বিদায় ‘এক্সপ্রেস’, স্বাগত অনলাইন মিডিয়া



সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃৃহীত

ছবি: সংগৃৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিন্ট প্রকাশনায় আনুষ্ঠানিক বিদায় নিল বিখ্যাত সাময়িকী ‘এক্সপ্রেস’। যুক্তরাষ্ট্রের মেট্রো যাত্রীদের জন্য বিনা মূল্যে বরাদ্দ সাময়িকীটি প্রকাশনার সুদীর্ঘ ১৬ বছরের ইতি ঘোষণা করেছে গত ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯।

বিখ্যাত দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘এক্সপ্রেস’ মূলত মেট্রো যাত্রীদের জন্য সাপ্তাহিক দিনের প্রকাশিত মুক্ত সংবাদপত্র।

এক্সপ্রেস প্রকাশনা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ হিসেবে ক্রমহ্রাসমান আর্থিক আয়ের কথা উল্লেখ করা হয়। যদিও তারা এ বিষয়ে কোনো আর্থিক ক্ষতির পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেনি। তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, মুদ্রিত কাগজগুলি বর্তমানে আর্থিক আয় হারাতে শুরু করেছে।

রঙিন এবং প্রাণবন্ত এক্সপ্রেস প্রকাশনাটি প্রতিদিন সকালে পাবলিক ট্রানজিট যাত্রীদের, বিশেষত এমন লোকেরা যারা প্রকাশনাটি সাবস্ক্রাইব করেননি তাদের জন্য সহজে ও দ্রুত পাঠযোগ্য করে ডিজাইন করা হতো। এতে আকর্ষণীয় এবং মাঝেমধ্যে কৌতুকপূর্ণ ছবি দিয়ে প্রচ্ছদ করে একক সংবাদ, গল্প বা সংবাদ উপস্থাপন করে হাইলাইট করতো।

মূলত প্রকাশিত দৈনিক ‘দ্য পোস্ট’ থেকে সংগৃহিত মিশ্র সংবাদ এবং ফিচারভিত্তিক খবরগুলোকে নিজস্ব সাংবাদিক দিয়ে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে মেট্রো পাঠকদের জন্য প্রস্তত করা হতো।

আনুষ্ঠানিকভাবে এক্সপ্রেস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংবাদমাধ্যমে কর্মরত ২০ জন সাংবাদিক কর্মহীন হয়ে পড়ল।

এক্সপ্রেস’র নির্বাহী সম্পাদক ড্যান ক্যাকাভারো জানালেন, মেট্রো স্টেশন এবং খবরে বাক্সের মাধ্যমে অনেকটা সেকেলে আদলে ৭৫ জন হকারের মাধ্যমে প্রতিদিন সকালে প্রকাশনাটি বিতরণ করা হতো। মূলত ২০০৭ সালে এক্সপ্রেস তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। বলতে গেলে, সে সময় সর্বোচ্চ সুসময়ে ছিল প্রকাশনাটি। ওই সময় প্রতিদিন ১ লাখ ৯০ হাজার কপি ছাপানো হতো। ওই মুহূর্তে, এটি দুর্দান্তভাবে লাভজনক ছিল। সাময়িকীটি এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে ঘরে ফেরত পাঠকের জন্য বৈকালিক সংস্করণ প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

তবে ধীরে ধীরে গত কয়েক বছরে সাময়িকীটি ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয়তা হারাতে থাকে। পরিস্থিতি এতটাই নাজুক হয়ে আসে যে, এ প্রকাশনাকে আর লোকসান দিয়ে চালিয়ে নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। সার্কুলেশন কমে ১ লাখ ৩০ হাজার কপির নিচে নেমে আসে। মেট্রোতে পাঠক কমে যাওয়া, স্মার্টফোনেই প্রতিদিনের জীবনঘনিষ্ট তথ্য ও সেবা আর ইউটিউবের জনপ্রিয়তার কাছে অসহায় আত্মসর্মপণ করছিল ‘এক্সপ্রেস’। এভাবেই এক্সপ্রেস বন্ধের পেছনের কারণগুলো ব্যাখ্যা করেন ড্যান ক্যাকাভারো।

শহুরে ওয়াইফাই (তারহীন ইন্টারনেট প্রবাহ) প্রযুক্তি বিদ্যার বদৌলতে আধুনিক নাগরিক জীবনে প্রিন্ট কাগজের উপস্থিতি ক্রমেই অদৃশ্য হয়ে পড়ছে। কঠিন এ সত্যটা এখন আরও বেশি সুস্পষ্ট ও দৃশ্যমান। পাঠক তার প্রয়োজনীয় এবং আগ্রহের খবর স্মার্টফোনের সুদৃশ্য পর্দা থেকেই পেতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। 

এক্সপ্রেসে প্রকাশিত বিদায়ী কলামে কাগজের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ক্যাকাভারো এসব পরিবর্তনের কথা বলে  লিখেছেন, সোমবার সকালে, আমি ট্রেনে চড়ে কাজ শুরু করলাম। জনাকীর্ণ ব্লু লাইন ট্রেনে শুধু তিনজন এক্সপ্রেস পড়ছিলেন (ধন্যবাদ!)। একজনের নাক ছিল পুরনো কালের বইতে। বাকি প্রায় সবাই স্মার্টফোনে মন্ত্রমুগ্ধ ছিলেন।

তারহীন খবর এবং বিজ্ঞাপনের হালআমলেই এক্সপ্রেস’র মতো সাময়িকী যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয়তা পায়। আর তা ব্যবসা সফলও হয়। কিন্তু তার স্থায়ীত্ব খুব বেশি দিন ধরে রাখা সম্ভব হলো না। স্মার্টফোনে ওয়াইফাই ইন্টারনেটের জাদুবিদ্যার কাছে ধরাশায়ী হতে হলো জনপ্রিয় প্রিন্ট প্রকাশনাকে। একই চিত্র বোস্টন, নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া এবং শিকাগো শহরের সাময়িকীগুলোর।

বিশ্বব্যাপী মুদ্রিত পত্রিকার পাঠক কাটতি কমে যাওয়া এবং মুদ্রণশিল্পে বিজ্ঞাপনের হার কমে আসা এ ধরনের জনপ্রিয় ও ব্যবসা সফল সাময়িকী প্রকাশনার মুখ থুবড়ে পড়ার প্রধানতম কারণ বলে মনে করেন ড্যান ক্যাকাভারো।

তরুণ পাঠকদের আকৃষ্ট করতে সেলিব্রেটি বিনোদন এবং হালকা মেজাজের খবরের ওপর জোর দিয়ে প্রকাশিত দৈনিকগুলো পাঠক ধরে রাখার অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছে। যাত্রীদের পাঠ সুবিধার্থে ব্রডশিটের বদলে ট্যাবলয়েড আকারে সাময়িকী প্রকাশ করা হয়। 

যাত্রীকেন্দ্রিক কাগজের ট্রেন্ডলেটের শেষ বেঁচে যাওয়া এক্সপ্রেস, দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গল্পের সাথে খেলাধুলা এবং স্থানীয় সংবাদের সংক্ষিপ্তসার প্রকাশ করতো। বৃহস্পতিবারের সংস্করণে উইকএন্ডের ইভেন্ট এবং বিনোদন সম্পর্কে একটি বিভাগ তুমুল জনপ্রিয় হয়। ফলে এসব খবর প্রকাশে ৮০ পৃষ্ঠা বরাদ্দ করা হয়।

বিশ্বের যাত্রীকেন্দ্রিক বহু কাগজ অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে। এ কথার প্রসঙ্গ টেনে ‘দ্য পোস্ট’র নির্বাহী সম্পাদক মার্টিন ব্যারন এক্সপ্রেসের আপেক্ষিক স্থায়িত্বকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, এক্সপ্রেস একটি স্বতন্ত্র প্রাণবন্ত তথ্য পণ্য। কর্মীদের সৃজনশীলতা, তথ্যশক্তি এবং উৎসর্গের দৃশ্যমান প্রতিচ্ছবিই ছিল ‘এক্সপ্রেস’।

যতটা সময় ধরে এটা চলে এসেছে তার নেপথ্যেই ছিল কর্মীরা। মিডিয়ার সমূলে পরিবর্তনের যুগে এতদিন টিকে থাকাই ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। ডিজিটাল পরিবর্তনের ঝড়ে প্রকাশনা শিল্পের গতিধারা ভিন্ন সমীকরণের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে। অনলাইনের এ অপ্রতিরোধ্য ধারাকে অস্বীকার করার মতো সুযোগ আর নেই। এটাই সত্য।

   

রাইসিকে বিদায় জানাতে ইরানে ৬৮ দেশের প্রতিনিধি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন আজ। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে জন্মস্থান মাশহাদে জানাজা শেষে সমাহিত করা হবে তাকে। তাকে বিদায় জানাতে অংশ নিয়েছেন ৬৮ দেশের প্রতিনিধি। 

বুধবার (২২ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকালে প্রিয় প্রেসিডেন্টকে শেষ বিদায় জানাতে রাস্তায় নেমে এসেছেন সর্বস্তরের মানুষ। এর আগে বুধবার তেহরানে ৫০ দেশের ৬৮ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এতে অংশ নেন কাতার, ইরাক, পাকিস্তান ও সিরিয়া, তুর্কমেনিস্তানের জাতীয় নেতাসহ বিশিষ্টজনেরা। এ সময় তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মোখবার, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানি এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং আজারবাইজানের প্রধানমন্ত্রী আলি আসাদভ।

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রহমান এবং লেবানন, আলজেরিয়া, কাজাখস্তান, ইথিওপিয়া, মালি, রাশিয়া ও উজবেকিস্তানের পার্লামেন্ট স্পিকাররাও উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

অনুষ্ঠানে তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট সেভদেত ইলমাজ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানও অংশ নেন। এছাড়াও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে লেবানন, মিশর, তিউনিসিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, বেলারুশ, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভেনিজুয়েলা এবং জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও ছিলেন।

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহও অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং জানাজা অনুষ্ঠানের ফাঁকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে বৈঠক করেন।

প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করে ফেরার পথে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এ দুর্ঘটনায় রাইসি ছাড়াও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি ছিলেন হেলিকপ্টারটিতে। এ ছাড়া হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রুও মারা গেছেন।

;

গাজায় মসজিদে ইসরায়েলি হামলায় ১০ শিশুসহ নিহত ১৬



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় একটি মসজিদে ইসরায়েলি হামলায় ১০ শিশুসহ অন্তত ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর গাজার ফাতিমা আল-জাহরা মসজিদে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনা বাহিনী। এতে ১০ শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হন। রাতভর হামলার কারণে শিশুদের নিয়ে অনেক নারীও ওই মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এছাড়া দারাজের আশপাশের আল-সাহাবা স্ট্রিটের মসজিদ এবং আশপাশের ভবনগুলোও ইসরায়েলি হামলার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন বলে ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়াও জেইতুন এলাকায় কিছু সংখ্যক মানুষের ওপর ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ আরও ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান সহিংসতায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৫ হাজার ৭০৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। হামলায় আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন বলেও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

;

তাইওয়ানের চারপাশে চীনের ব্যাপক সামরিক মহড়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তাইওয়ানের চারপাশে চীনের দুই দিনের সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য কঠোর শাস্তি হিসেবে আকাশ ও জলপথে চীনের সামরিক মহড়া চলবে বলে জানিয়েছে চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে শপথ নেওয়ার তিন দিন পরই স্বায়ত্ত্বশাসিত দ্বীপটির চারপাশে সামরিক মহড়া শুরু করল চীন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে তাইওয়ান প্রণালীর পাশাপাশি তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব এবং সেইসাথে কিনমেন, মাতসু, উকিউ এবং ডংগিন দ্বীপের চারপাশের এলাকায় মহড়া শুরু করে।

চীনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লি শি বলেছেন, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ বাহিনীর বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য কঠোর শাস্তি এবং বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপ ও উস্কানির বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা’ হিসেবে যৌথ এই মহড়া চালানো হচ্ছে।

চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শিনহুয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, জয়েন্ট সোর্ড-২০২৪এ নামের মহড়াটিতে সমুদ্র ও আকাশপথের যুদ্ধের প্রস্তুতি, যুদ্ধক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ এবং নির্ভুল হামলার ওপর জোর দেওয়া হবে। চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড তাইওয়ান দ্বীপকে ঘিরে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করে। কিনমেন, মাতসু, উকিউ এবং ডংগিন দ্বীপের আশপাশেও এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।

;

গাজায় নারী ও শিশুসহ আরও ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ আরও ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার মধ্যাঞ্চলীয় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে এবং গাজা সিটিতে পৃথক ইসরায়েলি হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। মূলত জেইতুন এলাকায় মানুষ একটি গ্যাস স্টেশনের সামনে জড়ো হয়েছিল এরপরই তাদের ওপর ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান সহিংসতায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৫ হাজার ৭০৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। হামলায় আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন বলেও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

;