মোদির মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং



আন্তজার্তিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মোদির মন্ত্রিসভা/ছবি: সংগৃহীত

মোদির মন্ত্রিসভা/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোদি-২ সরকারের মন্ত্রিদের নিজে বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত চন্দ্র শাহ। গতবারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং হয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী হয়েছেন স্মৃতি ইরানি।

গত মন্ত্রিসভার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নির্মলা সীতারমণকে এবার অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি অসুস্থ থাকায়  নির্মলা সীতারমণকে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।  

দেখে নিন এক নজরে মোদি নতুন  মন্ত্রিসভায় কার কী দায়িত্ব

কেবিনেট

১.  নরেন্দ্র মোদী- প্রধানমন্ত্রী, মহাকাশ, পরমাণু, কর্মীবর্গ, জন অভিযোগ, পেনশন

২.  রাজনাথ সিং -  প্রতিরক্ষা

৩. অমিত শাহ – স্বরাষ্ট্র

৪. নীতিন গডকরি  - সড়ক পরিবহন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প

৫.  ডি ভি সদানন্দ গৌড়া -   রাসায়নিক ও সার

৬. রামবিলাস পাসোয়ান- ক্রেতা সুরক্ষা খাদ্য ও গণবণ্টন দপ্তর

৭. নির্মলা সীতারমণ -  অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক

৮.  রামবিলাস পাসোয়ান - ক্রেতা সুরক্ষা খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তর

৯.  নরেন্দ্র সিং তোমার-কৃষিমন্ত্রী ও কৃষক উন্নয়ন গ্রামীণ উন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত রাজ

১০.  রবিশঙ্কর প্রসাদ,-আইনমন্ত্রী তথ্য ও যোগাযোগ,আইটি

১১.  হারসিমরাত কৌর বাদল -খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ

১২.  থাওয়ার চাঁদ গেহলত  - সামাজিক ন্যায় এবং পরিবেশ

১৩.  এস জয়শঙ্কর  - বিদেশ

১৪.  রমেশ পখরিয়াল- মানব সম্পদ.

১৫. অর্জুন মুন্ডা-  উপজাতি বিষয়ক

১৬. স্মৃতি জুবিন ইরানি- নারী ও শিশুকল্যাণ, বস্ত্র মন্ত্রণালয়

১৭. হর্ষবর্ধন  -   স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ভূবিজ্ঞান দফতর

১৮. প্রকাশ জাভড়েকর- পরিবেশমন্ত্রী আবহাওয়া পরিবর্তন এবং তথ্য ও সম্প্রচার

১৯.  পীযূষ গোয়েল - রেল এবং বাণিজ্য

২০. ধর্মেন্দ্র প্রধান - পেট্রোলিয়াম স্টিল 

২১.  মুক্তার আব্বাস নাকভি -  সংখ্যালঘু উন্নয়ন

২২. প্রহ্লাদ জোশি- সংসদ বিষয়ক, কয়লা

২৩. মহেন্দ্রনাথ পান্ডে - দক্ষতা মন্ত্রণালয়

২৪. অরবিন্দ সাওয়ান্ত - ভারী শিল্প

২৫. গিরিরাজ সিং- পশু পালন, মৎস্য

২৬.  গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত -  জলশক্তি

প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন)

১. সন্তোষ কুমার -   শ্রম এবং পরিবেশ

২. রাও ইন্দ্রজিৎ সিং - পরিসংখ্যান এবং পরিকল্পনা

৩.  শ্রীপাদ নায়েক -  যোগ এবং আয়ুষ প্রতিরক্ষা

৪. জিতেন্দ্র সিং-  উত্তর পূর্ব উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী দপ্তর মহাকাশ

৫. কিরেন রিজিজু - সংখ্যালঘু উন্নয়ন

৬.  প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল -  সংস্কৃতি ও পর্যটন

৭. রাজ কুমার সিং-  বিদ্যুৎ দক্ষতা 

৮. হরদীপ সিং পুরি -  উন্নয়ন এবং আবাসন, অসামরিক বিমান পরিবহন

৯. মানসুখ এল মান্ডবি -  জাহাজ মন্ত্র রসায়ন এবং সার

প্রতিমন্ত্রী

১. এফ কুলাস্তে  -স্টিল মন্ত্রী

২. অশ্বিনি কুমার চৌবে-  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ

৩. অর্জুন রামপাল মেঘওয়াল -  সংসদ বিষয়ক,ভারী শিল্প

৪.  ভি কে সিং-সড়ক পরিবহন 

৫. কৃষ্ণ পাল -সামাজিক ন্যায়

৬. ডি আর দারাদো -    ক্রেতা সুরক্ষা এবং গণবন্টন

৭. জি কিষান রেড্ডি -  স্বরাষ্ট্র

৮. পুরুষোত্তম রুপালা -কৃষি এবং কৃষক উন্নয়ন

৯. রামদাস আঠায়োলে-সামাজিক ন্যায়

১০. নিরঞ্জন জ্যোতি -গ্রামোন্নয়ন বিষয়ক

১১. বাবুল সুপ্রিয় -পরিবেশ বন এবং আবহাওয়া পরিবর্তন

১২. সঞ্জিব কুমার বালিয়ান -মৎস্য

১৩. ধত্রে সঞ্জয় শ্যামরাও-মানব সম্পদ উন্নয়ন

১৪.  অনুরাগ সিং ঠাকুর -অর্থ কর্পোরেট

১৫. অঙ্গদি  সুরেশ - রেল

১৬. নিত্যানন্দ রাই -স্বরাষ্ট্র

১৭. রতনলাল কাটারিয়া -জনশক্তি, সামাজিক উন্নয়ন সামাজিক ন্যায়

১৮. ভি মুরালিধরন -বিদেশ সংসদ বিষয়ক

১৯. রেনুকা  সিং সূত্র -উপজাতি বিষয়ক

২০. সোমপ্রকাশ-বাণিজ্য

২১. রামেশ্বর তেলি -খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ

২২. প্রতাপচন্দ্র সারঙ্গী-ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মৎস্য

২৩. কৈলাস চৌধুরি-কৃষি এবং কৃষক উন্নয়ন

২৪.  দেবশ্রী চৌধুরী-নারী ও শিশু কল্যাণ

   

চীনের ২৬ কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উইঘুর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ফের চীনের ২৬টি টেক্সটাইল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে ওয়্যারহাউজ ফ্যাসিলিটি থেকে আর চীনের তুলা আমদানি করবে না দেশটি।

এর আগে চীনের টেলিকম সরঞ্জাম ও বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার টেক্সটাইল খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল দেশটি।

বার্তাসংস্থা  রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে হোয়াইট হাউস এসব কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, চীনের উইঘুর সংখ্যালঘুদের দিয়ে জোর করে পণ্য তৈরি করায় চীন। ওই সব পণ্য নিজেদের সরবরাহ চেইন থেকে সরাতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদেন বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট এনটিটি লিস্টে এবার চীনের ২৬টি কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে এসব কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

এর আগেও ওয়াশিংটন বলেছে, চীনা কর্তৃপক্ষ জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জন্য শ্রম শিবির স্থাপন করেছে। তবে বেইজিং বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

এদিকে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করবে। চীনের উন্নয়নের গতি রোধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের এটি একটি কৌশলমাত্র।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট এনটিটি লিস্ট পাস করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে ওয়াশিংটন এখন পর্যন্ত ৬৫টি চীনা প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।

;

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মে মাসের শেষের দিকে পশ্চিম বাংলা ও বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়ার অধিদপ্তর ‘মৌসম ভবন’। ওমান এ ঝড়ের নাম রেখেছে ‘রেমাল’ যার অর্থ বালি।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টির ফলে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২২ মে নাগাদ আরব সাগর এবং ২৩ মে নাগাদ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। কারণ নিম্নচাপের শক্তি বৃদ্ধির জন্য যে শর্তগুলো রয়েছে, তার মধ্যে বেশ অনেক শর্তই অনুকূল রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তৈরির জন্য যেমন সাগরের পানির তলার তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হয়। কমপক্ষে ৫০ মিটার গভীরতা অবধি এই তাপমাত্রা থাকতে হয়। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে একেবারে এই ধরনের তাপমাত্রাই রয়েছে। সাগরের পানির তাপমাত্রা ৩০-৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি রয়েছে। এই গরম পানিকেই ঘূর্ণিঝড়ের ‘চালিকাশক্তি’ বলে মনে করা হয়। দফায় দফায় নিম্নচাপের শক্তিবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ মের পর থেকে তা গভীর নিম্নচাপের আকার নেবে।

ঘূর্ণিঝড়টির পরিণতি কী হবে?

মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৩ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে, যা ২৪ মের পরে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পরে সেটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে, যা এগিয়ে যেতে পারে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে।

কলকাতার আলীপুর আবহাওয়া দপ্তরের আঞ্চলিক কর্মকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, আপাতত কোনো লক্ষণ তৈরি হয়নি। ফলে এই মুহূর্তে একেবারেই হলফ করে বলা যাবে না যে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে। আগে লক্ষণ তৈরি হোক বঙ্গোপসাগরে, তারপরই বোঝা যাবে যে আদৌও সেটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে কিনা।

পশ্চিমবঙ্গে ও বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়টির কেমন প্রভাব পড়বে? 

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও উত্তরসংলগ্ন আন্দামান সাগরে যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় এবং উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে এগিয়ে যায়, তাহলে সেটির সম্ভাব্য গন্তব্য হবে মায়ানমার এবং সংলগ্ন বাংলাদেশ। তবে পশ্চিমবঙ্গের ওপর ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে, গত ১৪ মে মৌসম ভবন জানিয়েছিল বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’, যা মে মাসের শেষের দিকে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।

বিভিন্ন আবহাওয়া মডেল বিশ্লেষণ করে এই আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ জানান, ২০ থেকে ২৭ মের মধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।

এদিকে ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এটি আঘাত হানতে পারে- তা এখনই বলা যাচ্ছে না। অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও এটি আছড়ে পড়তে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।

মে মাস মানেই যেন ঘূর্ণিঝড়ের মাস। দেড় দশক আগে ২০০৯ সালের ১৫ মে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানে ‘আইলা’। এরপর ২০১৯ সালে তাণ্ডব চালায় ‘ফণী’। এ ছাড়া ২০২০ সালের ১৩ মে আছড়ে পড়ে ঘূণিঝড় ‘আম্ফান’। আর ২০২১ সালের ২৬ মে ‘ইয়াস’ আঘাত হানে।

;

ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে হিজবুল্লাহ: গ্যালান্ত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৭ মাস ধরে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত।

শনিবার (১৮ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার রাজধানী জেরুজালেমে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে যে আমাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই এবং আমরা এটা বুঝতে পারি; কিন্তু যে গত কয়েক মাসে যত সন্ত্রাসীকে আমরা হত্যা করতে পেরেছি, সেই সাফল্যও তুচ্ছ নয়।’

ওই বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘আমি বরাবরই বলে আসছি যে আমাদের সব সময় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এতদিন পর্যন্ত কেউ একে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ৭ অক্টোবরের পর সবাই বুঝতে পেরেছে যে আমরা কতখানি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। তবে আমরা কখনও পিছু হটব না। সন্ত্রাসীদের প্রতিটি হামলার জবাব আমরা দেবো।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহর এসব হামলার জবাবে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে ও লেবাননের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকবার বিমান ও গোলা হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। এসব হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২ শতাধিক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা।

;

হরিয়ানায় চলন্ত বাসে আগুন, প্রাণ গেল ৯ পুণ্যার্থীর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে পুণ্যার্থীবাহী চলন্ত বাসে আগুন লেগে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন আরও ২৪ জন। ঘটনার সময় বাসে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন।

শনিবার (১৮ মে) ইন্ডিয়া ট্যুডে'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৭ মে) রাতে হরিয়ানার নুহ জেলার মানেসার পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবোঝাই একটি বাসে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এতে ছয়জন নারো ও তিনজন পুরুষ ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হন। এছাড়া আহত হন আরও ২৪ জন। জানা যায়, যাত্রীদের অধিকাংশই ধর্মীয় তীর্থযাত্রী ছিলেন।

আগুন নেভানোর পর চিকিৎসার জন্য দগ্ধদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় হতাহতরা চণ্ডীগড় ও পঞ্জাবের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তারা সবাই মথুরা ও বৃন্দাবন থেকে ফিরছিলেন। নারী-শিশুসহ বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন।

কী কারণে চলন্ত বাসে আগুন ধরল, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। পুলিশ পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত দেড়টার দিকে চলন্ত বাসে আগুন লাগার বিষয়টি লক্ষ্য করেন তারা। বাসের পেছন থেকে লেলিহান আগুনের শিখা বের হচ্ছিল। গ্রামবাসীরাই চিৎকার করে বাস চালককে বাস থামাতে বললেও বাসের চালক তা শোনেনি ৷ এরপর এক যুবক বাইকে করে বাসটিকে ধাওয়া করে সেটিকে থামায়।

;