খবরে বলা হয়, শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ প্রদেশের লুসিকিস্কি গ্রামের দুটি বাড়ি ঢুকে দুর্বৃত্তরা গুলি করলে ১৭ জন মারা যান। এর মধ্যে ১৫ জন নারী ও দুইজন পুরুষ।
পুলিশ জানায়, এক বাড়িতে ১৩ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে ১২ জন নারী ও একজন পুরুষ। অন্য বাড়িতে চারজনকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকায় পৃথিবীর সবচেয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে থাকে। প্রতি বছর অন্তত ২০ হাজার লোক হত্যার শিকার হয়ে থাকেন।
হিমালয়ের দেশ নেপালে ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরো ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আইরিশ এক্সামিনার এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, শুক্রবার রাত থেকে চলা ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরো ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ভারী বর্ষণ সপ্তাহব্যাপী অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
নেপাল পুলিশের মুখপাত্র বিশ্ব অধিকারী বলেছেন, এ বন্যায় ১৭ জন আহত হয়েছেন এবং ১ হাজার ৫৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সারাদেশের পুলিশ সদস্যদের জানানো হয়েছে, যেন তারা উদ্ধার কাজে সহায়তা করেন।
এদিকে, নেপাল সরকার ব্যাপক আকারে ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করেছে।
বিশ্বের মুসলিমদের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
লেবাননভিত্তিক হেজুবুল্লাহ প্রধান (সেক্রেটারি জেনারেল) সায়ীদ হাসান নাসরুল্লাহ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) আকাশপথে হামলায় নিহত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে খামেনি এ যুদ্ধের ডাক দেন।
এদিকে, নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার খবরে খামেনি নিরাপদ এলাকায় চলে গেছেন বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে তার নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে। ইরানের দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েল, যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার (বাংলাদেশ সময় শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননের রাজধানী দক্ষিণ বৈরুতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর আকাশপথে হামলায় হেজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল সায়ীদ হাসান নাসরুল্লাহসহ আরো কয়েক নেতা নিহত হন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচে আড্রেই শনিবার বলেন, শুক্রবার লেবাননের রাজধানী দক্ষিণ বৈরুতের শহরতলিতে আইডিএফের হামলায় হেজবুল্লাহ প্রধান ও দলের সেক্রেটারি জেনারেল সায়ীদ হাসান নাসরুল্লাহসহ কয়েকজন নেতা নিহত হয়েছেন।
নাসরুল্লাহ ৩২ বছর ধরে হেজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। ইসরায়েলে যত হামলা চালানো হয়েছে, সব হামলাই তার নির্দেশে পরিচালিত হতো।
এদিকে, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এক বিবৃতিতে বিশ্বের মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আপনারা লেবাননের পাশে দাঁড়ান। শয়তানের রাজ্যের (ইসরায়েল) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গর্বিত হেজুবুল্লাহ আমাদের বন্ধু।
খামেনি আরো বলেন, ইসরায়েলে সেনাবাহিনী হেজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে। এই অঞ্চলের (মধ্যপ্রাচ্য) ভাগ্য নির্ধারিত হবে প্রতিরাধ যুদ্ধের মাধ্যমেই। হেজবুল্লাহ এই প্রতিরোধের নেতৃত্বে রয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছ্, হেজবুল্লাহর সদর দফতর বৈরুতের শহরতলি দায়িহেরে একটি আবাসিক ভবনের ভূগর্ভে অবস্থিত।
হেজবুল্লাহ প্রধান ইসরায়েলি সেনাদের পরিচালিত অপারেশন ‘নিউ অর্ডার’-এ নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের হামলায় লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গোষ্ঠীটি।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এক বিবৃতিতে লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠীটি বলেছে, তারা গাজার সমর্থনে এবং লেবাননের প্রতিরক্ষায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মোকাবিলা চালিয়ে যাবে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) আজ সকালে এক বিবৃতিতে জানায়, গতকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ও দক্ষিণ ফ্রন্টের কমান্ডার আলী কারকি ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, আইডিএফ ও ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থার তথ্য মতে যুদ্ধবিমানগুলি বৈরুতের দাহেহ এলাকায় একটি আবাসিক ভবনের মাটির নীচে অবস্থিত হিজবুল্লাহর কেন্দ্রীয় সদর দফতরে হামলা চালায়। ওই হামলায় তিনি নিহত হন।
আইডিএফ জানায়, হাসান নাসরুল্লাহ৩২ বছরের শাসনামলে অনেক ইসরায়েলি বেসামরিক ও সৈন্যকে হত্যা এবং হাজার হাজার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জন্য দায়ী ছিলেন। এছাড়াও তার নেতৃত্বে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী হামলায় বিভিন্ন দেশের বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছিল। নাসরাল্লাহ ছিলেন কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী এবং সংগঠনের কৌশলগত নেতা।
"হাসান নাসরুল্লাহর নেতৃত্বে হিজবুল্লাহ ৮ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে যোগ দেয়। তারপর থেকে, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের নাগরিকদের ওপর তার চলমান আক্রমণ চালিয়ে লেবাননকে উত্তেজনার দিকে নিয়ে যায়।"- আইডিএফ বলছে।
ওই বিবৃতিতে আইডিএফ, ইসরাইল রাষ্ট্র এবং এর জনগণের জন্য যারা হুমকি তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবে বলেও ঘোষণা দেয়।
লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কোনো এক গোপন স্থানে নিরাপদে রাখা হয়েছে তাকে।
এর আগে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ইরানের একটি বিমান লেবানন বা সিরিয়ার উদ্দেশে উড়েছিল। কিন্তু তারা জানতে পারে লেবাননের বিমানবন্দর ইসরাইলি সেনারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এটা জানার পরই ইরাকের আকাশসীমা থেকে বিমানটি ইরানে ফিরে গেছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। তারা দাবি করেছে, এই হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। এরপরই ইরানি সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার খবর জানা গেল।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, হাসান নাসরাল্লাহ আর বিশ্বে সন্ত্রাস করতে সক্ষম হবেন না। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসান নাসরাল্লাহ ছাড়াও নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহর দক্ষিণ ফ্রন্টের কমান্ডার।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর সদর দফতর লক্ষ্য করে চালানো এ হামলায় সংগঠনটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর নিহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবারের ব্যাপক বোমা হামলার পর নাসরুল্লাহর ভাগ্য সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ প্রধান বেঁচে আছেন এবং ভালো আছেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অফিসিয়াল পেজে আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনি হিজবুল্লাহকে সমর্থন দিতে এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে আঞ্চলিক বাহিনীগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এতে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি হাসান নাসরাল্লাহর নাম মোটেও উল্লেখ করেননি। তবে ‘লেবাননের প্রতিরোধহীন জনতা’কে হত্যা করার জন্য প্রথমেই তিনি নিন্দা জানিয়েছেন।
বলেছেন, এতে ইসরায়েলের নেতাদের অদূরদর্শিতা ও মূর্খতার নীতি প্রমাণিত হয়েছে। ইসরায়েলের ক্রিমিনালদের অবশ্যই জানতে হবে যে, লেবাননে হিজবুল্লাহর শক্তঘাঁটিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করার জন্য তারা খুবই ছোট। হিজবুল্লাহকে আঞ্চলিক সব প্রতিরোধ বাহিনী সমর্থন করে এবং তাদের পাশে আছে। তিনি লেবাননের জনগণ এবং হিজবুল্লাহর পাশে দাঁড়াতে সব মুসলিমের প্রতি আহ্বান জানান। নিষ্পেষণকারী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদেরকে সমর্থন দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।