বিজেপি-আরএসএস বিশ্বাস করে নারীদের ঘরে থাকা উচিত: রাহুল

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী/ছবি: সংগৃহীত

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী/ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার বিরোধী দলীয় প্রধান এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, বিজেপি ও আরএসএস (রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘ) বিশ্বাস করে ‘নারীদের ঘরে থাকা উচিত’। তাদের উচিত ‘রান্না করা’ এবং ‘কম কথা’ বলা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভুত শিক্ষার্থীদের সামনে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। তার এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।

বিজ্ঞাপন

ভারতে বিজেপিকে আরএসএস-এর মানসপুত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভারতের টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস ও ফার্স্টপোস্ট এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করে।

খবরে বলা হয়, সোমবার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতা এবং ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার বিরোধীদলীয় প্রধান রাহুল গান্ধী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীদের সামনে বক্তব্য রাখেন।

শ্রমিক হিসেবে ভারতীয় নারীদের অংশগ্রহণ এত কম কেন শিক্ষার্থীদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে রাহুল গান্ধী বলেন, এটা নারীদের সম্পর্কে পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি।

এরপর তিনি বলেন, বিজেপি ও আরএসএস বিশ্বাস করে, নারীদের ঘরে থাকা উচিত। তাদের উচিত রান্নাবান্না করা এবং কম কথা বলা। তবে আমরা (কংগ্রেস) মনে করি, নারীরা যেখানে মন চাইবে, সেখানেই যেতে পারবেন।

এদিকে, রাহুল গান্ধীর এ মন্তব্যের সমালোচনা করেছে বিজেপি। এর জবাবে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র প্রদীপ ভাণ্ডারী বলেছেন, রাহুল গান্ধী আসলে চীনের পক্ষ টেনে কথা বলেছেন।

রাহুল গান্ধী তার বক্তব্যে বলেন, আরএসএস বিশ্বাস করে ভারত মাত্র একটি ইস্যুর ভিত্তিতে চলবে। কিন্তু আমরা মনে করি, ভারত বিভিন্ন চিন্তা ও আদর্শের ভিত্তিতে চলবে।

রাহুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, দেশের প্রত্যেকেরই অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিতে হবে। সবারই স্বপ্ন দেখার সুযোগ দিতে হবে। সেটা হোক গোত্র, ভাষা, ধর্ম, প্রথা অথবা ইতিহাসের বিষয়েও।

কংগ্রেস বহু চিন্তাধারা বিশ্বাস করে উল্লেখ করে রাহুল গান্ধী বলেন, আমরা লোকসভার নির্বাচনে এই যুদ্ধটাই করেছি এবং সে কারণে ভারতীয়রা সবাই বুঝতে পেরেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) ভারতের সংবিধানের চেতনাকে আক্রমণ করেছেন নির্বাচনের সময়।