আলোচনায় রাইসির হেলিকপ্টার নির্মাণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি যে হেলিকপ্টারটিতে যাত্রা করেছিলেন সেটির মডেল ছিল বেল ২১২, যা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। রাইসিকে বহনকারী এ হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর।
সোমবার (২০ মে) বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠেছে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটির কী হয়েছিল। কেনই বা হঠাৎ এমন দুর্ঘটনা। এসব আলোচনায় এসেছে হেলিকপ্টারটির নির্মাণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রও।
ইরানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে ।
সোমবার (২০ মে) আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিওগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে, ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বেল ২১২ মডেলের ছিল যা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। এই হেলিকপ্টারটি মাঝারি আকারের যেখানে ১৫টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে পাইলটের জন্য একটি আসন এবং যাত্রীদের জন্য বাকি ১৪টি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি কে ছিলেন
আজারবাইজান সীমান্তবর্তী ইরানের একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বহনকারী হেলিকপ্টারটি রোববার ফারজাকান এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এর ফলে হেলিকপ্টারে থাকা সবাই মারা যান।
সোমবার (২০ মে) সকালে তার মারা যাওয়ার খবর সারা বিশ্বের সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়।
সফরসঙ্গী হিসেবে ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালিক রহমাটি, তাবরিজের শুক্রবারের প্রার্থনার নেতা হোজ্জাতুলেসলাম আল হাশেম এবং আরো কয়েকজন।
তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইব্রাহিম রাইসিকে (৬৩) মনে করা হতো, দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন।
ইব্রাহিম রাইসি ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর মাশহাদের নোগান জেলায় একটি যাজক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রাইসির বয়স যখন ৫ বছর তখন তার বাবা সৈয়দ হাজী মারা যান। রাইসি জাভাদিয়াহ স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। এরপর ইসলামী সেমিনারি হাওজায় পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি কওম সেমিনারিতে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আয়াতুল্লাহ বোরুজেরদি স্কুলে ভর্তি হন।
তিনি মোতাহারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাইভেট আইনে ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন বলে দাবি করা হয়। তবে এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
১৯৮১ সালে ইব্রাহিম রাইসি কারাজের প্রসিকিউটর নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে তিনি হামাদানের প্রসিকিউটরও নিযুক্ত হন এবং একইসঙ্গে উভয় পদে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৫ সালে তেহরানের ডেপুটি প্রসিকিউটর নিযুক্ত হলে রাজধানীতে চলে আসেন রাইসি। ১৯৮৮ সালের প্রথম দিকে তিনি রুহুল্লাহ খোমেনির ঘনিষ্ঠতা লাভ করেন। সেইসঙ্গে লোরেস্তান, সেমনান এবং কেরমানশাহের মতো কিছু প্রদেশে আইনি সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষ বিধান (বিচার বিভাগ থেকে স্বাধীন) পান।
ইব্রাহিম রাইসিসহ সব যাত্রী মারা গেছেন
দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে। তবে প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই বলে নিশ্চিত করেছে ইরান প্রশাসন।
সোমবার (২০ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মারা গেছেন। হেলিকপ্টারটিকে থাকা সব যাত্রীকে শহীদ বলে নিশ্চিত করেছে ইরান।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টারে করে বিধ্বস্ত হওয়ার পর মারা গেছেন। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টারের বিধ্বস্ত স্থানে কারও ‘বেঁচে থাকার বা জীবিত থাকার কোনও চিহ্ন’ নেই বলে জানিয়েছিল ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। দুর্ঘটনার কবলে পড়ার বেশ লম্বা সময় পর উদ্ধারকারীরা রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজে পেয়েছিলেন।
রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন।
- খোঁজ মেলেনি রাইসির, চলছে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান
- রাইসির দুর্ঘটনার খবরে মার্কিন কংগ্রেসম্যানের ‘উচ্ছ্বাস’
- রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে
- হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট নিখোঁজ
ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর সেটি থেকে জরুরি ফোনকল এসেছিল। হেলিকপ্টারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারাই ওই ফোন করেছিলেন। ফলে এ দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলেই ধারণা করা হচ্ছিল।
রয়টার্স জানায়, হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।
তবে অবশেষে হেলিকপ্টারটিতে থাকা সবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম।
রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারে নেই কারও ‘বেঁচে থাকার চিহ্ন’!
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
সোমবার (২০ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টারের বিধ্বস্ত স্থানে কারও ‘বেঁচে থাকার বা জীবিত থাকার কোনও চিহ্ন’ নেই।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ার বেশ লম্বা সময় পর অবশেষে উদ্ধারকারীরা রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজে পান। তবে ইরানি এই প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীরা বেঁচে আছেন কি না সেটি তখনও নিশ্চিত করে বলা হয়নি।
এর আগে রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন।
- খোঁজ মেলেনি রাইসির, চলছে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান
- রাইসির দুর্ঘটনার খবরে মার্কিন কংগ্রেসম্যানের ‘উচ্ছ্বাস’
- রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে
- হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট নিখোঁজ
ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর সেটি থেকে জরুরি ফোনকল এসেছিল। হেলিকপ্টারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারাই ওই ফোন করেছিলেন। ফলে এ দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলেই ধারণা করা হচ্ছিল।
তবে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে জানিয়েছে, রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গেছে। সেখানে কারও বেঁচে থাকার কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাননি তারা।