অর্থনৈতিক মন্দা থেকে চোখ ঘোরাতেই কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কলকাতা
কলকাতা প্রেসক্লাবের সামনে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ ধারা বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

কলকাতা প্রেসক্লাবের সামনে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ ধারা বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠিক যেমন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান সরকার যে আচরণ করেছিল সেই আচরণ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরের সঙ্গে করল। এই মত পোষণ করে কলকাতা প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ দেখান ভাষা ও চেতনা সমিতির সম্পাদক অধ্যাপক ইমানুল হক।

৩৭০ ও ৩৫ ধারা আইনের পক্ষে এ বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক কলকাতার মেয়র তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, হকার আন্দোলনের নেতা শক্তিমান ঘোষ, স্বাস্থ্য আন্দোলনের নেতা বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, স্বরাজ অভিযানের নেতা কল্যাণ চক্রবর্তী।

উদ্যোক্তা ইমানুল হক বলেন, সোমবার (৫ আগস্ট) কাশ্মীর রাজ্যের অধিকার হরণ করা হলো, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করা হলো। যেটা কাশ্মীরের জনগণের ইচ্ছার সঙ্গে কোনভাবেই সংগতিপূর্ণ নয়। ১৯৩৫ সালে রাজা হরি সিং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কথা মেনে নিয়ে কাশ্মীরের জনগণ ছাড়া তাদরে জমি আর কেউ কিনতে পারবে না- এরকম একটি আইন বানিয়ে ছিলেন। সেই সময় ওই আইন ভারত সরকারও মেনে নিয়েছিল। সেই আইন আজ বাতিল করা হলো।

শুধু কাশ্মীরে নয় নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, হিমাচল প্রদেশ ও ত্রিপুরায় আছে একইরকম আইন। ঝাড়খন্ডে আছে, সিকিমেও আছে। এই আইন এমনকি পশ্চিমবঙ্গের সাঁওতাল আদিবাসীদের জন্যও আছে। কিন্তু কোথাও এ নিয়ে কোনো কথা বলা হলো না, শুধু করা হলো কাশ্মীরে। এটা সাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য।

৩৭০ ধারার অনুরূপ ৩৭১ ও ৩৭২, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম সিকিমসহ ১১টা রাজ্যে আছে। সেই রাজ্যেও বাইরের লোক জমি কিনতে পারে না।

নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশে পারমিট নিয়ে সেখানে ঢুকতে হয়। কাশ্মীরে হয় না। কাশ্মীরের আইন-শৃঙ্খলা যথেষ্ট ভালো ছিল সেটাকে এরা অশান্ত করল। কাশ্মীরের সাংবাদিকদের হত্যা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দি করা হয়েছে। কার্যত ওখানে এখন জরুরি অবস্থা চলছে। এখন শুনছি ওখানে গণহত্যার পরিকল্পনা চলছে।

সেখানে লোকাল থানার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি আরও ৪৩ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দেশের পক্ষে মোটেও ভালো হলো না। কাশ্মীরে প্রচুর ভারতপ্রেমী জনগণ ছিলেন তাদেরও ক্ষেপিয়ে তোলা হলো। যারা চাইতেন ভারতবর্ষের সঙ্গে থাকবে তাদেরও বিপদে ফেলা হলো।

ফলে এটা জঙ্গিবাদকে মদদ দেবে। চীনসহ অন্যান্য বিদেশি শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো এর সুযোগ নেওয়া শুরু করবে। সুতরাং আমাদের দাবি কাশ্মীরে ৩৭০ ও ৩৫ নং ধারা ফিরিয়ে দেওয়া।

ভারতবর্ষের যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, উন্নয়ন নেই, কর্মসংস্থান নেই, আসামে এনআরসির নামে বাঙালি খেদাও, এইসব থেকে চোখ ঘোরাতে আজ এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো জানান ইমামুল হক।

   

ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে হিজবুল্লাহ: গ্যালান্ত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৭ মাস ধরে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত।

শনিবার (১৮ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার রাজধানী জেরুজালেমে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে যে আমাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই এবং আমরা এটা বুঝতে পারি; কিন্তু যে গত কয়েক মাসে যত সন্ত্রাসীকে আমরা হত্যা করতে পেরেছি, সেই সাফল্যও তুচ্ছ নয়।’

ওই বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘আমি বরাবরই বলে আসছি যে আমাদের সব সময় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এতদিন পর্যন্ত কেউ একে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ৭ অক্টোবরের পর সবাই বুঝতে পেরেছে যে আমরা কতখানি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। তবে আমরা কখনও পিছু হটব না। সন্ত্রাসীদের প্রতিটি হামলার জবাব আমরা দেবো।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহর এসব হামলার জবাবে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে ও লেবাননের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকবার বিমান ও গোলা হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। এসব হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২ শতাধিক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা।

;

হরিয়ানায় চলন্ত বাসে আগুন, প্রাণ গেল ৯ পুণ্যার্থীর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে পুণ্যার্থীবাহী চলন্ত বাসে আগুন লেগে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন আরও ২৪ জন। ঘটনার সময় বাসে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন।

শনিবার (১৮ মে) ইন্ডিয়া ট্যুডে'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৭ মে) রাতে হরিয়ানার নুহ জেলার মানেসার পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবোঝাই একটি বাসে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এতে ছয়জন নারো ও তিনজন পুরুষ ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হন। এছাড়া আহত হন আরও ২৪ জন। জানা যায়, যাত্রীদের অধিকাংশই ধর্মীয় তীর্থযাত্রী ছিলেন।

আগুন নেভানোর পর চিকিৎসার জন্য দগ্ধদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় হতাহতরা চণ্ডীগড় ও পঞ্জাবের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তারা সবাই মথুরা ও বৃন্দাবন থেকে ফিরছিলেন। নারী-শিশুসহ বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন।

কী কারণে চলন্ত বাসে আগুন ধরল, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। পুলিশ পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত দেড়টার দিকে চলন্ত বাসে আগুন লাগার বিষয়টি লক্ষ্য করেন তারা। বাসের পেছন থেকে লেলিহান আগুনের শিখা বের হচ্ছিল। গ্রামবাসীরাই চিৎকার করে বাস চালককে বাস থামাতে বললেও বাসের চালক তা শোনেনি ৷ এরপর এক যুবক বাইকে করে বাসটিকে ধাওয়া করে সেটিকে থামায়।

;

রাফায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে ১৩ দেশের চিঠি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার রাফায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যৌথ চিঠি পাঠিয়েছে ১৩ টি মিত্র দেশ। দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পাঁচ পাতার একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করে তা ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজের হাতে তুলে দিয়েছেন। একই সঙ্গে সে চিঠি জনসম্মুখেও প্রকাশ করেছেন।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা রাফায় পূর্ণ মাত্রার সামরিক অভিযানের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করছি, যা বেসামরিক জনগণের ওপর বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্যদেশ ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও সুইডেন।

উক্ত চিঠিতে গাজা উপত্যকায় বিধ্বংসী ও ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিরসনে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভাকে কাজ করার কথাও তারা উল্লেখ করেছেন। একইসাথে
মিত্র দেশের মন্ত্রীরা ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জরুরী মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে রাফাহ ক্রসিংসহ সমস্ত সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এছাড়াও চিঠিতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে গাজায় আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর পাশাপাশি ইউএন এজেন্সি ফর ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের (UNRWA) অ্যাক্সেসের অনুমতি দিতে, সাহায্য কর্মী এবং আন্তর্জাতিক কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং স্থানীয় ট্রাক চালকদের জন্য পর্যাপ্ত পারমিট প্রদান করতে বলা হয়েছে।

;

হামাসের সুড়ঙ্গ থেকে ৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামাসের একটি সুড়ঙ্গে অভিযান চালিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

শনিবার (১৮ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতরা হলেন শানি লোক, অমিত বুসকিলা এবং ইজহাক গেলেরেন্তার। এই তিনজনকে গত ৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফ্যাস্টিভালে হত্যা করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পরে তাদের মরদেহ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ইসরায়েলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের দক্ষিণ ইসরায়েলে নোভা উৎসবে হত্যা করা হয়েছিল। ৭ অক্টোবর ওই উৎসবে যোগ দেয়া ৩৬০ জনের বেশি মানুষ হামাসের হামলায় নিহত হন।

ইসরায়েলে হামাসের ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন। এ ছাড়া দেশটি থেকে ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস সদস্যরা। তাদের মধ্যে ১০৫ জনকে গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারের পর প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, 'প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিনজন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের খবরে আমি মর্মাহত। আমার স্ত্রী সারা এবং আমি তাদের পবিরারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা আমাদের সব জিম্মিকে ফেরাব-জীবিত অথবা মৃত। আমি আমাদের সাহসী সেনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যারা আমাদের ছেলে ও মেয়েদের বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছে।'

এদিকে হামাসের হাতে এখনো প্রায় ১২৫ জন জিম্মি রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে কতজন জীবিত আছেন, তা নিশ্চিত নয়। এই জিম্মিদের দেশে ফেরাতে ইসরায়েলে নিয়মিত বিক্ষোভ করছেন দেশটির নাগরিকেরা।

;