কিয়ার স্টারমারের স্ত্রী কে এই ভিক্টোরিয়া?

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টিমার ও তার স্ত্রী ভিক্টোরিয়া স্টারমার। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টিমার ও তার স্ত্রী ভিক্টোরিয়া স্টারমার। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে নির্বাচনে শোচনীয় হারের পর সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটের ১০ নম্বর বাসা থেকে বিদায় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ব্রিটিশ জনগণ ভোটের মাধ্যমে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নিয়েছেন। এর মধ্যে দিয়ে ডাউনিং স্ট্রিটের ১০ নম্বর বাসাটিতে উঠতে যাচ্ছে নতুন একটি পরিবার। তাহলে চলুন প্রধানমন্ত্রীর বাস ভবনের নতুন বাসিন্দাদের পরিচয় জেনে আসা যাক।

প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার শুধু একাই নন, তার সঙ্গে ১০ নম্বর বাড়িতে থাকবেন স্ত্রী ভিক্টোরিয়া স্টারমার ও দুই সন্তান। স্টারমার তার স্ত্রী ভিক্টোরিয়াকে ভিক নামে সম্বোধন করেন। নির্বাচনের প্রচারণায় ভিককে খুব একটা সামনের সারিতে রাখেননি এই লেবার নেতা।

বিজ্ঞাপন

তারা দুইজনই আইনজীবী। তারা ২০০৭ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এর এক বছরের মাথায় স্টারমার পাবলিক প্রসিকিউশনের পরিচালক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০২১ সলে ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানকে স্টারমার বলেছিলেন, কর্মক্ষেত্রে তাদের প্রথম সাক্ষাত হয়। এরপর তিনি কয়েক মাস ধরে তাকে অনুসরণ করেছিলেন এবং তখন থেকেই তাদের সম্পর্ক বেড়ে ওঠে।

স্টারমার আরও বলেন, ‘ভিক অনেক সুন্দরী এবং চঞ্চল। আমরা একে অপরের সঙ্গে নিজেদের মূল্যবোধ শেয়ার করি এবং আমরা একসাথে হাসি।’

ভিক্টোরিয়া স্টারমারের বাব-মা ইহুদি। তারা যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিসে (এনএইচএস) স্বাস্থ্য সেবা দেন। গত মাসে দ্য গার্ডিয়ানে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে কেয়ার স্টারমার বলেন, তার স্ত্রীর পরিবারের অনেক সদস্য এখন ইসরায়েলে বসবাস করেন। তিনি এবং তার স্ত্রী তাদের সন্তানদের পারিবারিক ঐতিহ্য বোঝানোর জন্য খুব আগ্রহী।

এদিকে নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী স্টারমার তার বাড়ি স্থানান্তরের বিষয়ে সন্তানদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। তিনি ব্রিটিশ সম্প্রচার মাধ্যম আইটিভি’কে বলেন, ‘এই পরিবর্তন (বাসা স্থানান্তর) নিয়ে আমরা গভীরভাবে চিন্তিত। আমরা কিভাবে বাচ্চাদের গোপনীয়তা রক্ষা করবো।’

স্টারমার সন্তানদের গোপনীয়তার বিষয়ে এতটাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে, তিনি সাক্ষাতকারে সন্তানদের নাম উল্লেখ না করে "আমার ছেলে" এবং "আমার মেয়ে" বলেছেন। তিনি বলেন, শুরু থেকেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তাদের যতটা সম্ভব সুরক্ষিত রাখব। তাই আমরা শিশুদের সঙ্গে কোন ফটোশুট করব না এবং তাদেরকে জনসম্মুখে আনব না।’

স্টারমার দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছিলেন, ‘তীব্রভাবে সচেতন থাকি যেন কাজ পরিবারকে প্রভাবিত না করে। আমরা জীবনকে যতটা সম্ভব সাধারণ এবং সবকিছু অপরিবর্তিত রাখতে চেষ্টা করি।’

এই বছরের শুরুর দিকে উত্তর লন্ডনের কেনটিশ টাউনে স্টারমারের বাসার সামনে ফিলিস্তিনপন্থীরা বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা "স্টারমার হত্যা বন্ধ করো" লেখা একটি ব্যানার সঙ্গে আনেন। বাসার সামনে বাচ্চাদের রাখা জুতাগুলো সারিসারি করে প্রদর্শন করে।

স্টারমার আইটিভ ‘কে বলেন, সন্তানদের সুখী এবং আত্মবিশ্বাসী হিসেবে দেখাই তাদের মূল লক্ষ্য।