১৯ বছরে ৯/১১



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন মুলুকের টুইন টাওয়ারে হামলা, ছবি: সংগৃহীত

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন মুলুকের টুইন টাওয়ারে হামলা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শত-সহস্র বছরের পৃথিবীতে খুব কম ঘটনা আছে, যা ইতিহাস মনে রেখেছে। শত বছরে একটি বা দুইটি ঘটনা এমন ঘটে। মানুষ ও ইতিহাস ভুলতে পারে না ঘটনাটি।

১৯ বছর আগে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল। আজকের দিনেই শুধু নয়, অনাগত কালেও মানুষ মনে রাখবে ঘটনাটি। ইতিহাসের যাত্রা পথে ঘটনাটি পাল্টে দিয়েছিল পৃথিবীর গতি।

১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সাল। সংক্ষেপে ৯/১১। আধুনিক বিশ্বের প্রতিভূ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থরথর করে কেঁপে উঠেছিল। বিমূঢ় ও বিস্মিত হয়েছিল সারা বিশ্ব। মানব সভ্যতার ইতিহাসে এই রক্তাক্ত দিনটির কথা কেউ কোনো দিন ভুলতে পারবে না। অচিন্তনীয় আতঙ্কে ডুবে গিয়েছিল পশ্চিমা বিশ্ব। সন্ত্রাসের নতুন রূপ ও বিস্তৃতিতে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল মানব সভ্যতা।

সেদিন এবং পরের আরও অনেক দিন পৃথিবীর সবগুলো টিভি চ্যানেল দেখাতেই থাকলো ৯/১১-এর ঘটনাবলী। প্লেনগুলো সোজা ধাক্কা মারল মার্কিনীদের গর্বের প্রতীকগুলোতে। নিমেষে প্লেনের হামলায় ভেঙে পড়ল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার তথা টুইন টাওয়ার। ১৯ জন আত্মঘাতী হামলাকারী এবং চারটি বিমান জড়িত ছিল হামলায়।

চারটি বিমানের দু'টির লক্ষ্য ছিল নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উত্তর ও দক্ষিণ টাওয়ার। অন্যটি আঘাত করে পেন্টাগনে, যেটির অবস্থান ওয়াশিংটনের ঠিক বাইরেই আর চতুর্থ বিমানটি আছড়ে পড়ে পেনসিলভানিয়ার একটি মাঠে।

মারা যান ২৯৯৬ জন, গুরুতর জখম ছয় হাজার জনেরও বেশি মানুষ। যাদের মধ্যে ৪০০ এর বেশি ছিলেন পুলিশ এবং অগ্নিনির্বাপণ কর্মী। আমেরিকায় এত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা খুব কমই ঘটেছে।

ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বিস্মিত বিশ্ব আড়মোড়া ভেঙে ঝাঁপিয়ে পড়ে অদৃশ্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ঘোষণা করেন 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ'। মার্কিন দেশে, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার অনেক দেশেই মুসলিমদের পাশাপাশি দাড়িগোঁফ থাকার কারণে মুসলিম সন্দেহে বহু শিখ পর্যন্ত আক্রান্ত হন। যদিও ৯/১১ ঘটনার বহু প্রশ্নের সঠিক উত্তর ও রহস্য স্পষ্টভাবে উন্মোচিত হয়নি আজও। শুধু তাই নয়, ৯/১১ পরবর্তীতে শত শত সন্ত্রাসী ঘটনার কোনো কূলকিনারা পাওয়া যাচ্ছে না।

৯/১১-এর পর গ্রাউন্ড জিরোতে এখন ঘটনাটির স্মৃতিস্বরূপ গড়ে উঠেছে ফ্রিডম টাওয়ার। দালানের উচ্চতার দিক থেকে টুইন টাওয়ারকে ছাড়িয়ে যাওয়া ফ্রিডম টাওয়ারেই নির্মিত হয়েছে সেপ্টেম্বর ১১ মেমোরিয়াল স্থাপনা। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা স্থাপনা পেন্টাগনকেও ঢেলে সাজানো হয়েছে। সেদিন হোয়াইট হাউসের দিকে উড়ে যাওয়া আরেকটি বিমান মাঝ আকাশে ভূপাতিত হয়েছিল যাত্রীদের প্রতিরোধের মুখে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করা হয়েছে ৯/১২-এর পর পরই। বলা যায়, মানুষের বসবাস, চলাচল ইত্যাদি কঠিন নিরাপত্তা বলয়ে আবৃত। পশ্চিমা বিশ্ব নিজস্ব নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে।

৯/১১ অনেক কিছুর পাশাপাশি বিশ্ব ইতিহাসে ভয়াল দিন হয়ে চিহ্নিত হয়েছে। সেদিনের মতো সমন্বিত আর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা পরবর্তী সময়ে আর দেখা যায়নি। এমন কি, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর বদলে যায় খোদ আমেরিকাও। এর জের ধরে বদলে গেছে বিশ্ব আর বৈশ্বিক রাজনীতি। বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন বিভাজন শুরু হয়েছে ৯/১১-এর মাধ্যমে। শুরু হয়েছে বিশ্বের দেশে দেশে সন্ত্রাসী খোঁজার পালা। যে তৎপরতার জেরে জ্বলছে অনেক দেশ, জনপদ। অনেক নিরীহ মানুষও মারা যাচ্ছে 'সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ'-এর পক্ষ-বিপক্ষের মাঝখানে পড়ে। শান্তি এখন নিজেই হয়ে গেছে আক্রান্ত।

শান্তিবাদী বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ চায় না। আবার অকাতরে নিরপরাধ, নিরস্ত্র, সাধারণ মানুষের মৃত্যুও মেনে নিতে পারে না। শান্তি ও মানবতার এই আকুতি ৯/১১-এর পর তীব্র ভাষায় উচ্চারিত হলেও আজও বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হামলা থেমে থেমে হুঙ্কার দিয়েই চলেছে। আবার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের দমন করার হামলাতেও মারা পড়ছেই সাধারণ মানুষ, স্কুলের শিশু, ঘরের নারী, নিরপরাধী মানুষ। সন্ত্রাস ও পাল্টা-সন্ত্রাস রক্তাক্ত করেছে ৯/১১ পরবর্তী বিশ্বকে।

৯ /১১ ঘটনার ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়ায় সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার এক রক্তাক্ত রণাঙ্গনে পরিণত করেছে বিশ্ব মানচিত্রকে। ৯/১১-এর স্মৃতি আজও রক্ত আর মৃত্যুর চিহ্নে বার বার ছুঁয়ে যাচ্ছে তাবৎ পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষদের। কে জানে, সন্ত্রাসের এই দুষ্টচক্র থেকে মানবতা কবে মুক্তি পাবে?

আরও পড়ুন: স্মৃতি: রক্তাক্ত ৯/১১

   

রাফায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে ১৩ দেশের চিঠি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার রাফায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যৌথ চিঠি পাঠিয়েছে ১৩ টি মিত্র দেশ। দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পাঁচ পাতার একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করে তা ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজের হাতে তুলে দিয়েছেন। একই সঙ্গে সে চিঠি জনসম্মুখেও প্রকাশ করেছেন।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা রাফায় পূর্ণ মাত্রার সামরিক অভিযানের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করছি, যা বেসামরিক জনগণের ওপর বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্যদেশ ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও সুইডেন।

উক্ত চিঠিতে গাজা উপত্যকায় বিধ্বংসী ও ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিরসনে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভাকে কাজ করার কথাও তারা উল্লেখ করেছেন। একইসাথে
মিত্র দেশের মন্ত্রীরা ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জরুরী মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে রাফাহ ক্রসিংসহ সমস্ত সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এছাড়াও চিঠিতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে গাজায় আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর পাশাপাশি ইউএন এজেন্সি ফর ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের (UNRWA) অ্যাক্সেসের অনুমতি দিতে, সাহায্য কর্মী এবং আন্তর্জাতিক কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং স্থানীয় ট্রাক চালকদের জন্য পর্যাপ্ত পারমিট প্রদান করতে বলা হয়েছে।

;

হামাসের সুড়ঙ্গ থেকে ৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামাসের একটি সুড়ঙ্গে অভিযান চালিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

শনিবার (১৮ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতরা হলেন শানি লোক, অমিত বুসকিলা এবং ইজহাক গেলেরেন্তার। এই তিনজনকে গত ৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফ্যাস্টিভালে হত্যা করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পরে তাদের মরদেহ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ইসরায়েলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের দক্ষিণ ইসরায়েলে নোভা উৎসবে হত্যা করা হয়েছিল। ৭ অক্টোবর ওই উৎসবে যোগ দেয়া ৩৬০ জনের বেশি মানুষ হামাসের হামলায় নিহত হন।

ইসরায়েলে হামাসের ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন। এ ছাড়া দেশটি থেকে ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস সদস্যরা। তাদের মধ্যে ১০৫ জনকে গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারের পর প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, 'প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিনজন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের খবরে আমি মর্মাহত। আমার স্ত্রী সারা এবং আমি তাদের পবিরারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা আমাদের সব জিম্মিকে ফেরাব-জীবিত অথবা মৃত। আমি আমাদের সাহসী সেনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যারা আমাদের ছেলে ও মেয়েদের বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছে।'

এদিকে হামাসের হাতে এখনো প্রায় ১২৫ জন জিম্মি রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে কতজন জীবিত আছেন, তা নিশ্চিত নয়। এই জিম্মিদের দেশে ফেরাতে ইসরায়েলে নিয়মিত বিক্ষোভ করছেন দেশটির নাগরিকেরা।

;

স্বাতীর অভিযোগ, কেজরিওয়ালের বাসভবনে পুলিশ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বৈভব কুমারের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন আম আদমি পার্টির (আপ) রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল।

এনডিটিভি জানিয়েছে, তার দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত করতে কেজরিওয়ালের বাসভবনে পৌঁছেছে দিল্লি পুলিশ এবং ফরেন্সিক দল। তদন্তের স্বার্থেই কেজরিওয়ালের বাসভবনে অভিযান চালিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

স্বাতীর দাবি, গত সোমবার কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে তার বাসভবনে গিয়েছিলেন তিনি। একটি ট্যাক্সি করে কেজরিওয়ালের বাসভবনে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ই তাকে শারীরিক হেনস্থা করেন বৈভব।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শোরগোল পড়ে যায় দিল্লিজুড়ে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দিল্লি পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেন স্বাতী। সেদিন রাতেই তার মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়েছিল দিল্লির এইমসে।

পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগপত্রে স্বাতী জানান, কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব তাকে চড় মেরেছেন। এমনকি, তার পেটে লাথিও মেরেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাতীর বাসায় গিয়ে তার বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ মে) ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় নিজের অভিযোগে তুলে ধরেন স্বাতী।

এরপর শুক্রবার দুপুরেই কেজরিওয়ালের বাসভবনে হাজির হয় দিল্লি পুলিশের একটি দল।

সূত্রের খবর, বসার ঘরে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে তারা। এই ঘরেই তার সঙ্গে অভব্য আচরণ এবং মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বাতী।

পাশাপাশি, কেজরিওয়ালের বাসভবনের কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ। তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

স্বাতীর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই অস্বস্তিতে পড়েছে আপ। তার অভিযোগকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমেছে বিজেপি।

মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই স্বাতীকে নিগ্রহের ঘটনার পর দুই দিন কেটে যাওয়া সত্ত্বেও, কেজরিওয়াল কেন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

ঘটনার দিন আপ নেতৃত্ব মুখ বন্ধ রাখলেও ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে ওই নিগ্রহের কথা স্বীকার করে বিবৃতি দেন দলের নেতা সঞ্জয় সিং। গত মঙ্গলবার স্বাতীর বাড়িতে যান তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন দিল্লি মহিলা কমিশনের সদস্য বন্দনা সিং।

এরপর সাংবাদিক সম্মেলন করে সঞ্জয় জানান, এই ঘটনায় পুরো দল স্বাতীর পাশে আছে। সেই বার্তা দিতেই স্বাতীর বাসভবনে গিয়েছিলেন সঞ্জয়।

পাশাপাশি তিনি জানান, বৈভব অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেছেন স্বাতীর সঙ্গে। কেজরিওয়াল এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন।

;

ফের ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হামাস-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনার মধ্যে আবারও ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছুড়েছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এ যাত্রায় গোষ্ঠীটি ৭৫টি রকেট ছুড়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

শুক্রবার (১৭ মে) ইসরায়েলের গনমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। তবে কয়েক ডজন রকেট ইসরায়েল তাদের আয়রন ডোম দ্বারা প্রতিহত করেছে।

স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জানায়, আপার গ্যালিলিতে রকেট হামলায় দুজন সামান্য আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত দুজনের বয়সেই ৬০ বছরের কাছাকাছি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চল লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহ যেসব হামলা চালিয়েছে সেগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম বড় ছিল বলেও সংবাদমাধ্যমটি জানায়।

এমন হামলার পর গোলান হাইটস এবং লেবানন সীমান্তের কাছের বেশ কয়েকটি শহরে সাইরেন বেজে ওঠে।

;