সাধারণ মানুষ নয়, ইসরায়েলে হামলার টার্গেট ছিল সামরিক স্থাপনা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ইরানের রয়েল আর্মড ফোর্সেস ইসরায়েলের সাধারণ মানুষকে লক্ষ করে নয়, বরং সেদেশের সামরিক স্থাপনা ও মোসাদ সদর দফতরই ছিল ইরানের হামলার লক্ষ্যবস্তু বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির চিফ অব জেনারেল আর্মড ফোর্সেস মোহাম্মাদ বাঘেরি।

বাঘেরি বলেন, মঙ্গলবার দিনগত মাঝরাতে ইসরায়েলের সেনাঘাঁটি, সামরিক বিমানঘাঁটি ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দফতরে ক্ষেপণাস্ত্র চালিয়েছে ইরান। এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে- ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ ২’।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২ অক্টোবর) ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি ও তেহরান টাইমসের বরাত দিয়ে রেডিফ.কম এ খবর জানায়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রেস টিভিকে চিফ অব জেনারেল আর্মড ফোর্সেস মোহাম্মাদ বাঘেরি বলেন, ইসরায়েলের সাধারণ নাগরিকদের ওপর কোনো হামলা চালায়নি ইরান।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মাদ বাঘেরি বলেন, মঙ্গলবার দিনগত মাঝরাতে ইরানের দ্য ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড করপস (আইআরজিসি) শব্দের চেয়ে দ্রুতগতির ফাতাহ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা করেছে। যে সব স্থাপনার ওপর হামলা করা হয়েছে, সেগুলির একটি হচ্ছে, দ্য নেভটিম এয়ারবেস। এখানে ইসরায়েলের এফ-৩৫ জেট ফাইটার রাখা থাকে। এই জেট ফাইটার দিয়েই ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের বৈরুতে হামলা চালানো হয়েছিল। এছাড়া মোসাদের সদর দফতরেও হামলা করা হয়।

উল্লেখ্য, এফ-৩৫ জেট ফাইটার দিয়েই ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হেজবুল্লাহর সদর দফতরে হামলা চালানো হয়েছিল। এতে হেজবুল্লাহর প্রধান সাঈদ হাসান নাসরাল্লাহসহ ইরানের আইআরজিসি কমান্ডার আব্বাস নিলোফোরশান নিহত হন।