ইউক্রেনকে আবারও বড় অঙ্কের সহায়তা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। গত সোমবার মার্কিন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘোষণা দেন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনকে আরও ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা পাঠাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জানুয়ারিতে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে শেষবারের মতো ইউক্রেনে সহায়তা পাঠাচ্ছেন বাইডেন প্রশাসন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য ঘোষণা করা এই সাহায্য সামগ্রীর মধ্যে আকাশ প্রতিরক্ষার সরঞ্জাম, ড্রোন মোকাবিলার অস্ত্র, উচ্চ সঞ্চরণশীল আর্টিলারি রকেট ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় সামরিক সনঞ্জাম, ট্যাংক মোকাবিলার হাতিয়ার ও কামানের গোলাবারুদ রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড দায়িত্ব নেয়ার তিন সপ্তাহ আগে এই সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করা হলো। ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণের মাত্রা ও স্তর নিয়ে ট্রাম্প ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন; আর এতে করে ইউক্রেনের নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে- আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই কয়েক দফায় ইউক্রেন সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে সম্প্রতি রাশিয়ানরা তাদের যুদ্ধ অবস্থানকে শক্তিশালী করতে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের ব্যবহার করছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। প্রায় তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া- চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।
এই চার প্রদেশের রাশিয়ার দখলে যাওয়া অংশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ। অবশ্য যুদ্ধরত এই দুই দেশের কেউই তাদের নিজস্ব ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ না করলেও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হতাহতের সংখ্যা কয়েক লাখ বলে অনুমান করছে।