দক্ষিণ কোরিয়ার দশ অজানা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
স্নেইল ফেস ম্যাসাজ, ছবি: সংগৃহীত

স্নেইল ফেস ম্যাসাজ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব এশিয়াতে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়া ‘রিপাবলিক অফ কোরিয়া’ নামেই পরিচিত। ৫১ মিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে দেশটি বিশ্বের ২৭তম বৃহত্তম দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি নাক ইয়ন আজ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছেন। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করাই তার এবারের সফরের লক্ষ্য।

তবে এই লেখার আয়োজনটা একটু ভিন্ন। দেশটির কে-পপ ও কোরিয়ান সিরিয়াল আমাদের দেশেও সমানভাবে জনপ্রিয় হলেও, দেশটি সম্পর্কে অনেক তথ্যই আছে অজানা। তেমন দশটি অজানা তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে এই ফিচারটি।

১. প্রথমেই নাম দিয়ে শুরু করা যাক। দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে প্রচলিত তিনটি নাম বা নামের প্রথমাংশ হলো- কিম (Kim), লি (Lee) ও পার্ক (Park)। দেখা গেছে, দেশটির অন্ততপক্ষে ২০ শতাংশ মানুষের নাম কিম। এছাড়াও তাদের নাম লক্ষ করলে এই তিনটি নামের মাঝে কোন না কোন একটি অবশ্যই চোখে পড়বে। উদাহরণের জন্য খুব বেশি দূর যাওয়ার প্রয়োজন নেই। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর নামটি খেয়াল করুন- লি নাক ইয়ন (Lee Nak-yeon).

২. দক্ষিণ কোরিয়ার পুরো জনসংখ্যার মাত্র ৩ শতাংশ ওবিস বা বাড়তি ওজনের অধিকারী। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মানুষই ওবিস।

৩. মেকআপ মানেই সম্পূর্ণভাবে নারীদের অনুষঙ্গ। কিন্তু এই ধারণাটি দক্ষিণ কোরিয়াতে পাওয়া যাবে না। এই দেশটির অন্ততপক্ষে ২০ ভাগ পুরুষ নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের মেকআপ পণ্য ব্যবহার করেন। হিসেব করে দেখা গেছে, যে পুরুষ প্রতিদিন মেকআপ পণ্য ব্যবহার করেন, তার পুরো বছরে মেকআপের পেছনে খরচ হয় প্রায় ৯০০ মার্কিন ডলার!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563020757006.jpg

৪. জেনে বিস্মিত হবেন, দক্ষিণ কোরিয়ার এক-তৃতীয়াংশ নারীই অন্ততপক্ষে একবারের জন্য হলেও সৌন্দর্য বৃদ্ধি উপলক্ষ্যে ছুরি-কাঁচির নিচে নিজের চেহারা সমর্পন করেছে তথা প্লাস্টিক সার্জারি করেছে! আরও মজার বিষয় হলো, এটা মোটেও অপ্রচলিত কোন বিষয় নয়, বরং খুবই সাধারণ একটি প্রথা। এমনকি প্লাস্টিক সার্জারিকে খুব ভালোভাবেই এই দেশে গ্রহণ করা হয় ও এটা করার জন্য সবাইকে অনুপ্রাণিত করা হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563020777432.jpg

৫. মেকআপের কথা তো উপরে বলা হলো, এবারে জানুন দক্ষিণ কোরিয়ার কে-বিউটি সম্পর্কে। দেশটির নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার ত্বক অবিশ্বাস্য রকম সুন্দর। এর পেছনের কারণ হলো এই কে-বিউটি। তারা একেবারেই তাদের নিজস্ব বিউটি ব্র্যান্ডের পণ্য ও টেকনিক ব্যবহার করে ত্বকের পরিচর্যায়। যার মাঝে একটি হল- স্নেইল (শামুক) ফেস ম্যাসাজ। যা ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়ার পর বেশ শোরগোল পড়ে যায়। এবারে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন তাদের সৌন্দর্যের রহস্য।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563020792948.jpg

৬. দেশটিতে মদ ও মদ্যপান সম্পূর্ণ বৈধ। পাবলিক প্লেসে, সবার সামনে প্রকাশ্যে মদ্যপান করা যাবে, ক্যানড মদ কিনে বাড়ি ফেরা যাবে- এতে কোন বাধা নেই। দক্ষিণ কোরিয়ায় মদ্যপানের বহু পুরনো ও প্রাচীন অভ্যাস। সজু (Soju) হলো দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় মদ্যজাতীয় পানীয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563020806966.jpg

৭. কোরিয়ানদের মাঝে শুকর, গরু ও মুরগির মাংস খাওয়ার প্রচলনের পাশপাশি কুকুরের মাংস খাওয়ার প্রচলনও আছে। যদিও কোরিয়ার সকল প্রদেশে কুকুরের মাংস খাওয়া হয় না, কিন্তু এটা খাওয়া নিষিদ্ধও না।

৮. বিশাল পরিধির (৩৮,৬৯০ স্কয়ার মাইলস) এই দেশটিতে রয়েছে হাজারো বছরের ইতিহাস ও সংস্কৃতি। যার ফলে সময়ের হাত হাত ধরে গড়ে উঠেছে দেশটির বিভিন্ন দর্শনিয় স্থান। এখানে দারুণ একটা বিষয় হলো, দক্ষিণ কোরিয়ায় আছে ১২টি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। যার মধ্যে আছে চ্যাংডিওকগাং প্যালেস কমপ্লেক্স, জেভ্যু ভলকানিক আইল্যান্ড, লাভা টিউবস, দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী গ্রাম হাহোয়ে ও ইয়াংডং।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563020823668.jpg

৯. দক্ষিণ কোরিয়াতে টানা ১৪ দিন ধরে বরিইয়ংয়ে পালন করা হয় বাৎসরিক মাড ফেস্টিভ্যাল। সাধারণত জুলাইয়ের প্রথম সাপ্তাহিক ছুটি থেকে দ্বিতীয় সাপ্তাহিক ছুটি পর্যন্ত চলে এই উৎসব।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563020838311.jpg

১০. কোরিয়ানদের নাম দিয়ে শুরু করা হয়েছিল, শেষও হোক নাম দিয়েই। নবজাতকদের নাম নির্ধারণের জন্য ৬০ শতাংশ দক্ষিণ কোরিয়ান পরিবার প্রফেশনালদের দ্বারস্থ হন। অর্থাৎ শিশুর নাম রাখার জন্য অর্থের বিনিময়ে প্রফেশনাল মানুষদের সাহায্য নিয়ে তবেই নাম ঠিক করেন।

 

 

   

চীনের ২৬ কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উইঘুর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ফের চীনের ২৬টি টেক্সটাইল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে ওয়্যারহাউজ ফ্যাসিলিটি থেকে আর চীনের তুলা আমদানি করবে না দেশটি।

এর আগে চীনের টেলিকম সরঞ্জাম ও বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার টেক্সটাইল খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল দেশটি।

বার্তাসংস্থা  রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে হোয়াইট হাউস এসব কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, চীনের উইঘুর সংখ্যালঘুদের দিয়ে জোর করে পণ্য তৈরি করায় চীন। ওই সব পণ্য নিজেদের সরবরাহ চেইন থেকে সরাতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদেন বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট এনটিটি লিস্টে এবার চীনের ২৬টি কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে এসব কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

এর আগেও ওয়াশিংটন বলেছে, চীনা কর্তৃপক্ষ জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জন্য শ্রম শিবির স্থাপন করেছে। তবে বেইজিং বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

এদিকে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করবে। চীনের উন্নয়নের গতি রোধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের এটি একটি কৌশলমাত্র।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট এনটিটি লিস্ট পাস করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে ওয়াশিংটন এখন পর্যন্ত ৬৫টি চীনা প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।

;

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মে মাসের শেষের দিকে পশ্চিম বাংলা ও বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়ার অধিদপ্তর ‘মৌসম ভবন’। ওমান এ ঝড়ের নাম রেখেছে ‘রেমাল’ যার অর্থ বালি।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টির ফলে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২২ মে নাগাদ আরব সাগর এবং ২৩ মে নাগাদ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। কারণ নিম্নচাপের শক্তি বৃদ্ধির জন্য যে শর্তগুলো রয়েছে, তার মধ্যে বেশ অনেক শর্তই অনুকূল রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তৈরির জন্য যেমন সাগরের পানির তলার তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হয়। কমপক্ষে ৫০ মিটার গভীরতা অবধি এই তাপমাত্রা থাকতে হয়। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে একেবারে এই ধরনের তাপমাত্রাই রয়েছে। সাগরের পানির তাপমাত্রা ৩০-৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি রয়েছে। এই গরম পানিকেই ঘূর্ণিঝড়ের ‘চালিকাশক্তি’ বলে মনে করা হয়। দফায় দফায় নিম্নচাপের শক্তিবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ মের পর থেকে তা গভীর নিম্নচাপের আকার নেবে।

ঘূর্ণিঝড়টির পরিণতি কী হবে?

মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৩ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে, যা ২৪ মের পরে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পরে সেটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে, যা এগিয়ে যেতে পারে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে।

কলকাতার আলীপুর আবহাওয়া দপ্তরের আঞ্চলিক কর্মকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, আপাতত কোনো লক্ষণ তৈরি হয়নি। ফলে এই মুহূর্তে একেবারেই হলফ করে বলা যাবে না যে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে। আগে লক্ষণ তৈরি হোক বঙ্গোপসাগরে, তারপরই বোঝা যাবে যে আদৌও সেটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে কিনা।

পশ্চিমবঙ্গে ও বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়টির কেমন প্রভাব পড়বে? 

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও উত্তরসংলগ্ন আন্দামান সাগরে যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় এবং উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে এগিয়ে যায়, তাহলে সেটির সম্ভাব্য গন্তব্য হবে মায়ানমার এবং সংলগ্ন বাংলাদেশ। তবে পশ্চিমবঙ্গের ওপর ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে, গত ১৪ মে মৌসম ভবন জানিয়েছিল বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’, যা মে মাসের শেষের দিকে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।

বিভিন্ন আবহাওয়া মডেল বিশ্লেষণ করে এই আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ জানান, ২০ থেকে ২৭ মের মধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।

এদিকে ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এটি আঘাত হানতে পারে- তা এখনই বলা যাচ্ছে না। অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও এটি আছড়ে পড়তে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।

মে মাস মানেই যেন ঘূর্ণিঝড়ের মাস। দেড় দশক আগে ২০০৯ সালের ১৫ মে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানে ‘আইলা’। এরপর ২০১৯ সালে তাণ্ডব চালায় ‘ফণী’। এ ছাড়া ২০২০ সালের ১৩ মে আছড়ে পড়ে ঘূণিঝড় ‘আম্ফান’। আর ২০২১ সালের ২৬ মে ‘ইয়াস’ আঘাত হানে।

;

ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে হিজবুল্লাহ: গ্যালান্ত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৭ মাস ধরে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত।

শনিবার (১৮ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার রাজধানী জেরুজালেমে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে যে আমাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই এবং আমরা এটা বুঝতে পারি; কিন্তু যে গত কয়েক মাসে যত সন্ত্রাসীকে আমরা হত্যা করতে পেরেছি, সেই সাফল্যও তুচ্ছ নয়।’

ওই বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘আমি বরাবরই বলে আসছি যে আমাদের সব সময় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এতদিন পর্যন্ত কেউ একে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ৭ অক্টোবরের পর সবাই বুঝতে পেরেছে যে আমরা কতখানি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। তবে আমরা কখনও পিছু হটব না। সন্ত্রাসীদের প্রতিটি হামলার জবাব আমরা দেবো।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহর এসব হামলার জবাবে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে ও লেবাননের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকবার বিমান ও গোলা হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। এসব হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২ শতাধিক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা।

;

হরিয়ানায় চলন্ত বাসে আগুন, প্রাণ গেল ৯ পুণ্যার্থীর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে পুণ্যার্থীবাহী চলন্ত বাসে আগুন লেগে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন আরও ২৪ জন। ঘটনার সময় বাসে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন।

শনিবার (১৮ মে) ইন্ডিয়া ট্যুডে'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৭ মে) রাতে হরিয়ানার নুহ জেলার মানেসার পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবোঝাই একটি বাসে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এতে ছয়জন নারো ও তিনজন পুরুষ ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হন। এছাড়া আহত হন আরও ২৪ জন। জানা যায়, যাত্রীদের অধিকাংশই ধর্মীয় তীর্থযাত্রী ছিলেন।

আগুন নেভানোর পর চিকিৎসার জন্য দগ্ধদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় হতাহতরা চণ্ডীগড় ও পঞ্জাবের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তারা সবাই মথুরা ও বৃন্দাবন থেকে ফিরছিলেন। নারী-শিশুসহ বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন।

কী কারণে চলন্ত বাসে আগুন ধরল, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। পুলিশ পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত দেড়টার দিকে চলন্ত বাসে আগুন লাগার বিষয়টি লক্ষ্য করেন তারা। বাসের পেছন থেকে লেলিহান আগুনের শিখা বের হচ্ছিল। গ্রামবাসীরাই চিৎকার করে বাস চালককে বাস থামাতে বললেও বাসের চালক তা শোনেনি ৷ এরপর এক যুবক বাইকে করে বাসটিকে ধাওয়া করে সেটিকে থামায়।

;