ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভোট দিলেন ভারতের বিচারপতি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণের রাফাহ অঞ্চলে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। বিচারকের প্যানেল ১৩-২ ভোটের ভিত্তিতে এই রায় প্রণয়ন করেছেন। সেখানে ভারতীয় বিচারপতি দলবীর ভান্ডারি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।

সোমবার (২৭ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধে সাড়া দিয়ে শুক্রবার (২৪ মে) ইসরাইলকে রাফায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

আইসিজের ১৫ জন বিচারকের প্যানেলের ১৩ জন বিচারপতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। শুধু উগান্ডা ও ইসরারয়লের বিচারক এ রায়ের বিরোধিতা করেছেন। পক্ষে ভোট দেয়াদের মধ্যে একজন হলেন ভারতীয় বিচারপতি দলবীর ভান্ডারি।

বিচারপতি ভান্ডারি ২০১২ সাল থেকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০২২ সালে ইউক্রেনে সেনা অভিযান নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন ভান্ডারি।

আইসিজে-র রায় পড়ে শোনানোর সময় সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালাম বলেছেন, আদালত ইসরায়েলকে গাজায় হামলা বন্ধের জন্য পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনি উপত্যকার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে জরুরি আদেশ দেয়া আবশ্যক হয়ে পড়েছে।

আদালত গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য মিশর ও গাজার মধ্যে রাফাহ ক্রসিং খুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলকে।

এছাড়া আদালত বলেছেন, তদন্তকারীদের অবরুদ্ধ উপত্যকায় প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে এবং এক মাসের মধ্যে এর অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট দিতে হবে।

   

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরেই বিস্ফোরণ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর কোরিয়া বুধবার (২৬ জুন) তার পূর্ব উপকূলে একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।

রয়টার্স জানিয়েছে, কিন্তু উত্তর কোরিয়ার ওই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মধ্য আকাশে বিস্ফোরিত হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেন, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছেই কোনো স্থান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় এবং ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে উড়েছিল।

দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই বিষয়ে ফোনালাপ করেছেন।

তারা এই উৎক্ষেপণকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবের লঙ্ঘন এবং এই অঞ্চল এবং এর বাইরের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসাবে নিন্দা করেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার মেরিন কর্পস জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে সিউল একটি আন্তঃকোরিয়ান সামরিক চুক্তি বাতিল করার পর তাদের সেনারা প্রথমবারের মতো উত্তরের সাথে সামুদ্রিক সীমান্তের কাছে গুলি চালানোর মহড়া করেছে। জুনের শুরুতে এই মহড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের নিন্দা করে পিয়ংইয়ংকে বেআইনি ও অস্থিতিশীল কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড।

মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই ঘটনাটি এই অঞ্চলে মার্কিন কর্মীদের বা আমাদের মিত্রদের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকির সৃষ্টি করে না। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছি।’

এর আগে উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ হয়েছিল গত ৩০ মে।

অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় মার্কিন বিমানবাহী রণতরী মোতায়েনের সমালোচনা করেছে উত্তর কোরিয়া ।

;

সন্ত্রাস দমনে গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযান চালাবে পাকিস্তান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সন্ত্রাস দমনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে পাকিস্তান। আর পার্লামেন্টে আলোচনা না করেই সন্ত্রাস দমনে সেই নতুন নীতির ঘোষণা করে বিতর্কে জড়িয়েছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সরকার।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এর আগে শাহবাজের সরকার জানিয়েছিল পাকিস্তানে সন্ত্রাস দমনের জন্য ‘আজম-ই-ইস্তেকাম’ নামে একটি বিশেষ অভিযান চালানো হবে।

এরপরই ওই বিশেষ অভিযানের সমালোচনায় সরব হয় বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ হলো, আসলে বালুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সেনা নামিয়ে দমন পীড়নের উদ্দেশ্যেই পাকিস্তান সরকার এই কৌশল বেছে নিয়েছে।

তবে বিরোধীদের সেই অভিযোগ উড়িয়ে এবার পাকিস্তান সরকার কীভাবে সন্ত্রাস দমনে অভিযান চালাবে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ।

সন্ত্রাস দমনের নতুন নীতির কথা স্পষ্ট করে শাহবাজ জানিয়েছেন, এই অভিযান কোনো সামরিক অভিযান নয়, বরং এটি হবে গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযান। এই গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযানই এবার সন্ত্রাসবাদের মূল উৎপাটন করবে।

ফলে সেনা অভিযানের যে অভিযোগ বিরোধীরা তুলেছিলেন, সেই অভিযোগ কার্যত খারিজ হয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বালুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে প্রায়ই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। তাই সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার জন্য শাহবাজের সরকার গত সোমবার ওই অপারেশনের কথা ঘোষণা করেছিল।

তারপরেই তুমুল প্রতিক্রিয়া জানায় বিরোধীরা। তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয় যে ‘আজম-ই-ইস্তেকাম’ অভিযান নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।

এদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের দুটি প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া ও বালুচিস্তানে এই অভিযান চালানো হবে।

এই অভিযান আগের অভিযানগুলোর থেকে অনেকটাই আলাদা। এই অভিযানের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। এর একমাত্র উদ্দেশ্য হলো সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা।

এছাড়াও অভিযোগ উঠেছিল যে, চীনের নির্দেশেই এই অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তান। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেই অভিযোগ উড়িয়ে বলেছেন, চীন বা অন্য কারো নির্দেশে এই অভিযান চালানো হচ্ছে না।

তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, এই অভিযানের সময় কোনো প্রাণহানি বা দমন পীড়নের ঘটনা ঘটবে না।

;

মুক্ত জীবনে অ্যাসাঞ্জ, পৌঁছেছেন জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ায়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তির পর উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছেন।

তাকে বহনকারী চার্টার্ড বিমানটি বুধবার (২৬ জুন) দেশটির রাজধানী ক্যানবেরায় পৌঁছায়। খবর বিবিসি। 

অ্যাসাঞ্জকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে আসেন তার স্ত্রী স্টেলা অ্যাসাঞ্জ এবং তার বাবা জন শিপটন।

এর আগে মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের দোষ স্বীকারের পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চল নর্দান মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের একটি আদালত মুক্ত ঘোষণা করেছেন।

এর মাধ্যমে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ দীর্ঘ ১২ বছর পর মুক্ত জীবনে ফিরেছেন। গত ৫ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের একটি কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। এর আগের ৭ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে অবস্থান করেছেন তিনি।

;

পর্যাপ্ত শরীরচর্চা করেন না বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের মোট প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ পর্যাপ্ত শরীরচর্চা করছেন না, যা সারাবিশ্বে স্বাস্থ্যের জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সংস্থাটির বুধবার (২৬ জুন) প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২২ সালে সুপারিশকৃত ১.৮ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে ৩১ শতাংশেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক লোক পর্যাপ্ত পরিমাণে শারীরিক ব্যায়াম করেননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য গবেষকদের একটি সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

ডব্লিউএইচও’র স্বাস্থ্য প্রচার বিভাগের পরিচালক রুডিগার ক্রেচ বলেছেন, ‘শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বিশ্বস্বাস্থ্যের জন্য একটি নীরব হুমকি, যা রোগ বিস্তারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।’

তিনি একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত বিশ্ব সঠিক পথে হাঁটছে না।

সুস্থ থাকার জন্য ডব্লিউএইচও সুপারিশ করেছে যে, সকল প্রাপ্তবয়স্কদের উচিত প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি-তীব্র শারীরিক ব্যায়াম করা-যার মধ্যে হাঁটা, সাইকেল চালানো বা এমনকি ঘরের কাজও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

ক্রেচ বলেন, পর্যাপ্ত ব্যায়াম না করা মানুষের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথের গবেষণা অনুসারে, যদি বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তবে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের নিষ্ক্রিয়তার মাত্রা ৩৫ শতাংশে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যা এই দশকের শেষ নাগাদ শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার ১৫ শতাংশ হ্রাস করার ডব্লিউএইচও-এর লক্ষ্য থেকে অনেক কম হবে।

ডব্লিউএইচও’র ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি ইউনিটের প্রধান ফিওনা বুল বলেন, ‘গবেষণাটি ছিল একটি সতর্কবার্তা যে, যা আমরা করছি তা যথেষ্ট নয়।’

গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরচর্চায় ২৯ শতাংশ পুরুষ নিধারিত সীমায় পৌঁছান না। সেই তুলনায় বিশ্বব্যাপী নারীদের এই হার প্রায় ৩৪ শতাংশ।

ফিওনা বুল বলেন, সামগ্রিকভাবে কার্যকলাপের হার হ্রাসের জন্য একাধিক কারণ’ রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কম হাঁটা, কম্পিউটারে বেশি কাজ করা এবং সাধারণত স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে অবসর সময় কাটানো।

ক্রেচ স্মরণ করিয়ে দেন, খেলা দেখা শারীরিকভাবে সক্রিয় হওয়ার সমাধান নয়।

তিনি বলেন, ‘শুধু চেয়ারে বসে থাকবেন না, উঠুন এবং প্রতিটি পদক্ষেপ গণনা করে সক্রিয় হোন।’

ডব্লিউএইচও জোর দিয়ে বলেছে, ব্যক্তিগত আচরণ পরিবর্তন করা যথেষ্ট নয়। তাই দেশগুলোকে সামাজিক খেলাধুলার পাশাপাশি হাঁটা, সাইকেল চালানো এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে উন্নত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

;