কিছুই বাদ যাচ্ছে না।

;

পূর্বের কৌশলগত অংশ থেকে পিছু হটলো ইউক্রেন বাহিনী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের চাসিভ ইয়ারের অংশ থেকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়ে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

রাশিয়া, ইউক্রেনের পূর্বের কৌশলগত শহরের একটি জেলার উপর নিয়ন্ত্রণ দাবি করার একদিন পরে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এই খবর জানায় কিয়েভ।

প্রসঙ্গত, রুশ সেনারা কয়েক সপ্তাহ ধরে দোনেৎস্ক অঞ্চলে ক্রমাগত অগ্রসর হচ্ছে।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, রাশিয়ার কৌশলগত শহরের একটি জেলার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার একদিন পর তাদের সেনারা পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের চাসিভ ইয়ারের অংশ থেকে সরে গেছে।

পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের এই চসিভ ইয়ার এমন একটি কৌশলগত শহর, যেটিকে পশ্চিম দিকে ক্রামতোর্স্ক এবং স্লোভিয়ানস্ক শহরগুলোর দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য রাশিয়া বাহিনী ব্যবহার করতে পারবে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে, তাদের বাহিনী পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের নভয়ি জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, যা শহরের পূর্ব অংশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সিভারস্কি ডোনেটস-ডনবাস খালের পশ্চিমে অবস্থিত।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের সামরিক মুখপাত্র নাজার ভোলোশিন দেশটির টেলিভিশনকে বলেন, ‘শত্রু পক্ষের সেনারা প্রবেশ করার পর খালের আশেপাশের এলাকাটি ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। কারণ, তাদের অব্যাহত হামলায় আমাদের সেনাদের জীবন ও স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছিল এবং আমাদের রক্ষকদের অবস্থান ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাই সেনাদের জীবন রক্ষা এবং পুনরায় প্রতিরক্ষা ছক কষতে কমান্ডটি ওই এলাকা থেকে পিছু হটেছে।’

;

ইসরায়েলে দুই শতাধিক রকেট ছোড়ার দাবি হিজবুল্লাহ’র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীর একজন সিনিয়র কমান্ডারকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে ২০০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপের দাবি করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।

হিজবুল্লাহর একটি বিবৃতি অনুসারে রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার (৩ জুলাই) দক্ষিণ লেবাননের টায়ার এলাকায় শত্রুদের দ্বারা পরিচালিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসাবে তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েল-অধিভুক্ত গোলান মালভূমিসহ সীমান্তের ওপারে পাঁচটি ইসরায়েলি ঘাঁটিতে বিভিন্ন ধরণের ২০০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে। ।

উল্লেখ্য যে, প্রতিশোধমূলক ইসরায়েলি রকেট হামলায় বুধবার দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার মোহাম্মদ নামেহ নাসের নিহত হন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর সিনিয়র রাজনীতিবিদ হাসান ফাদল্লাল্লাহ বলেছেন, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলকে তার অপরাধের জন্য শাস্তি দেবে, যাতে এই শত্রু বুঝতে পারে প্রতিরোধের হাত কত দীর্ঘ।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে, তারা হিজবুল্লাহর মোহাম্মদ নাসেরকে হত্যা করেছে।

মোহাম্মদ নাসেরকে দক্ষিণ-পশ্চিম লেবানন থেকে ইসরায়েলে গুলি চালানোর জন্য দায়ী একটি ইউনিটের কমান্ডার বলে অভিহিত করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

লেবাননের দুটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের টায়ার শহরের কাছে একটি বিমান হামলায় নিহত নাসের যুদ্ধে মারা যাওয়া হিজবুল্লাহ কমান্ডারদের মধ্যে একজন।

;

অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ছাদে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ, মুসলিম সিনেটরের পদত্যাগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ফিলিস্তিনপন্থীদের আন্দোলনের রেশ যেন বেড়েই চলছে। এবার দেশটির রাজধানী ক্যানবেরায়অবস্থিত সংসদ ভবনের ছাদে উঠে পড়েন ফিলিস্তিনের পক্ষ নেওয়া বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন ছাদে ব্যানার টাঙিয়ে দেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কালো পোশাকে চার বিক্ষোভকারী প্রায় ১ ঘণ্টা সংসদ ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। পরে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর চেষ্টায় তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের ঝুলানো ব্যানারগুলোর একটিতে লেখা ছিল, ‘নদী থেকে সমুদ্র, ফিলিস্তিন থাকবে মুক্ত।’ খবর আল জাজিরা।

ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে ভোট দেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সিনেটর ফাতিমা পেম্যান দেশটির ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনার রেশ ধরেই বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনের ছাদে অবস্থান নেন।

বিক্ষোভকারীদের একজন ছাদ থেকে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ইসরায়েল সরকার গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ করছে। অস্ট্রেলিয়া সরকার সমর্থনের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সামিল হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন সিনেটর ফাতিমা পেম্যান।

এদিকে বিবিসির এক খবরে জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি থেকে সিনেটর ফাতিমা পেম্যান পদত্যাগ করেছেন। এর আগে সোমবার দলটি তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করে। ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে সিনেটে উত্থাপিত একটি প্রস্তাবে নিজ দলের বিপক্ষে গিয়ে ভোট দেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২৯ বছর বয়সী এই মুসলিম আইনপ্রণেতা আফগানিস্তান থেকে ১৯৯৬ সালে পরিবারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। তিনিই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম এবং একমাত্র হিজাব পরা ফেডারেল রাজনীতিবিদ।

বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করার ঘোষণা দেওয়ার ফাতিমা পেম্যান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ফিলিস্তিনের ইস্যুটির সঙ্গে আমি আপস করতে পারিনা। আমি অন্য সহকর্মীদের থেকে ভিন্ন। আমি জানি অন্যায়ের মুখোমুখি হতে কেমন লাগে। যখন নিরপরাধ মানুষের ওপর নৃশংসতা চালাতে দেখি তখন চুপ থাকতে পারিনা।’
মিসেস পেম্যান আরও বলেন, নিজ দলের বিপক্ষে গিয়ে ভোট দেওয়ার পর অনেক সহকর্মী আমাকে সমর্থন করেছে, আবার অনেকে চাপ প্রয়োগও করেছে। এরপর থেকে মেইলে কিছু হত্যার হুমকিও পেয়েছি।’

অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ তাকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ফাতিমা পেম্যানকে পদত্যাগ করার জন্য ভয় দেখানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘মিসেস পেম্যান একজন স্বাধীন সিনেটর হিসেবে ককাসে যোগ দিতে পারবেন।’

গাজার সংঘাত নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় একটি অস্থির রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। দেশটির সরকারও এই বিষয়টিকে সতর্কতার সাথে মোকাবেলা করার চেষ্টা করছেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায়। ইসরায়েলের দাবি, এ সময় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় নারকীয় তাণ্ডব শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, এ হামলায় উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

;