মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপ করলো চীন



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৪

  • Font increase
  • Font Decrease
আমদানি করা মার্কিন পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপের জবাব দিয়েছে চীন। চলতি মাসের প্রথমদিকে বিদেশ থেকে আমদানি করা স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্কের হার বাড়িয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বিবিসি জানিয়েছে, শুকরের মাংস ও ওয়াইনসহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ১২৮টি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে চীন। সোমবার থেকে কার্যকর হওয়া এই শুল্ক প্রায় তিনশত কোটি ডলারের আমদানির ওপর প্রভাব ফেলবে। বেইজিং জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র নতুন শুল্ক আরোপ করায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে কারণে ‘চীনের স্বার্থের সুরক্ষা ও ভারসাম্যের’ জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর আগে চীন জানিয়েছিল, তারা বাণিজ্য যুদ্ধ চায় না, কিন্তু তাদের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তারাও বসে থাকবে না। অপরদিকে ট্রাম্প বাণিজ্য যুদ্ধকে ‘ভাল’ অভিহিত করে এতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সহজ’ জয় হবে বলে দাবি করেছেন। ওয়াশিংটন থেকে বিবিসির প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মার্কিন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে আমদানি করা আরো হাজার হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। চীনের অন্যায্য বাণিজ্য প্রথার জন্য মার্কিন কোম্পানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সে কারণেই এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি মার্কিন কর্তৃপক্ষের। কিন্তু মার্কিন এ পদক্ষেপের প্রভাবে আরো পাল্টা পদক্ষেপ আসার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এভাবে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ বাণিজ্য যুদ্ধে পরিণত হতে পারে বলে মন্তব্য বিবিসি প্রতিনিধিদের।
   

‘একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক’ রোধে কানাডায় প্রশাসনিক চাপ 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে জনসাধারণের উদ্বেগ বাড়ছে। বিশ্বের প্রায় সব মহাসাগরে প্লাস্টিকের পরিমাণের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে দিচ্ছে। গত কয়েক বছরে একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন দেশে নেওয়া হচ্ছে আইনি বা বিকল্প ব্যবহারযোগ্য পণ্যের উৎপাদনের পদক্ষেপ।

সম্প্রতি কানাডার পার্লামেন্টে প্লাস্টিক দূষণ রোধের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কনজারভেটিভ দল থেকে আবারও দাবি তোলা হয়। এর আগে ২০২০ সালে প্রথম দাবিটি তোলা হয়েছিল। দেশটির সংবাদমাধ্যম সিবিসির প্রতিবেদনে সে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

মূলত, একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক হল ডিসপোজেবল প্লাস্টিক যা একবার ব্যবহার করে ফেলে দিতে হয়। পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিকের পানীয়ের বোতল ও বোতলের ক্যাপ, খাবারের মোড়ক, প্লাস্টিকের প্যাকেট, প্লাস্টিকের মোড়ক, স্ট্র, স্টিরার্স, স্টাইরোফোমের কাপ বা প্লেট, এয়ারবাড, প্লাস্টিকের কাপ-প্লেট-চামচ-গ্লাস-ছুরি, ট্রে, মিষ্টির বাক্স বাঁধার রিবন, থার্মোকল, স্টিয়ারার, সিগারেটের প্যাকেট, আইসক্রিম ও ক্যান্ডি স্টিক ইত্যাদি হল একক-ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক।

সিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়,  টরন্টো ইউনিভার্সিটি অব আর্থ সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক মরিয়ম ডায়মন্ড বলেন, ‘আমরা অনেক বেশি  প্লাস্টিক উৎপাদন করেছি যা শেষ পর্যন্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং ন্যানোপ্লাস্টিকে পরিণত হয়ে পরিবেশকে দূষিত করছে এবং এতে মানুষ অসুস্থ হচ্ছে।’

ডায়মন্ড বলেছেন, বৃহত্তর পরিবেশ ঝুঁকির আশঙ্কাকে প্রাধান্য না দিয়ে প্লাস্টিকের এমন অধিক ব্যবহার দেখে  তিনি উদ্বিগ্ন। 

ডায়মন্ড সায়েন্টিস্ট কোয়ালিশন ফর অ্যান ইফেক্টিভ প্লাস্টিক ট্রিটির সদস্য এবং রাসায়নিক দূষণের আন্তর্জাতিক প্যানেলেরও ভাইস-চেয়ার। তার পরামর্শ হল- তরল জাতীয় খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রেও প্লাস্টিক স্ট্র পরিহার করতে হবে। যাদের  শারীরিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে তারা ছাড়া বাকিদের স্ট্র ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেন তিনি।  প্লাস্টিকের বোতলে পানি পান করার কোনো দরকার নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কনজারভেটিভ দলের এমপি কোরি টোচর গত মাসে হাউস অফ কমন্সে সি-৩৮০ বিল নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, কানাডিয়ান এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন অ্যাক্টের অধীনে বিষাক্ত পদার্থ হিসেবে উৎপাদিত প্লাস্টিক আইটেমগুলোকে তালিকাভুক্ত করে সেসব নিধনের পদক্ষেপ নেওয়াটা জরুরি। 

অবশ্য এমন একটি তালিকা এরই মধ্যে করা হয়েছে যার অন্যতম উপাদান এই একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক। এই তালিকাটি ছিল ফেডারেল সরকারের একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার জন্য একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ, যা বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের প্রতিক্রিয়া হিসেবে নেওয়া পদক্ষেপ।

হাউসে টোচরের বিল নিয়ে বিতর্ক হওয়ার পাঁচ দিন পরে, কনজারভেটিভ এমপি ব্র্যান্ডেন লেসলি একটি আট মিনিটের ভিডিও পোস্টে বলেন, পুনঃব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ব্যবহার বাড়াতে হবে। কেনাকাটা, খাওয়া, সমুদ্রে ভ্রমণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্লাস্টিক এড়িয়ে এর বিকল্প ব্যবহারে ঝুঁকতে হবে।

ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসোর্স এবং পরিবেশগত গবেষণার স্কুলের অধ্যাপক টনি ওয়াকার বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।’ 

উল্লেখ্য, কানাডার পরিসংখ্যান অনুযায়ী,, ২০১৬ সালে কানাডার ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ ছিল ২৯ হাজার টন। ২০১৯ সালে সেই প্লাস্টিক দূষণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৩ হাজার ১৪০ টনে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলার অংশ হিসেবেই ২০২০ সালে দেশটিতে সি-৩৮০ বিল উত্থাপন করা হয়। সেই ফেডারেল মূল্যায়নে বলা হয়, যেহেতু প্লাস্টিক খুব ধীরে ধীরে হ্রাস পায় এবং পরিবেশে স্থায়ী অবস্থান নেয়, তাই প্লাস্টিক দূষণের পরিমাণ সময়ের সাথে সাথে বাড়তেই থাকবে। প্লাস্টিক দূষণের ফলে পরিবেশ এবং মানুষের স্বাস্থ্যের উপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে। এর সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে।’

ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড (ডব্লিউডব্লিউএফ) অনুসারে, একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক ধীরে ধীরে এবং ধীরে ধীরে প্লাস্টিকের ছোট ছোট টুকরোতে ভেঙে যায় যা মাইক্রোপ্লাস্টিক নামে পরিচিত। এসব প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কারণ এটি অ-বায়োডিগ্রেডেবল এবং পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হতে কয়েক বছর সময় নেয়। প্লাস্টিকের ব্যাগগু পঁচতে হাজার হাজার বছর সময় লাগতে পারে, এতে মাটি এবং জল দূষিত হয়। প্লাস্টিক তৈরি করতে ব্যবহৃত বিষাক্ত রাসায়নিকগুলো প্রাণীর টিস্যুতে স্থানান্তরিত হয় এবং অবশেষে, মানব খাদ্যশৃঙ্খলে প্রবেশ করে।

কোনো প্লাস্টিকই বায়োডিগ্রেডেবল নয়। তবে কোনো প্লাস্টিক ১০০ মাইক্রনের থেকে পাতলা হলে, তার চরিত্র বেশি ভঙ্গুর হয়। অর্থাৎ, অল্পসময়ের মধ্যেই ছোটো ছোটো টুকরোতে ভেঙে যায় এই ধরনের প্লাস্টিক। যা আমাদের কাছে পরিচিত মাইক্রোপ্লাস্টিক নামে। সাধারণ প্লাস্টিক পণ্যের থেকেও আণুবীক্ষণিক এই প্লাস্টিক কণা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। এই সংক্রান্ত একাধিক তথ্যও সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট থেকে শুরু করে গভীরতম স্থান মারিয়ানা ট্রেঞ্চ-সর্বত্রই হদিশ মিলেছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের। বাস্ততন্ত্রের ক্ষতিসাধন তো বটেই, খাদ্য এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে মানুষের দেহেও অবাধে প্রবেশ করছে মাইক্রোপ্লাস্টিক।

;

আরাকান আর্মির দখলে মিয়ানমারের বুথিডং শহর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে লড়াইরত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) দাবি করেছে, জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুথিডং শহর  দখল করে নিয়েছে।

রোববার (১৯ মে) যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্সের কাছে আরাকান আর্মি (এএ) এ দাবি করে বলেছে, কয়েক সপ্তাহ লড়াইয়ের পর শনিবার রাতে তারা শহরটির দখল নিতে সক্ষম হয়।

এদিকে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আরাকান আর্মি শহর থেকে তাদের বিতাড়িত করছে। তবে এএ অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করেছে।

শহর দখল বিষয়ে আরাকান আর্মির এক মুখপাত্র খিন থু খা রয়টার্সকে জানান, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর বুথিডং শহর কয়েক সপ্তাহের লড়াইয়ের পর জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে দখল নিতে সক্ষম হয়েছে।

এক টেলিফোন বার্তায় তিনি রয়টার্সের প্রতিনিধিকে জানান, শনিবার রাতে সামরিক জান্তার কাছ থেকে বুথিডং শহরের সেনা ঘাটি আরাকান আর্মি পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে এবং সেইসঙ্গে পুরো শহরটি তারা নিয়ন্ত্রণ করছে।

অপরদিকে, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, আরাকান আর্মি তাদেরকে জোর করে বুথিডং ও এর আশপাশের এলাকা থেকে বিতাড়িত করছে।

এ বিষয়ে ‘ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশন অ্যাডভোকেসি' গ্রুপের সহপ্রতিষ্ঠাতা নে সান লুউন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, শহরতলির কয়েকটি এলাকায় আরাকান আর্মির সদস্যরা রোহিঙ্গাদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করে এবং এসময় কারো কারো বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

আরাকান আর্মির বুথিডং শহরের দখলের বিষয়ে জান্তা বাহিনীর কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেনি রয়টার্স।

;

পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮ জন।

রোববার (১৯ মে) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের নওশেরায় শনিবার ব্রেক ফেল করে একটি মিনি-ট্রাক গভীর খাদে পড়ে গেলে পুরুষ, নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ১৪ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও আটজন আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য এবং তারা বান্নু থেকে খুশাবের ওয়াদি সুনের দিকে যাচ্ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়িটির গতি ছিল অনেক। যখন ওই গতিতে গাড়িটি বাঁক নেয়, তখনই রাস্তা থেকে ছিটকে খাদে পড়ে যায়। এতে পাঁচ নিষ্পাপ শিশুসহ ১৪ জনের হৃদয়বিদারক প্রাণহানি ঘটে।

মর্মান্তিক ঘটনার পর উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুঁটে যায়। পরে মৃতদের ও আহতদের টিএইচকিউ হাসপাতাল ও জোহরাবাদের ডিএইচকিউ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ বলছে, গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাওয়ার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।  

খুশাবের রেসকিউ ১১২২ ইমার্জেন্সি অফিসার ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ জানান, একই পরিবারের অন্তত ২৬ জন সদস্য বানু থেকে নওশেরা (খুশাব) যাওয়ার সময় ট্রাকটি ২০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে আবদুল্লাহ, আসগর, ইব্রাহিম, মুহাম্মাদুল্লাহ, রিফাতুল্লাহ, কিফায়াতুল্লাহ, সুমেরা, আব্দুল রেহমান, আব্দুল এহসান, শাফকাতুল্লা, তাবরাইজ খান, শামস জাই, তাবরেজ, কুবলা খান এবং কাকিম খানসহ ওই পরিবারের ১৪ জন সদস্য নিহত হয়।

এছাড়া আব্দুল রশিদ, রাবিয়াসহ আরও ছয়জন আহত হয়। তাদের মধ্যে তিন জন শিশু।

রেসকিউ ১১২২ সূত্র জানায়, দুই পুরুষ ও দুই নারীসহ চারজন সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন এবং তাদের ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা করা হয়েছে।

;

ব্রিটিশ রাজার চেয়েও ধনী ঋষি-অক্ষতা দম্পতি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও তার স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির ব্যক্তিগত সম্পদ দেশটির রাজা চার্লসের চেয়েও বেশি। গত বছর এই দম্পতির সম্পদ ১২২ মিলিয়ন পাউন্ড বেড়ে ৬৫১ মিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছেছে। এর আগের বছর তাঁদের সম্পদ ছিল ৫২৯ মিলিয়ন পাউন্ড।

সানডে টাইমস প্রকাশিত শীর্ষ ধনীদের তালিকার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ঋষি সুনাকের স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি ভারতীয়। তার বাবা নারায়ণ মূর্তি ভারতের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা। গত বছর নারায়ণ মূর্তি তাঁর নাতিকে ইনফোসিসের তিন কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার উপহার দিয়েছেন। ওই শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই ঋষি–অক্ষতা দম্পতির সম্পদ বেড়েছে বলে গণমাধ্যমডগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এদিকে ব্রিটিশ রাজা চার্লসের সম্পদ ৬১০ মিলিয়ন পাউন্ড। গত বছর এটি ঋষি সুনাক দম্পতির চেয়ে বেশি ছিল। এ বছর ঋষিদের সম্পদ ৬৫১ মিলিয়ন পাউন্ড হওয়ার শীর্ষ ধনীর তালিকায় পিছিয়ে পড়লেন রাজা চার্লস।

তবে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের হাতে কত সম্পদ রয়েছে, তা প্রকাশ্য নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। ফলে রাজা চার্লসের প্রকৃত সম্পদ অনুমান করাও কঠিন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হিসাবমতে, রাজপরিবারের অধীনে থাকা একাধিক প্রাসাদ ও জায়গার দাম মিলিয়ে ১২ বিলিয়ন পাউন্ডের বেশি।

প্রতি বছর যুক্তরাজ্যের শীর্ষ ধনীর তালিকা প্রকাশ করে থাকে সানডে টাইমস। এবারের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে গোপী হিন্দুজা অ্যান্ড ফ্যামিলি (৩৭ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ড)। এরপর ধারাবাহিকভাবে স্যার লিওনার্দ ব্লাভাতনিক (২৯ দশমিক ২৫ বিলিয়ন পাউন্ড), ডেভিড অ্যান্ড সাইমন রুবেন অ্যান্ড ফ্যামিলি (২৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন পাউন্ড), স্যার জিম র‌্যাটক্লিফ (২৩ দশমিক ৫২ বিলিয়ন পাউন্ড), স্যার জেমস ডাইসন অ্যান্ড ফ্যামিলি (২০ দশমিক ৮ বিলিয়ন পাউন্ড), বারনাবি অ্যান্ড মার্লিন সুয়্যার অ্যান্ড ফ্যামিলি (১৭ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ড), ইডান অফার (১৪ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন পাউন্ড), লক্ষী মিত্তাল অ্যান্ড ফ্যামিলি (১৪ দশমিক ৯২ বিলিয়ন পাউন্ড), গাই জর্জ অ্যাল্যান্নাহ অ্যান্ড গ্যালেন ওয়েস্টন অ্যান্ড ফ্যামিলি (১৪ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন পাউন্ড) ও জন ফ্রেডরিকসেন অ্যান্ড ফ্যামিলি (১২ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন পাউন্ড)।

রাজনীতিতে প্রবেশেরও আগে থেকে যুক্তরাজ্যের ধনী হিসেবে পরিচিত ঋষি সুনাক। তিনি হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন। গত বছর তার দেওয়া আয়কর তথ্য থেকে জানা যায়, ঋষির মোট সম্পদের পরিমাণ ২ দশমিক ২ মিলিয়ন পাউন্ড।

ঋষি সুনাক যুক্তরাজ্যের শীর্ষ ধনীর তালিকায় এসেছেন মূলত তার স্ত্রীর ইনফোসিসের শেয়ারের কারণে। বর্তমানে তাদের শেয়ারের দাম ৫৯০ মিলিয়ন পাউন্ড।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রি ঋষি সুনাকের সম্পদের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কোনও জানায়নি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিট।

;