‘এক্সপো-২০২০ দুবাই’ দিন গণনা শুরু



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তটোয়েন্টিফোর.কম
দুবাই-এ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ এক্সপো-২০২০, ছবি: সংগৃহীত

দুবাই-এ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ এক্সপো-২০২০, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘কানেক্টিং মাইন্ডস, ভবিষ্যত তৈরি কর’ এ থিম নিয়ে আজ থেকে ঠিক এক বছর পর দুবাই-এ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ এক্সপো-২০২০।

বিশ্বের সকল মানুষের উজ্জ্বল উপস্থিতি ও তার পণ্য পরিদর্শন উদযাপনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে এক্সপো-২০২০ দুবাই। বিশ্বের বিভিন্ন কোণ থেকে মানুষের সংযোগ স্থাপন, শিল্প, সংস্কৃতি, ভূগোল, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং উদ্ভাবনের সর্বোত্তম অভিজ্ঞতা অর্জন করতে নতুন চিন্তাভাবনা, ধারণা বিনিময়ের লক্ষে এটি একটি সুযোগ হয়ে উঠবে।

ইতিমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত তার অসাধারণ বিকাশের মাধ্যমে কী সম্ভব তা বিশ্বকে দেখিয়েছে। এক্সপো ২০২০ দুবাইয়ের সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মকে উদ্ভাবনে উৎসাহিত করার পদক্ষেপে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে যা পরবর্তী ৫০ বছরের মানব অগ্রগতির স্মারক হয়ে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

এক্সপো-২০২০ দুবাইয়ের থিমটি হ'ল ‘কানেক্টিং মাইন্ডস, ভবিষ্যত তৈরি কর’

এক্সপো-২০২০ দুবাই সংযুক্ত আরব আমিরাতের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর্যটন বৃদ্ধি, উদ্ভাবনী ব্যবসায়ের বিকাশকে উৎসাহিত করে এবং ব্যবসায়ের স্থান হিসাবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি বাড়িয়ে এক সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিশন- ২০২০ উদযাপন করবে।

এক্সপো-২০২০ দুবাই সংযুক্ত আরব আমিরাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসাবে চিহ্নিত, ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সঙ্গে একাকার হয়ে যায়। কারণ বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম মাধ্যম ‘এক্সপো’ প্রতি পাঁচ বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয়। আসন্ন দুবাই এক্সপো ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।

এক্সপো ২০২০ দুবাই এবং আপনি কীভাবে কোনও ভূমিকা রাখতে পারবেন সে সম্পর্কে যা জানতে চান তা এখানে রয়েছে।

এক্সপো ২০২০ দুবাই কি?

এক্সপো ২০২০ দুবাই একটি বিশ্ব এক্সপো যা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আয়োজিত হতে চলেছে। বিশ্ব বাণিজ্য মেলা বা ওয়ার্ল্ড এক্সপো, যা আকার, স্কেল এবং সময়কাল এবং দর্শনার্থীর সংখ্যার ক্ষেত্রে একটি মেগা আন্তর্জাতিক ইভেন্ট হতে যাচ্ছে। এটি একটি উৎসব এবং একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে সারা বিশ্বের মানুষ একত্রিত হয় এবং একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়, শিখতে এবং উদ্ভাবন করতে ধারণা-চিন্তাভাবনা ভাগ করে নেয়। এটি এমন জায়গা যা যেখানে আপনি এসে মজা করতে পারেন। ‘এক্সপো-২০২০ দুবাই’ মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্ব এক্সপো। এটি আরব দেশগুলোর মধ্যেও প্রথম আয়োজন।

গাড়িতে করে ডাউনটাউন দুবাই থেকে এক্সপো সাইটে পৌঁছাতে ৪০ মিনিট সময় লাগবে

এক্সপো-২০২০ দুবাই সাইটটি কোথায়?

এক্সপো-২০২০ সাইটটি ৪.৩৮ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত এবং দুবাই-এর দক্ষিণে অবস্থিত, আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটে এবং দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং দুবাই এবং আবুধাবি ক্রুজ টার্মিনালগুলো থেকে সহজেই সহজেই পৌঁছনো যায়।

কীভাবে সাইটে পৌঁছতে পারবেন?

গাড়িতে করে ডাউনটাউন দুবাই থেকে এক্সপো সাইটে পৌঁছাতে আপনার ৪০ মিনিট সময় লাগবে। আপনি দুবাই মেট্রোও ব্যবহার করতে পারেন। এক্সপো-২০২০ এর জন্য বিশেষ ট্রেন দুবাই মেট্রো স্টেশনে থাকবে, প্রতি ঘন্টায় ৪০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষম লাগাতার যাত্রীসেবা পাওয়া যাবে।

তারিখ এবং সময়:

খোলার দিন: ২০ অক্টোবর ২০২০
সমাপ্তির দিন: ১০ এপ্রিল ২০২১

সাইট খোলার সময়:

প্রতিদিন: সকাল ৯ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত
সাপ্তাহিক ছুটি ও বিশেষ দিন: সকাল ১০টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত

প্রথম ওয়ার্ল্ড এক্সপো কি ছিল?

প্রথম ওয়ার্ল্ড এক্সপো হয়েছিল লন্ডনে ১৮৫১ সালে। দুর্দান্ত প্রদর্শনী, তখন থেকে বিশ্বের অনেক দেশেই ওয়ার্ল্ড এক্সপো অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। একটি থিমকে চিন্তা করে শিল্পকলা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে জ্ঞানকে উন্নত করার চেষ্টা করা হয় এসব মেলায়।

‘এক্সপো-২০২০ দুবাই’-এ  কয়েক লাখ দর্শনার্থী আশা করা হচ্ছে

ওয়ার্ল্ড এক্সপো কত ঘন ঘন অনুষ্ঠিত হয়?

ওয়ার্ল্ড এক্সপো প্রতি পাঁচ বছরে সংগঠিত হয় এবং ছয় মাস ধরে স্থায়ী হয়।

ওয়ার্ল্ড এক্সপোর জন্য কি কোনও সংস্থা আছে?

ব্যুরো ইন্টারন্যাশনাল ডেস এক্সপোজিশনস (বিআইই) হল আন্তর্জাতিক সংস্থা যা বিশ্ব এক্সপোসের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করে। এর ১৭০টি সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষে শিক্ষা, উদ্ভাবন এবং সহযোগিতার মূল মূল্যবোধ সংরক্ষণ করে। এটি ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

সর্বশেষ এক্সপো কোথায় হয়েছিল?

সর্বশেষ এক্সপো হয়েছিল ২০১৫ সালে মিলানে। এর থিম ছিল ‘গ্রহকে লালন কর, জীবনের জন্য শক্তি পাও’। এটি পুষ্টি এবং খাবারের উপর দৃষ্টি নিবন্ধ করে। মিলান দ্বিতীয়বারের মত ওয়ার্ল্ড এক্সপো আয়োজন করেছিল, প্রথমটি হয়েছিল ১৯০৬ সালে।

দুবাই কখন এক্সপো জিতেছে?

২০১৩ সালে ২৭ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাত ব্যুরো ইন্টারন্যাশনাল ডেস এক্সপোজিশনের (বিআইই) ১৫৪ তম সাধারণ সম্মেলনে ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২০ এর আয়োজক দেশ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল। এটি ছিল ১৬৮ জন সদস্যের ভোটের ফলাফল। দুবাই ১১৬ ভোটের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতেছে। রাশিয়ার প্রতিযোগী শহর ইয়েকাতেরিনবার্গ কেবল ৪৭টি ভোট পায়।

অতীতে ওয়ার্ল্ড এক্সপো কী দিয়েছে?

প্যারিসের আইফেল টাওয়ার, সিয়াটেল স্পেস সুই, টাইপরাইটার, টেলিভিশন এমনকি হেইঞ্জ টমেটো কেচআপ এমন কিছু জিনিস যা ওয়ার্ল্ড এক্সপোর মাধ্যমে প্রথম পরিদর্শন বা স্থাপিত হয়েছে।

১৮৮৯ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত

ওয়ার্ল্ড এক্সপো বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার জন্যই মূলত আইফেল টাওয়ার নির্মাণ করা হয়।

এক্সপো-২০২০ দুবাই কি থিম ?

এক্সপো-২০২০ দুবাইয়ের থিমটি হ'ল ‘কানেক্টিং মাইন্ডস, ভবিষ্যত তৈরি কর’।

এক্সপো-২০২০ দুবাই এর লোগোটি কী?

২০১৬ সালের এক্সপো ২০২০ দুবাই তার নতুন লোগোটি প্রকাশ করেছিল, যা সরোগ আল হাদেদ প্রত্নতাত্ত্বিক সাইটে পাওয়া একটি রিং দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল।

এক্সপোতে অংশ নেবে?

ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ১৯২টি দেশের ২০০ বেশি অংশগ্রহণকারী এক্সপো-২০২০ দুবাই উদযাপন করতে একত্রিত হবে। দর্শনার্থী কয়েক লাখ আশা করা হচ্ছে।

এক্সপো সাইটের চেহারা কেমন হবে? এর মূল সম্পদ কী হবে?

এক্সপো ২০২০ সাইটের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে আল ওয়াসল প্লাজা। সুযোগ, গতিশীলতা এবং স্থায়িত্বের সাব-টাইটেলের ভিত্তিতে এক্সপো সাইটে তিনটি থিম্যাটিক অঞ্চল থাকবে। প্রতিটি থিম্যাটিক অঞ্চল সাবটাইটেমের উপর ভিত্তি করে একটি থিম্যাটিক প্যাভিলিয়ন দ্বারা স্থাপিত করা হবে।

‘এক্সপো-২০২০ দুবাই’ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করবে

এক্সপো-২০২০ দুবাই সাইটের কাজ কখন শুরু হয়েছে?

এক্সপো-২০২০ দুবাই সাইটে সাইটের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের মার্চে।

   

ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে হিজবুল্লাহ: গ্যালান্ত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৭ মাস ধরে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত।

শনিবার (১৮ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার রাজধানী জেরুজালেমে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে যে আমাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই এবং আমরা এটা বুঝতে পারি; কিন্তু যে গত কয়েক মাসে যত সন্ত্রাসীকে আমরা হত্যা করতে পেরেছি, সেই সাফল্যও তুচ্ছ নয়।’

ওই বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘আমি বরাবরই বলে আসছি যে আমাদের সব সময় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এতদিন পর্যন্ত কেউ একে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ৭ অক্টোবরের পর সবাই বুঝতে পেরেছে যে আমরা কতখানি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। তবে আমরা কখনও পিছু হটব না। সন্ত্রাসীদের প্রতিটি হামলার জবাব আমরা দেবো।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহর এসব হামলার জবাবে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে ও লেবাননের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকবার বিমান ও গোলা হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। এসব হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২ শতাধিক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা।

;

হরিয়ানায় চলন্ত বাসে আগুন, প্রাণ গেল ৯ পুণ্যার্থীর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে পুণ্যার্থীবাহী চলন্ত বাসে আগুন লেগে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন আরও ২৪ জন। ঘটনার সময় বাসে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন।

শনিবার (১৮ মে) ইন্ডিয়া ট্যুডে'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৭ মে) রাতে হরিয়ানার নুহ জেলার মানেসার পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবোঝাই একটি বাসে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এতে ছয়জন নারো ও তিনজন পুরুষ ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হন। এছাড়া আহত হন আরও ২৪ জন। জানা যায়, যাত্রীদের অধিকাংশই ধর্মীয় তীর্থযাত্রী ছিলেন।

আগুন নেভানোর পর চিকিৎসার জন্য দগ্ধদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় হতাহতরা চণ্ডীগড় ও পঞ্জাবের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তারা সবাই মথুরা ও বৃন্দাবন থেকে ফিরছিলেন। নারী-শিশুসহ বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন।

কী কারণে চলন্ত বাসে আগুন ধরল, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। পুলিশ পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত দেড়টার দিকে চলন্ত বাসে আগুন লাগার বিষয়টি লক্ষ্য করেন তারা। বাসের পেছন থেকে লেলিহান আগুনের শিখা বের হচ্ছিল। গ্রামবাসীরাই চিৎকার করে বাস চালককে বাস থামাতে বললেও বাসের চালক তা শোনেনি ৷ এরপর এক যুবক বাইকে করে বাসটিকে ধাওয়া করে সেটিকে থামায়।

;

রাফায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে ১৩ দেশের চিঠি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার রাফায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যৌথ চিঠি পাঠিয়েছে ১৩ টি মিত্র দেশ। দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পাঁচ পাতার একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করে তা ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজের হাতে তুলে দিয়েছেন। একই সঙ্গে সে চিঠি জনসম্মুখেও প্রকাশ করেছেন।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা রাফায় পূর্ণ মাত্রার সামরিক অভিযানের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করছি, যা বেসামরিক জনগণের ওপর বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্যদেশ ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও সুইডেন।

উক্ত চিঠিতে গাজা উপত্যকায় বিধ্বংসী ও ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিরসনে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভাকে কাজ করার কথাও তারা উল্লেখ করেছেন। একইসাথে
মিত্র দেশের মন্ত্রীরা ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জরুরী মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে রাফাহ ক্রসিংসহ সমস্ত সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এছাড়াও চিঠিতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে গাজায় আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর পাশাপাশি ইউএন এজেন্সি ফর ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের (UNRWA) অ্যাক্সেসের অনুমতি দিতে, সাহায্য কর্মী এবং আন্তর্জাতিক কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং স্থানীয় ট্রাক চালকদের জন্য পর্যাপ্ত পারমিট প্রদান করতে বলা হয়েছে।

;

হামাসের সুড়ঙ্গ থেকে ৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামাসের একটি সুড়ঙ্গে অভিযান চালিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

শনিবার (১৮ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতরা হলেন শানি লোক, অমিত বুসকিলা এবং ইজহাক গেলেরেন্তার। এই তিনজনকে গত ৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফ্যাস্টিভালে হত্যা করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পরে তাদের মরদেহ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ইসরায়েলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের দক্ষিণ ইসরায়েলে নোভা উৎসবে হত্যা করা হয়েছিল। ৭ অক্টোবর ওই উৎসবে যোগ দেয়া ৩৬০ জনের বেশি মানুষ হামাসের হামলায় নিহত হন।

ইসরায়েলে হামাসের ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন। এ ছাড়া দেশটি থেকে ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস সদস্যরা। তাদের মধ্যে ১০৫ জনকে গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারের পর প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, 'প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিনজন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের খবরে আমি মর্মাহত। আমার স্ত্রী সারা এবং আমি তাদের পবিরারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা আমাদের সব জিম্মিকে ফেরাব-জীবিত অথবা মৃত। আমি আমাদের সাহসী সেনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যারা আমাদের ছেলে ও মেয়েদের বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছে।'

এদিকে হামাসের হাতে এখনো প্রায় ১২৫ জন জিম্মি রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে কতজন জীবিত আছেন, তা নিশ্চিত নয়। এই জিম্মিদের দেশে ফেরাতে ইসরায়েলে নিয়মিত বিক্ষোভ করছেন দেশটির নাগরিকেরা।

;