রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় আইনি ইউনিট করেছে মিয়ানমার
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় লড়তে বিশেষ আইনি ইউনিট গঠন করেছে মিয়ানমার। এ ইউনিট মিয়ানমার সরকারকে হেগেতে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে নিজেকে রক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে পরামর্শ দেবে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ সংবাদ জানিয়ে বলেছে, স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির নির্দেশে ইউনিটটি আইনি দক্ষতা জোরদার করার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ সংক্রান্ত আইনের সঙ্গে সম্পর্কিত সরকারি মন্ত্রণালয়গুলোতে মতামত দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে সু চি মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে শুনানি ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর শুরু হতে চলেছে।
সু চির স্টেট কাউন্সিলর কার্যালয়ের মধ্যে বিশেষ ইউনিটটির নেতৃত্বে থাকবে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অ্যাডভোকেট জেনারেলের অফিসের আইনজীবীদের একটি দল।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যা, ধর্ষণ এবং সম্প্রদায় ধ্বংস করার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
এর ফলে মিয়ানমার তার রোহিঙ্গা মুসলিম জনসংখ্যার গণহত্যার অভিযোগে বিশ্বজুড়ে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ৪৬ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে।
মামলাটি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিয়ানমারকে বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে প্রথম আন্তর্জাতিক আইনি প্রচেষ্টা। এটি সরাসরি কোনো পক্ষ নয়, এমন একটি দেশের জন্য অন্য দেশের বিরুদ্ধে মামলা করার এক বিরল উদাহরণ।