‘দেশ পরিচালনায় নারীরা নি:সন্দেহে পুরুষের চেয়ে ভালো’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মার্কিন ‍যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা

মার্কিন ‍যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশ পরিচালনায় নারীরা নি:সন্দেহে পুরুষের চেয়ে অনেক ভালো বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

তিনি বলেন, প্রতিটি দেশের পরিচালনায় বা নেতৃত্বে যদি নারীরা থাকতো তবে বিশ্বের মানুষের জীবনমান আরও উন্নত হতো। বিশ্ব আরও সুন্দর হতো।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিট্রিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর প্রকাশ করেছে।

খবরে বলা হয়, সিঙ্গাপুরে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বারাক ওবামা বলেন, আমি নারীদের জানাতে চাই আপনি নিখুঁত নন। তবে পুরুষের চেয়ে অনেক ভালো।

তিনি বলেন, আমি পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী যে, নারীরা যদি দুই বছর বিশ্বের প্রতিটি দেশ পরিচালনা করে তবে বিশ্বের চেহারা পাল্টে যাবে। বিশ্বের মানুষের জীবনমান আরও উন্নত হবে। নাগরিকদেরকে তারা একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী দেশ উপহার দিতে পারবে।

   

গাজার ২৪টি হাসপাতাল অকার্যকর: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় সংস্থা (ওসিএইচএ) বলেছে, গাজা উপত্যকার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে অন্তত ২৪টি অকার্যকর।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম তাস।

ওসিএইচএ-এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান যুদ্ধ এবং সরবরাহ সীমাবদ্ধতার কারণে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। যার ফলে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক হাসপাতাল যা পরিষেবার বাইরে চলে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে ২৭ মার্চ গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে ২৪টি অকার্যকর। দুটি উত্তর গাজায় ন্যূতমভাবে কার্যকরী এবং গাজায় চারটি এবং দক্ষিণ গাজায় ৬টিসহ মোট ১০টি আংশিকভাবে কার্যকরী।

আল-আকসা মসজিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসাবে হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। হামাসের এই হামলার প্রতিশোধ নিয়ে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে। ইসরায়েল ২৩ লক্ষ ফিলিস্তিনিদের আবাসস্থল গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরোধ ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি লেবানন ও সিরিয়ার কিছু অংশে বিমান হামলা শুরু করে।

;

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। উইন রোজারিও (১৯) নামের ওই যুবককে নিজ বাসায় গুলি করে পুলিশ।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৭ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে নিউইয়র্কের কুইন্স শহরে নিজ বাসায় পুলিশ রোজারিও নামের ওই যুবককে গুলি করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

রোজারিও মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। তার পরিবার ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়েছিল।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গুলিতে নিহত হওয়ার আগে ওই যুবক সাহায্যের জন্য ৯১১ নম্বরে ফোন করেছিলেন। পরে পুলিশ সেখানে গেলে ওই যুবক কাঁচি নিয়ে পুলিশ অফিসারদের দিকে তেড়ে আসেন। পরে আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিল, দুজন কর্মকর্তা মানসিক সমস্যায় ভোগা এক ব্যক্তির ৯১১ নম্বরে ফোনকল পেয়ে প্রতিক্রিয়ায় অ্যাপার্টমেন্টে যায়। সেখানে পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ এবং বিপজ্জনক ছিল। অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়ার পর পুলিশ কর্মকর্তারা রোজারিওকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি ড্রয়ার থেকে কাঁচি বের করে কর্মকর্তাদের দিকে ধেয়ে আসেন। পরে কর্মকর্তারা রোজারিওর ওপর গুলি করেন। এই পরিস্থিতেতে আত্মরক্ষা করার জন্য গুলি করা ছাড়া উপায় ছিল না।

নিহত রোজারিওর ভাই ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, মা রোজারিওকে আটকাচ্ছিলেন, কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তাদের গুলি করার দরকার ছিল না। প্রথমত, দুজন পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন। আমার মা আগে থেকেই আমার ভাইকে ধরে রেখেছিলেন, তাই তিনি তাদের ওপর আক্রমণ করতে পারতেন না। আমি মনে করি না একটি কাঁচি দুজন পুলিশ কর্মকর্তার জন্য হুমকি ছিল।

তিনি আরও বলেন, তার ভাই দুই বছর আগে ওজোন পার্কের জন অ্যাডামস হাই স্কুল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন এবং সম্প্রতি মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছিলেন।

;

যুক্তরাষ্ট্রে ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত, আহত ৭



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ইলিনয়ে ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৭ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের রকফোর্ডের উত্তর ইলিনয়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের পরিচয় জানা না গেলেও পলিশ বলছে, তাদের মধ্যে একজন ১৫ বছর বয়সী তরুণী, ৬৩ বছর বয়সী এক নারী, ৪৯ বছর বয়সী এক পুরুষ এবং ২২ বছর বয়সী একজন তরুণ রয়েছেন।

কানাডীয় সংবাদ মাধ্যম টরেন্টো স্টারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

রকফোর্ড পুলিশের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ইলিনয়ে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন, এতে আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় ২২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, কী উদ্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে, সে সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি।

পুলিশ বলেছে, যে এলাকার বাসিন্দাদের ওপর হামলা হয়েছে, সেখানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ওই এলাকা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

;

গাজায় আরও ৭৬ জনের প্রাণহানি, নিহত বেড়ে প্রায় ৩২৫০০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: আল-জাজিরা

ছবি: আল-জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা থামছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ৭৬ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। এনিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৩২ হাজার ৫শ’ জনে পৌঁছেছে। এতে আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৭৫ হাজার জনে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবর মাস থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৪৯০ জনে।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে।

এ প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। কোনো পক্ষ যুদ্ধবিরতি ও এর শর্তগুলো বাস্তবায়নে যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের শামিল।

;