গাজায় ২য় ধাপের পোলিও ভ্যাকসিনেশন শুরু
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ চলমানের মধ্যেও দ্বিতীয় ধাপের পোলিও ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, যুদ্ধ অব্যাহত থাকার পরেও দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় ধাপের পোলিও ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়েছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি ত্রাণ ও শরণার্থী সহায়তাবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউ এক বিবৃতিতে জানায়, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ ও খান ইউনুসে শিশুদের পোলিও ভ্যাকসিন খাওয়ানো শুরু হয়েছে।
বিবৃতি বলা হয়, এই সংকটময় মুহূর্তে মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে পরিবারের সদস্য এবং মানবিক সহায়তায় কর্মরতদের রক্ষা করা উচিত।
বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সালাউদ্দিন সড়কের পূর্বদিকে ত্রাণকর্মীদের ভ্যাকসিনেশন কাজে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এ তথ্য জানার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএএইচও) আহ্বানে রোববার থেকে মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর-৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ৩ দিন মানবিক যুদ্ধবিরতি পালন করে ইসরায়েল।
এই মানবিক যুদ্ধবিরতিতে মোট ৬ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে ১৩ লাখ পোলিও ডোজ খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ১ লাখ ৮৭ হাজার শিশুকে ভ্যাকসিন খাওয়ানো হয়। ১০ বছরের নিচে শিশুদের পোলিও ভ্যাকসিন খাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
বুধবার রয়টার্সে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়, পোলিও ভ্যাকসিনেশনের প্রথম ধাপের সফলতার পর জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি ত্রাণ ও শরণার্থী সহায়তা সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, ৩ দিনের মানবিক যুদ্ধবিরতিতে ১ লাখ ৮৭ হাজার শিশুকে পোলিও ভ্যাকসিন খাওয়ানো হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে গাজা উপত্যকার বাকি অংশে পোলিও ভ্যাকসিন খাওয়ানো শুরু করা হবে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থার (গ্লোবাল রিলিফ এজেন্সি- জিআরএ) প্রধান ফিলিপ্পি লাজরানি বুধবার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে পোলিও ভ্যাকসিনেশনের প্র্রথমধাপের সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘দারুণ অগ্রগতি! মধ্য গাজার অনেক শিশু পোলিও রোগের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন পেয়েছে’!
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘পোলিও ভ্যাকসিনেশনের অবসরে গাজার মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পেরেছেন। তবে এবার জরুরিভাবে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি বিনিময় হওয়া দরকার’।
এছাড়া মানবিক ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধও সরবরাহের স্বাভাবিক গতি আসা দরকার বলে জানান তিনি।