ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর আরেক কমান্ডার নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার মোহাম্মদ নামেহ নাসের

হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার মোহাম্মদ নামেহ নাসের

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিশোধমূলক ইসরায়েলি রকেট হামলায় দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার মোহাম্মদ নামেহ নাসের নিহত হয়েছেন।  বুধবার (৩ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে। এতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় কমান্ডার নিহত হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার মোহাম্মদ নাসের নিহত হয়েছেন।

হিজবুল্লাহর সিনিয়র রাজনীতিবিদ হাসান ফাদল্লাল্লাহ বলেছেন, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলকে তার অপরাধের জন্য ‘শাস্তি’ দেবে, যাতে এই শত্রু বুঝতে পারে প্রতিরোধের হাত কত দীর্ঘ।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে তারা হিজবুল্লাহর মোহাম্মদ নাসেরকে আঘাত করে হত্যা করেছে এবং তাকে ইসরায়েলে দক্ষিণ-পশ্চিম লেবানন থেকে গুলি চালানোর জন্য দায়ী একটি ইউনিটের কমান্ডার বলে অভিহিত করেছে।

লেবাননের দুটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের টায়ার শহরের কাছে একটি বিমান হামলায় নিহত নাসের, যুদ্ধে মারা যাওয়া হিজবুল্লাহ কমান্ডারদের মধ্যে একজন।

গাজা যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত শত্রুতা ভারী সশস্ত্র প্রতিপক্ষের মধ্যে একটি বিস্তৃত এবং ধ্বংসাত্মক সংঘর্ষের বিষয়ে উদ্বেগ উত্থাপন করেছে, যা ডি-এস্কেলেশনের লক্ষ্যে মার্কিন কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন যে ইসরায়েলি বাহিনী হিজবুল্লাহকে প্রতিদিন খুব কঠোরভাবে আঘাত করছে এবং গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় যে কোনও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত থাকবে, যদিও একটি আলোচনার ব্যবস্থায় পৌঁছানোর বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে।

এদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর ইসরায়েলের বেশ কিছু অংশে বিমান হামলার সাইরেন বেজেছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কয়েকটি রকেট উৎক্ষেপণ করেনি তবে বলেছে যে তাদের বেশিরভাগই খোলা জায়গায় পড়েছিল, কিছু আটকানো হয়েছিল, যখন বেশ কয়েকটি লঞ্চ কিরিয়াত শমোনা এলাকায় পড়েছিল।

এতে আরও বলা হয়েছে যে, কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি তবে দমকলকর্মীরা রকেট হামলায় আগুন নেভাতে কাজ করছে।

রকেট সালভোসের পরে, ইসরায়েল বলেছে যে তাদের যুদ্ধবিমান একটি হিজবুল্লাহ লঞ্চারে আঘাত করেছে যেটি ইসরায়েলের দিকে ব্যারেজগুলিকে গুলি করার পাশাপাশি দুটি অতিরিক্ত লঞ্চারে ব্যবহার করা হয়েছিল।

লেবাননের সূত্র জানায়, নাসের সীমান্তে হিজবুল্লাহর অপারেশনের একটি অংশের জন্য দায়ী। একটি সূত্র জানিয়েছে, দ্বিতীয় হিজবুল্লাহ যোদ্ধা এবং একজন বেসামরিক ব্যক্তিও নিহত হয়েছেন।

নাসের হিজবুল্লাহর একজন শীর্ষ কমান্ডার ছিলেন। জুন মাসে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়া তালেব আবদুল্লাহর মত তিনিও একই পদমর্যাদা ও গুরুত্বের অধিকারী ছিলেন।

ইসরায়েলের সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নাসের এবং আবদুল্লাহ দক্ষিণ লেবাননের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই হিজবুল্লাহ সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ করেছেন।

সিনিয়র হিজবুল্লাহ রাজনীতিবিদ হাসান ফাদল্লাল্লাহ বলেছেন, নাসের জানতেন যে তিনি ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন কিন্তু নয় মাসেও যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে যাননি। হিজবুল্লাহ ইসরায়েলকে তার অপরাধের জন্য তার শাস্তি দেবে।

হিজবুল্লাহ- ইসরায়েলের শত্রুতার জের ধবে সীমান্তের উভয় দিকেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে, হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।

রয়টার্সের হিসাব অনুযায়ী, লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ৩০০ জনেরও বেশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধা এবং ৮৭ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েল বলেছে, লেবাননের হামলায় ১৮ জন সেনা এবং ১০ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।

‘অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর প্রকল্প বাতিল করা হবে’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর বিতর্কিত প্রকল্প বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

লেবার পার্টি নির্বাচনে ভূমিধস জয়ের পর স্থানীয় সময় শনিবার (৬ জুলাই) প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

কিয়ার স্টারমার বলেন, তার সরকার রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর পূর্ববর্তী রক্ষণশীল সরকারের নীতি বাতিল করা হবে।

তিনি বলেন, আমি এমন কৌশল চালিয়ে যেতে চাই না যা প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে না। তিনি রুয়ান্ডা নীতিকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সমস্যা হিসাবে বর্ণনা করেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইংলিশ চ্যানেল হয়ে নৌকায় যারা অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন, তাদের মধ্য থেকে কিছুসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পাঠানোর পরিকল্পনা হিসেবে ২০২২ সালের এপ্রিলে রুয়ান্ডার সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি হয়।

চুক্তি অনুযায়ী পাঁচ বছরে যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জায়গা দেবে রুয়ান্ডা। বিনিময়ে রুয়ান্ডাকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয় ব্রিটিশ সরকার। পাশাপাশি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পুনর্বাসন বাবদ বাড়তি অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

২০২২ সালের জুনে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি রওনা করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের এক আদেশে তা বাতিল হয়ে যায়।

পরের বছরের নভেম্বরে এ ধরনের পরিকল্পনাকে অবৈধ ঘোষণা করে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট, তবে ঋষি সুনাক চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রুয়ান্ডা বিল উত্থাপনের পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করে বিরোধী দলগুলো। এ নিয়ে অনেক দিন ধরে পার্লামেন্টে তর্ক-বিতর্ক চলার পর চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা তাদের আপত্তি প্রত্যাহার করে নেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী সুনাক বলেন, ১০ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে ফ্লাইটগুলো রুয়ান্ডার উদ্দেশে রওনা করবে। তবে এই সময়ে আদৌ পাঠানো যাবে কি না, তা নিয়ে তখনই অনিশ্চয়তা দেখা যায়।

;

পেজেশকিয়ানকে অভিনন্দন জানালেন সৌদি যুবরাজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ শনিবার (৬ জুলাই) জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় মাসুদ পেজেশকিয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সৌদি আরবের যুবরাজ।

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে উদ্ধৃত করে এসপিএ জানিয়েছে, ‘আমি আমাদের দেশ ও জনগণের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের উন্নয়ন ও গভীরতা এবং আমাদের পারস্পরিক স্বার্থের প্রতি আমার আগ্রহের কথা নিশ্চিত করছি।’

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ইরান এবং সৌদি আরব বছরের পর বছর আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য চীনের মধ্যস্থতায় একটি যুগান্তকারী চুক্তি স্বাক্ষর করে।

তারপর থেকে উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা সম্পর্ক জোরদার করার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সংস্কারপন্থি নেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টরপন্থি প্রার্থী সাঈদ জালিলিকে পরাজিত করে জয় পেয়েছেন তিনি।

শনিবার (৬ জুলাই) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, শুক্রবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে পেজেশকিয়ান ১ কোটি ৬৩ লাখ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী সাইদ জলিলি ১ কোটি ৩৫ লাখ ভোট পেয়েছেন।

এর মধ্য দিয়ে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন পেজেশকিয়ান।

দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি বেশি ছিল। প্রায় ৫০ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর আগে ২৮ জুন অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৪০ ভাগ। প্রথম ধাপে চার প্রার্থীর কেউ এককভাবে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন রান অফে গড়ায়।

ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান হার্ট সার্জারি বিশেষজ্ঞ। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় তাবরিজ অঞ্চল থেকে ৫ বার পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন পেজেশকিয়ান। এ ছাড়া ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইরানের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। সংবিধান অনুযায়ী, ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে দেশটিতে।

;

ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট নিয়ে কাজ করবে ভারত ও যুক্তরাজ্য



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাজ্যের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার

ছবি: সংগৃহীত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাজ্যের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত ও যুক্তরাজ্য ‘মুক্ত ব্যবসায় চুক্তি’ (ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট- এফটিএ) নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে রাজি বলে জানা গেছে। যুক্তরাজ্যের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

শনিবার (৬ জুলাই) ভারতের বার্তাসংস্থা এএনআই এ খবর জানায়।

খবরে বলা হয়, শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারকে ফোন করেন।

এসময় নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় স্টারমারকে অভিনন্দন জানান এবং তাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান।

এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অফিস (পিএমও) থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, দুই দেশের নেতার মধ্যে আলোচনায় ‘সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ (কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ-সিএসপি) বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসময় দু’জনই সিএসপি বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন এবং এ বিষয়ে কাজ করতে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

টেলিফোন আলাপকালে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার সেদেশে প্রবাসী ভারতীয়রা সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে যে অনেক অবদান রেখেছেন, তা উল্লেখ করে প্রবাসী ভারতীয়দের প্রতি অভিবাদন জানান।

টেলিফোন আলাপকালে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধন আরো দৃঢ় করার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার প্রকাশ করেন ভারত ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের পর ২০২৪ সালের যুক্তরাজ্যের সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নির্বাচনে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে লেবার পার্টি।  

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার পেশায় একজন ব্যারিস্টার ছিলেন। তার বাবা ছিলেন একজন খনি শ্রমিক আর মা ছিলেন নার্স। খনিশ্রমিক ‘কিয়ের’-এর নাম অনুসারে স্টারমারের ‘কিয়ের’ নাম রাখা হয়। প্রথম জীবনে কিয়ের স্টারমার একজন কট্টরপন্থি বাম রাজনীতিবিদ ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি মধ্য বামপন্থি হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তোলেন।

;

জন্মদিনে অসুস্থতার গুজব উড়িয়ে দিলেন দালাই লামা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৮৯তম জন্মদিনে শনিবার (৬ জুলাই) নিজের অসুস্থতার খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মের নির্বাসিত আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা।

এনডিটিভি জানিয়েছে, দালাই লামা বলেছেন, হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পরে তিনি সেরে উঠছেন এবং শারীরিকভাবে সুস্থ্য বোধ করছেন।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি ভিডিওবার্তায় দালাই লামা বলেছেন, ‘সম্প্রতি আমার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে, যা আমাকে কিছুটা সমস্যায় ফেলেছিল। তবে, আমি সুস্থ হয়ে উঠছি এবং এখন কোনো সমস্যা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু লোক হয়তো আমার স্বাস্থ্য সম্পর্কে আপনাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা বলছেন, দালাই লামা একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এবং আমার অবস্থা গুরুতর হয়ে উঠেছে। আপনাদের এই ধরনের ভুল তথ্য বিশ্বাস করার দরকার নেই।’

উল্লেখ্য, দালাই লামা একজন ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্ব, যিনি আন্তর্জাতিকভাবে বৌদ্ধ ধর্মকে জনপ্রিয় করেছেন এবং ১৯৮৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিলেন।

১৯৫০ সালে চীন হিমালয় অঞ্চলে সেনা পাঠানোর নয় বছর পরে ১৯৫৯ সালে ভারতে পালিয়ে যান তিনি।

এই আধ্যাত্মিক নেতা বার্ধক্যে স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে লড়াই করায় তার উত্তরাধিকারী নির্বাচন স্বায়ত্তশাসন বা পূর্ণ স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামরত তিব্বতিদের জন্য একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিব্বতের বৌদ্ধরা বিশ্বাস করে যে, বিদ্বান সন্ন্যাসীরা মৃত্যুর পরে নবজাতক হিসাবে পুনর্জন্ম লাভ করেন।

দালাই লামা বলেছেন, তিনি তার ৯০তম জন্মদিনের কাছাকাছি সময়ে উত্তরাধিকার সম্পর্কে প্রশ্নগুলো স্পষ্ট করবেন।

;