সুইচ টিপে দেশ পরিবর্তন সম্ভব নয়: কিয়ার স্টারমার

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডাউনিং স্ট্রিটে কিয়ার স্টারমার ও স্ত্রী ভিক্টোরিয়া

ডাউনিং স্ট্রিটে কিয়ার স্টারমার ও স্ত্রী ভিক্টোরিয়া

দায়িত্ব নিয়েই প্রথম ভাষণে ব্রিটিশ নতুন প্রধানমন্ত্রী লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার বললেন, ‘কোনো দেশকে পরিবর্তন করা সুইচ টেপার মতো বিষয় নয়। সময় নিয়ে আমি দেশকে নতুন করে সাজাতে চাই।’


জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়ায় তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন রাজা তৃতীয় চার্লস। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পরই মন্ত্রিসভা গঠনে কাজ শুরু করেন স্টারমার। এর আগে রাজা চার্লস প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি সুনাকের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। 

বিজ্ঞাপন

এদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েই স্টারমার জনগণ সুচিন্তিত সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। তারা যুক্তরাজ্যের পরিবর্তন এবং সেবামূলক রাজনীতির জন্য ভোট দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া কিয়ার বলেন, কোনো দেশকে পরিবর্তন করা সুইচ টেপার মতো বিষয় নয়। এর জন্য সময় প্রয়োজন। তবে পরিবর্তনের জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করা হবে।

নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আনন্দিত। আপনারা এই বিজয়ের জন্য প্রচারণা চালিয়েছেন, লড়াই করেছেন, ভোট দিয়েছেন এবং এখন সেটি আমাদের হাতে এসেছে। এখান থেকেই পরিবর্তনের সূচনা হলো।’

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে স্টারমারকে পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ পথ। ১৯৬২ সালে লন্ডনে জন্ম নেন কিয়ার। বেড়ে ওঠেন দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের সারেতে। শ্রমজীবী শ্রেণির সঙ্গে তার জীবনের যোগের কথা প্রায়শই বলতে শোনা যায় স্টারমারকে। তার বাবা একটা কারখানার সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক হিসেবে কাজ করতেন এবং মা ছিলেন নার্স।

১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির স্থানীয় যুব শাখায় যোগ দেন কিয়ার স্টারমার। কিছু সময়ের জন্য উগ্র বামপন্থি একটি পত্রিকার সম্পাদনাও করেছিলেন। ২০০৮ সালে কিয়ার পাবলিক প্রসিকিউশনের ডিরেক্টর ও ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি চাকরি করেন। ২০১৪ সালে তাকে নাইট উপাধি দেয়া হয়েছিল। 

তিনি প্রথমবার সংসদে যান ২০১৫ সালে। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর লেবার পার্টির নেতা হওয়ার সুযোগ পান স্যার কিয়ার স্টারমার।