আছে আরেকটি মহাবিশ্ব, যেখানে সময় চলছে উল্টো দিকে!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
এ বেলুনে গবেষণা করেন নাসার বিজ্ঞানীরা, ছবি: সংগৃহীত

এ বেলুনে গবেষণা করেন নাসার বিজ্ঞানীরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের এ মহাবিশ্বের সমান্তরাল আরেকটি মহাবিশ্ব রয়েছে। যেখানে সময় চলছে উল্টো স্রোতে, অর্থাৎ সেখানকার সময় অতীতের দিকে ধাবমান। সিনেমা বা টেলিভিশন সিরিজে সায়েন্স ফিকশনে এমন দৃশ্যতো হরহামেশাই দেখি। কিন্তু এখন আর এটি সিরিজ বা সিনেমায় আটকে নেই। এমন দাবিই করেছেন ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (নাসা) একদল বিজ্ঞানী। তাদের দাবি, আমাদের এ মহাবিশ্বের মতো আরেকটি মহাবিশ্ব রয়েছে বলে প্রমাণও পেয়েছেন তারা, যেখনে সময় চলে পেছনের দিকে।

একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৫৯ সালে শুরু হওয়া আমেরিকান টিভি সিরিয়াল ‘দ্য টোয়ালাইট জোন’ এর একটি দৃশ্যে যেমন আরেকটি মহাবিশ্ব থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়, তেমন ধারণা থেকে নাসার একদল বিজ্ঞানী অ্যান্টার্কটিকায় একটি গবেষণা করছেন, যাতে তারা এমন এক সমান্তরাল মহাবিশ্ব থাকার ব্যাপারে প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন, যেখানে পদার্থবিদ্যার নিয়মগুলো আমাদের মহাবিশ্বের বিপরীতে চলছে।

টেলিভিশনে বিভিন্ন কমিক্স ও সায়েন্স ফিকশন দেখে ১৯৬০ এর দশকের শুরুর দিকে দর্শকদের মধ্যে একই রকম আরেকটি মহাবিশ্বের ধারণা জন্মায়। কিন্তু এখন একটি মহাজাগতিক রশ্মি শনাক্তকরণ পরীক্ষায় এমন ক্ষুদ্র কণা পাওয়া গেছে, যা হয়তো একই রকম আরেকটি জগতের। যে কণার জন্ম বিগ ব্যাংয়ের (বিজ্ঞানীদের মতে, এক মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে এ মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে, যাকে বিগ ব্যাং বলা হয়) মাধ্যমেই। এমন খবরই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ডেইলি স্টার।

বিশেষজ্ঞরা নাসার অ্যান্টার্কটিক ইমপালসিভ ট্রান্সিয়েন্ট অ্যান্টেনা বা এএনআইটিএ বিশাল একটি বেলুনে করে অ্যান্টার্কটিকার উপরে গবেষণা চালান। সেখানে রেডিও (বেতারবার্তা) কোলাহলমুক্ত শুকনো হিমশীতল বায়ু থাকায় গবেষণার ফলাফল বিকৃত হয়নি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, অবিরাম বাতাসে পৃথিবীর বাইরের কোনো স্থান থেকে ক্রমাগত উচ্চ শক্তির কণা পৃথিবীতে আসে।

দুর্বল শক্তির প্রায় শূন্য ভরের ক্ষুদ্র পারমাণবিক কণা নিউট্রিনো সম্পূর্ণরূপে পৃথিবীর উপর দিয়ে যেতে পারে, তবে উচ্চ-শক্তিযুক্ত বস্তুকণা আমাদের গ্রহের শক্ত পদার্থে আটকে যায়, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।এর অর্থ হলো উচ্চ শক্তির কণাগুলোই কেবল মহাকাশ থেকে নিচে এলে শনাক্ত করা যায়। কিন্তু গবেষক দলটি বলছে, অন্য কোথাও থেকে পৃথিবীতে আসা তথাকথিত টাউ নিউট্রিনো কণা শনাক্ত করেছেন তারা। যা তুলনামূলকভাবে ভারী ও কম শক্তির কণা।

ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর মানে দাঁড়ায়, টাউ নিউট্রিনো কণাগুলো আসলে সময়ের সাথে পেছনের দিকে ভ্রমণ করছে, যা একটি সমান্তরাল মহাবিশ্বের প্রমাণ দেয়।

হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষামূলক কণার পদার্থবিদ অধ্যক্ষ এএনআইটিএ তদন্তকারী পিটার গোরহাম বলছেন, টাউ নিউট্রিনো শুধুমাত্র যে আচরণটি করতে পারে, তা হলো এটি পৃথিবীর উপর দিয়ে যাওয়ার আগে কোনো ভিন্ন ধরনের কণায় পরিবর্তিত হয় এবং আবার ফিরে যায়।

অদ্ভুত ঘটনাটি বর্ণনা করে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাপত্রের শীর্ষস্থানীয় লেখক গোরহাম আরো উল্লেখ করেছেন যে তিনি এবং তার সহগবেষকরা এমন কয়েকটি ‘অসম্ভব ঘটনা’ দেখেছেন, যা নিয়ে তাদের সংশয় রয়েছে।

তিনি নতুন বিজ্ঞানীদের বলেছেন, সবাই এ হাইপোথিসিস নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। (হাইপোথিসিস হচ্ছে এমন একটি বিষয়, যা সম্পূর্ণ প্রমাণিত না হলেও এর এমন কিছু তথ্য আছে, যার ভিত্তিতে বিষয়টিকে সত্য বলে ধরা হয়।)

এ ঘটনার সহজ ব্যাখ্যাটি হলো ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে বিগ ব্যাংয়ের মুহূর্তে দু’টি মহাবিশ্ব তৈরি হয়েছিল, একটি আমাদের এবং অন্যটি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী সময়ের সাথে সাথে পেছনের দিকে চলছে।

এ গবেষণায় অংশ নেওয়া ইব্রাহিম সাফা বলেন, আমরা সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ বা সবচেয়ে বিরক্তিকর সম্ভাবনাগুলো নিয়ে ফিরে (অ্যান্টার্কটিকা থেকে) এসেছি।

   

নিরস্ত্র ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা, বুলডোজার দিয়ে বালুচাপা দিল ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরস্ত্র ২ জন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যার পর সামরিক বুলডোজার দিয়ে মরদেহ বালুচাপা দিয়েছেন ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি সৈকতে এ ঘটনা ঘটে।

সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরায় প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সৈকতে ২ জন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি হাঁটছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর তাদের একজনকে বারবার সাদা কাপড়ের টুকরো নাড়তে দেখা যায়। কিন্তু কোনো হুমকি সৃষ্টি না করলেও ইসরায়েলি সেনারা গুলি করে তাদের হত্যা করে। পরে গাজা শহরের কাছে সামরিক বুলডোজার দিয়ে মরদেহ দুটি বালুচাপা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি বলেছে, এটা ইসরায়েলি বাহিনীর ফ্যাসিবাদ, অপরাধের মাত্রার আরও একটি প্রমাণ যা জায়নবাদী আচরণকে পরিচালিত করে।

 

;

ইসরাইলের হামলায় লেবাননে হিজবুল্লাহ নেতাসহ নিহত ৮



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলের হামলায় হিজবুল্লাহ বাহিনীর নেতাসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) দেশটির নিরাপত্তা সূত্র সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সকে এ তথ্য জানায়।

নিরাপত্তা সূত্র এবং লেবাননের সরকারি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, সীমান্তবর্তী গ্রাম তাইর হারফায় হামলায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পরেই সীমান্ত শহর নাকুরায় একটি রেস্তোরাঁয় হামলায় অন্তত আরও তিনজন নিহত হন।

ইরানসমর্থিত হিজবুল্লাহ বলেছে, একদিন আগে দক্ষিণ লেবাননের হেব্বারিয়েহ গ্রামে ইসরাইলি আকাশ পথের হামলার পাল্টা হামলা হিসেবে বুধবার ভোরে উত্তর ইসরাইলের কিরিয়াত শমোনা সীমান্তে তারা কয়েক ডজন রকেট ছুড়েছে।

ইসরাইলের জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, কিরিয়াত শমোনায় হিজবুল্লাহর রকেটের আঘাতে কারখানার এক কর্মী নিহত হয়েছেন। রকেট হামলার আগে এলাকাটিতে সতর্ক করে সাইরেন বাজানো হলেও প্রাণহানি এড়ানো যায়নি।

কিরিয়াত শমোনায় হিজবুল্লাহর হামলার পর ইসরাইল ফের দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর কথিত লক্ষ্যস্থলগুলোতে হামলা চালায়।

গত বছরের অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ পরস্পরের দিকে গোলাবর্ষণ করে আসছে।

 

;

গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে: জাতিসংঘের সতর্কতা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েল হামাস যুদ্ধে কয়েক মাস সতর্কতার পর সম্প্রতি পরিসংখ্যানগত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় মানবিক বিপর্যয় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে পরিণত হচ্ছে।

এ প্রতিবেদন ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য তাদের প্রতি আইনী দায়িত্ব পালনের জন্য ইসরায়েলের উপর চাপ আরও বাড়িয়েছে। এটি গাজায় যাদের প্রয়োজন মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন তাদের জন্য পর্যাপ্ত সরবরাহের জন্য অনুমতি দিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বিবিসি-র এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ইসরায়েল উল্লেখযোগ্য দোষ করেছে। এর একটা প্রমাণযোগ্য ঘটনা হলো ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে অনাহারকে ব্যবহার।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের এ অভিপ্রায় প্রমাণিত হলে তা হবে যুদ্ধাপরাধ।

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির একজন  জেষ্ঠ্য রাজনীতিবিদ ও ইসরায়েলের অর্থনীতি মন্ত্রী নির বারকাত জাতিসংঘের এ সতর্কবার্তাকে ‘অর্থহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন জিনিস’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

বারকাত জোর দিয়ে বলেন, গাজায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি বিশ্বের সমস্ত সহায়তা দিতে দিচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের দাবি হামাস সহায়তা না করায় ত্রাণ বিতরণে জাতিসংঘকে করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তবে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়ম, গাজা উপত্যকায় পাঠানো প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী বোঝাই লরিগুলোর দীর্ঘ লাইন রাফাহ সীমান্তের মিশরীয় দিকে নিদারুণভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জটিল ও আমলাতান্ত্রিক ধারাবাহিক তল্লাশির পরই তারা কেবল ইসরায়েলের মধ্য দিয়ে গাজায় প্রবেশ করতে পারে।

স্থলপথে পর্যাপ্ত সরবরাহ না করতে পেরে জর্ডান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য সহায়তাকারী দেশগুলোকে আকাশপথে ত্রাণ সহায়তা পাঠাচ্ছে।

বিমান থেকে প্যারাসুটে পাঠানো ত্রাণসহায়তা নিতে স্থলভাগে থাকা ফিলিস্তিনিরা ভিড় করছেন। এমনকি সাগরে পড়া খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেকে মারাও যাচ্ছেন।

মার্কিন নৌবাহিনী সমুদ্রপথে স্থল সাহায্যের জন্য একটি অস্থায়ী পিয়ার তৈরি করতে আটলান্টিক জুড়ে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্লোটিলাও পাঠাচ্ছে।

ইসরায়েল যদি গাজায় সম্পূর্ণ রাস্তার প্রবেশাধিকার দেয় এবং গাজা স্ট্রিপের উত্তরে প্রায় আধা ঘণ্টার পথের দূরত্বে আশদোদের আধুনিক কনটেইনার বন্দরের মাধ্যমে ত্রাণ সরবরাহ ত্বরান্বিত করে তবে আকাশপথ ও জলপথে সহায়তা পাঠানোর প্রয়োজন হবে না।

জেনেভায় এক সাক্ষাত্কারে তুর্ক বলেছেন, ইসরায়েল সাহায্য সরবরাহের গতি কমিয়ে দিচ্ছে বা আটকে রেখেছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বেসামরিক ও সৈন্যদের ওপর হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়ে তুর্ক বলেন, যুদ্ধে কোনও পক্ষই গাজায় প্রয়োজন এমন লোকদের কাছ থেকে সাহায্য সরবরাহ বন্ধ করার যে কোনও প্রচেষ্টা সহ তার ক্রিয়াকলাপের জন্য জবাবদিহিতা এড়াবে না।

তিনি বলেন, আমার সমস্ত মানবিক সহকর্মীরা বলেছেন গাজা সহায়তায় অনেক বাধা রয়েছে। যা ইসরায়েলকে উল্লেখযোগ্য উপায়ে দোষ দেওয়া হচ্ছে।
গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে গত সপ্তাহে মানচিত্র, চার্ট এবং পরিসংখ্যানের পাশাপাশি স্বচ্ছ লিখিত মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ইসরায়েলের মিত্ররা আরও সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, এটি উচ্চ বিস্ফোরক বা ক্ষুধা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পদ্ধতি পরিবর্তন করা উচিত।

অধ্যয়নটি একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক, ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ শ্রেনি বিভাগের সর্বশেষ প্রতিবেদন, যা আইপিসি নামে পরিচিত। এটি সরকার, জাতিসংঘ এবং সাহায্য সংস্থাগুলিকে ক্ষুধার মাত্রা পরিমাপের জন্য অরাজনৈতিক তথ্য সরবরাহ করে। প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল - ‘গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন। ১.১ মিলিয়ন মানুষ বিপর্যয়কর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছে।’

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি না হলে এবং ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছালে আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে যে কোনো সময় দুর্ভিক্ষ কীভাবে আসতে পারে তা এর তথ্য ব্যাখ্যা করেছে।

বিবিসির সাংবাদিক গাজার একটি হাসপাতালে এক তরুনীকে বিছানায় অর্ধ-সচেতন অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখে। নুরা মোহাম্মদ নামের মেয়েটির ফুসফুস এবং লিভারের ফাইব্রোসিস রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কয়েক মাস অনাহারে থাকা এবং সঠিক চিকিৎসা সেবা না পেয়ে তার অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে।

নুরা মোহাম্মদ গাজার একটি হাসপাতালে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছেন না

নুরা মোহাম্মদের মা বলেন, আমার মেয়ে নড়াচড়া করতে পারে না। সে অ্যানিমিক, সবসময় ঘুমায় এবং তাকে খাওনোর মতো পুষ্টিকর কিছুই নেই। নুরা হাসপাতালে পৌঁছাতে পারলেও এক মিলিয়নেরও বেশি গাজাবাসীর বেশিরভাগেরই কোনো বিকল্প নেই।

বিবিসি জানায়, গাজার মানবিক বিপর্যয়ের প্রমাণ অপ্রতিরোধ্য। হাসপাতাল থেকে তোলা ছবিগুলোতে ফোলা জয়েন্ট, ক্ষয়প্রাপ্ত অঙ্গ এবং ডার্মাটাইটিসসহ শিশুদের তীব্র অপুষ্টির সমস্ত ক্লাসিক লক্ষণ দেখা গেছে।

এদিকে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উপেক্ষা করেছে ইসরাইল। ইসরায়েলের অর্থনীতি মন্ত্রী নীর বারকাত বলেছেন, ইসরায়েলের যুদ্ধের লক্ষ্য হামাসকে ধ্বংস করা এবং ৭ অক্টোবর জিম্মিদের মুক্ত করার পথে কোনো কিছুই বাধাগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মিত্ররা ইসরায়েলের কৌশলগত লক্ষ্যকে সমর্থন করেছে। আমরা মন্দের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, এবং আমরা হামাসকে মানচিত্র থেকে শেষ না করা পর্যন্ত বিশ্ব আমাদের মন্দের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে বলে আশা করছি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার তুর্ক ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনার একটি সংক্ষিপ্ত জবাব দিয়েছেন।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র আমি তাদের বলতে পারি যে একটি উদীয়মান আন্তর্জাতিক ঐকমত্য রয়েছে। মানবিক পরিস্থিতির বিষয়ে এই সপ্তাহের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে এটি এখন স্পষ্ট হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গাজায় মানবাধিকার পরিস্থিতি এতটাই মর্মান্তিক যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। এটাই আমার প্রতিক্রিয়া।

;

লোহিত সাগরে ইয়েমেনের চারটি ড্রোন ধ্বংস: যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্য করে ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতি বাহিনীর পাঠানো চারটি ড্রোন ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।

বুধবার (২৭ মার্চ) ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড এক্স-এ এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের বাহিনী সানা সময় রাত ২টার (২৩০০জিএমটি) দিকে চারটি দূরপাল্লার ড্রোন ধ্বংস করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বা জোট বাহিনীর জাহাজে কোনো আঘাত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, অস্ত্রগুলো এই অঞ্চলে বাণিজ্য জাহাজ এবং মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলোর জন্য একটি আসন্ন হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, এই পদক্ষেপগুলো নেভিগেশনের স্বাধীনতা রক্ষা করতে এবং মার্কিন নৌবাহিনী এবং বাণিজ্য জাহাজগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক জলসীমাকে আরও নিরাপদ এবং আরও সুরক্ষিত করার জন্য নেওয়া হয়।

 

;