২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড সংখ্যক গণহত্যা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি গণহত্যা, ছবি: ডেইলি সাবাহ

যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি গণহত্যা, ছবি: ডেইলি সাবাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড সংখ্যক গণহত্যা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), উএসএ টুডে এবং নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি দ্বারা সংবলিত একটি গবেষণা এমন তথ্য জানিয়েছে।

গবেষণায় জানানো হয়, ২০১৯ সালে ৪১টি গণহত্যার হামলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আর এতে মারা গেছে ২১১জন। এছাড়া এসব হামলায় ৩৩টি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের প্রতিটি স্টেটে সবচেয়ে বেশি গণহত্যা হয়েছে। গবেষণায় দেখা যায় রাজ্যটির প্রতিটি স্টেটে গড়ে আটজন করে নিহত হয়েছে।

এদিকে ২০০৬ সালের পর এ বছরেই সবচেয়ে বেশি গণহত্যা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু এ বছরে সবচেয়ে বেশি গণহত্যার জন্য হামলা হয়েছে। তবে ২০১৭ সালে বেশি সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছিলো বলে গবেষকরা জানায়। ২০১৭ সালে গণহত্যার শিকার হয়ে মারা যায় ২২৪জন।

যে কোন হামলায় হামলাকারী বাদে চার বা এর অধিক মানুষ নিহত হলে যুক্তরাষ্ট্র এটিকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করা হয়।

এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে যেসব হামলা হয়েছে তার মধ্যে ভার্জিনিয়া বিচ এবং এল পাসোর হামলা ছিলো সবচেয়ে ভয়াবহ। চলতি বছরের মে মাসে ভার্জিনিয়া বিচে হামলায় মারা যায় ১২জন এবং আগস্টে এল পাসোর হামলায় ২২জন নিহত হয়।

২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গণহত্যার তথ্য সংরক্ষণ করা শুরু হয়। কিন্তু ১৯৭০ এর দশকের সময় কোনো গণহত্যার তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছে এপি।

এসব গণহত্যার অধিকাংশ পারিবারিক কলহ, মাদকের কারবার ও গ্যাং সহিংসতার কারণে হয়েছে বলে জানিয়েছে গবেষকরা।

এ বিষয়ে মেট্রোপলিটন স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেমস ডেন্সলে এপিকে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণহত্যার সংখ্যা বাড়লেও ঘাতকের সংখ্যা কমেছে। তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি মার্কিন সমাজের অধিকাংশ মানুষ রাগ এবং হতাশার মধ্যে রয়েছে। আর এসব গণহত্যা তারই প্রতিফলন।

   

সৌদির ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের ওপর থেকে প্রাণঘাতী অস্ত্র বিক্রির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ ঘোষণা আসতে পারে। 

সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে এই  জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে প্রস্তুত সে বিষয়ে ওয়াশিংটন ইতোমধ্যে সৌদি আরবকে ইঙ্গিত দিয়েছে।

২০২১ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর সৌদি আরবের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশেষ করে ইয়েমেনে ইরানপন্থি হুতি বিদ্রোহীদের ওপর সৌদি সামরিক অভিযানে ব্যাপক প্রাণহানি, রিয়াদের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে নাখোশ ছিলেন তিনি। 

এছাড়া ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ড নিয়েও সৌদির বিরুদ্ধে সরব ছিল মার্কিন প্রশাসন।

বাইডেন সরকারের এমন অবস্থানের জেরে মার্কিন অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা সৌদি আরবের কাছে বেশ কয়েক ধরনের অস্ত্র বেচার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যদিও যুগের পর যুগ ধরে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম মিত্র সৌদির কাছে এসব অস্ত্র বেচে আসছিল আগের মার্কিন সরকার।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বুধবার বলেছেন, পারমাণবিক শক্তি, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং রিয়াদ ও তেল আবিবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একগুচ্ছ চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব।

এসব বিষয়ে কথা বলতে হোয়াইট হাউস ও সৌদি সরকারি যোগাযোগ অফিসের সঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলে তারা তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া দেয়নি।

;

কাতার এয়ারওয়েজের এক ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ, ঝাঁকুনিতে আহত ১২



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট ডাবলিনে জরুরি অবতরণ করলে এর ১২ যাত্রী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফ্লাইটটি কাতারের দোহা থেকে ডাবলিন যাচ্ছিল।

সোমবার (২৭ মে) বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে নিউজ নাইন এ খবর জানায়।

ডাবলিন এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, ফ্লাইট নম্বর কিউআর০১৭ বোয়িং৭৮৭ উড়োজাহাজের ডাবলিনে অবতরণের নির্ধারিত সময় ছিল রোববার দুপুর ১টা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই উড়োজাহাজটি দ্রুতগতিতে অবরতণ করে। এটি নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হলেও এর ১২ যাত্রী আহত হন। এদের মধ্যে ৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, কাতার এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি জানিয়েছে, কয়েকজন যাত্রী ও ক্রু সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার পর অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

এ ঘটনার মাত্র ৫ দিন আগে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট সিঙ্গাপুর থেকে লন্ডনে জরুরি অবতরণ করে। এসময় ঝাঁকুনিতে এক ব্রিটিশ নাগরিক হার্ট অ্যাটাকে মার যান এবং বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন।

;

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভোট দিলেন ভারতের বিচারপতি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণের রাফাহ অঞ্চলে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। বিচারকের প্যানেল ১৩-২ ভোটের ভিত্তিতে এই রায় প্রণয়ন করেছেন। সেখানে ভারতীয় বিচারপতি দলবীর ভান্ডারি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।

সোমবার (২৭ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধে সাড়া দিয়ে শুক্রবার (২৪ মে) ইসরাইলকে রাফায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

আইসিজের ১৫ জন বিচারকের প্যানেলের ১৩ জন বিচারপতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। শুধু উগান্ডা ও ইসরারয়লের বিচারক এ রায়ের বিরোধিতা করেছেন। পক্ষে ভোট দেয়াদের মধ্যে একজন হলেন ভারতীয় বিচারপতি দলবীর ভান্ডারি।

বিচারপতি ভান্ডারি ২০১২ সাল থেকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০২২ সালে ইউক্রেনে সেনা অভিযান নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন ভান্ডারি।

আইসিজে-র রায় পড়ে শোনানোর সময় সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালাম বলেছেন, আদালত ইসরায়েলকে গাজায় হামলা বন্ধের জন্য পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনি উপত্যকার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে জরুরি আদেশ দেয়া আবশ্যক হয়ে পড়েছে।

আদালত গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য মিশর ও গাজার মধ্যে রাফাহ ক্রসিং খুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলকে।

এছাড়া আদালত বলেছেন, তদন্তকারীদের অবরুদ্ধ উপত্যকায় প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে এবং এক মাসের মধ্যে এর অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট দিতে হবে।

;

গাছের জন্য প্রার্থনা করে ইরানে শিল্পী আটক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইনস্টাগ্রামে প্রার্থনারত একটি ছবি পোস্ট করে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন ইরানের এক শিল্পী।

সোমবার (২৭ মে) ইরান ইন্টারন্যাশল নিউজ নামে এক নিউজপোর্টাল এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।

ইনস্টাগ্রামের পোস্টের ওই ছবিতে দেখা যায়, কামিয়ার বামদাদ নামে এক শিল্পী হাত তুলে একটি মঞ্চের ওপর প্রার্থনার ভঙ্গিতে বসে আছেন। তিনি তার পোস্টে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে লেখেন- আমি মনে করি, গাছের কোনো ক্ষতি হয়নি।

ইনস্টাগ্রামের ওই পোস্ট চোখে পড়ার পর পরই ইরানের পুলিশ তাকে আটক করে।

দাদবান প্রো-বোনো নামে আইনজীবীদের মানবাধিকারবিষয়ক একটি গ্রুপ জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্গম জঙ্গলের একটি পাহাড়ে ১৯ মে বিধ্বস্ত হয়। এটিকেই ইঙ্গিত করেই শিল্পী কামিয়ার বামদাদ এ ব্যাঙ্গাত্মক ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন।

;