মিয়ানমারের 'কারেন' রাজ্যের দখল নিল বিদ্রোহীরা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনীকে পরাজিত করে মিয়ানমারের কারেন রাজ্য দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। বর্তমানে প্রশাসনিক কাঠামো গঠন নিয়ে ভাবছেন কারেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরায় এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (KNU) এবং তাদের সহযোগী বিদ্রোহী দলগুলোর দখলকৃত এলাকাগুলোতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলমান রয়েছে।

২০২১ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর, লাখ লাখ মানুষ ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় নেমে আসেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি নিয়ে। সেনাবাহিনীর অমানবিক দমন-পীড়নে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বিক্ষোভকারীরা আশ্রয় নেন মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অধীনে। এই লাখো মানুষের ভিড়ে থাও হতি নামে এক তরুণীও মিছিলে নেমেছিলেন। তখন এই তরুণী তার পরিবারসহ বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (KNU) কাছে আশ্রয় নেন।

বিজ্ঞাপন

আল জাজিরার সাক্ষাৎকারে থাও হতি জানান, সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর তার মধ্যে ক্ষোভ জমে ওঠে এবং তিনি একজন বিদ্রোহী সেনা হিসেবে যোগ দিতে চেয়েছিলেন।

থাও হতি আরও বলেন, কেএনইউ অঞ্চলে নতুন আগত সকলকে বেঁচে থাকার জন্য কোর্স করতে হত, যার মধ্যে ছিল অস্ত্র প্রশিক্ষণ, দুর্গম ভূখণ্ডে দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করা এবং মৌলিক আত্মরক্ষার কৌশল। কিন্তু শারিরীক গঠনের কারণে প্রশিক্ষণের সময় তাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। তিনি মনে করেন, বন্দুক ছোঁড়া তাকে শক্তি যুগিয়েছিল, কারণ তিনি তার সহকর্মী বিক্ষোভকারীদের উপর সামরিক বাহিনী কর্তৃক গণহত্যা চালানোর দৃশ্য দেখেছিলেন।

মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো মুক্ত এলাকাগুলোতে প্রশাসন গঠনের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি বেশ কিছু এলাকা দখল করেছে, তবে প্রথমে এখানকার প্রশাসনিক কাঠামো গঠন এবং জনগণের জন্য সেবামূলক ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। রাজনৈতিক ক্ষমতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা বর্তমানে তাদের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ।

উল্লেখ্য, কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (KNU) মিয়ানমারের এক পুরনো জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রুহী গোষ্ঠী, যারা ১৯৪০ সাল থেকে তাদের জনগণের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন অর্জনের জন্য সংগ্রাম করছে।