তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশে বাধা কোথায়?



কাওসার আহমেদ
তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

  • Font increase
  • Font Decrease

 

তুরস্ক,ইজমির থেকে: তুরস্কের ভৌগলিক অবস্থান ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশে। ইউরোপীয়ান নেইবারহুড এনলারজমেন্ট পলিসি বা নীতির   ভিত্তিতে দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে কোন বাধা বা অন্তরায় নেই। তাছাড়া তুরস্ক কাউন্সিল অফ ইউরোপ, ইউরোপীয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইট্‌স, ন্যাটো ও জি২০ এর সদস্য পদ লাভ করেছে। 

কয়েক দশক ধরে তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নে ঢোকার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।নানা কারণে থেমে আছে তাদের ইইউ সদস্য পদ অর্জন। সেই ১৯৮৭ সালে ইউরোপীয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি যা আজকের ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন তার সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করে ছিল তারা।কিন্তু ইউরোপীয়ান কমিশন আবেদনটি খারিজ করেছিল এইমর্মে যে খুব শীঘ্রই আলোচনার ধাঁর খুলছেনা।কিন্তু ইউরোপীয়ান কমিশন আবেদনটি খারিজ করেছিল তার কারণ -খুব শীঘ্রই আলোচনার ধাঁর খুলছেনা।কারণ হিসাবে উল্লেখ করে তুরস্কের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নাজুক পরিস্থিতি,গ্রীসের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক এবং সাইপ্রাসের সাথে দন্ধের যু‌ক্তি দেখা‌নো।এরপর আরও বহু পদক্ষেপ নিয়েও সফলতার মুখ দেখতে পায়নি তুরস্ক। 

অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ২০০৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্কের সাথে আলোচনা করতে সম্মত হয় ও ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর আলোচনা শুরু করে। কয়েক দফা আলোচনার পর অ‌নেকটা ইতিবাচক দিকেই আগাচ্ছিল। ২০১৩ সালে ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের স্রোত নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তুরস্কের তখনকার প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলুর সঙ্গে আঙ্কারায় বৈঠক করেন এঞ্জেলা ম্যার্কেল৷ ম্যার্কেল তুরস্কের ইইউ সদস্য হওয়ার দাবিকে সমর্থন করার আশ্বাস দেন৷ এছাড়া ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠকে দাভুতোগলু যে দু’টি বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, সেগুলো ইইউ বৈঠকেও আলোচিত হয়েছে৷ তুরস্কে অবস্থানরত সিরীয়দের জন্য তুর্কি সরকারকে ৩ বিলিয়ন ইউরোর অর্থ সহায়তা দেয়া এবং ইইউ অঞ্চলে তুর্কিদের ভিসা প্রাপ্তি সহজ করার সিদ্ধান্ত ইউরোপের ২৮টি দেশের জোট মোটামুটি চূড়ান্ত করেছিল(সুত্রঃস্যমন্তক ঘোষ,ডিডাব্লিউ,১০.০২.২০১৮)৷ 

ইউরোপীয়ান অনেক রাজনৈতিক নেতা বহু দিন ধ‌রে সমালোচনা করে আসছিলেন যে, আধুলিক তুরস্কের স্থপ‌তি কামাল আতাতুর্কের স্যাকুলার নীতি থেকে দেশটি সরে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি ইসলাম পন্থী নীতির দিকে ঝঁকুছে।তুরস্কের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু ক‌রে সব ক্ষেত্রে ইসলামীকরণ করছে।  

এরপর ২০১৬ সালে এক দল বিপথগামী সেনা অফিসারের ব্যর্থ ক্যু চেষ্টার পর তুরস্কে দেড় লাখ মানুষকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ও ৪০ হাজার জন‌কে জেলে ঢোকা‌নো হয়েছে – তাদের মধ্যে বহু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ছাত্র, সাংবাদিক, লেখক ও আন্দোলনকারী ছি‌লেন। তখন গোটা ইউরোপ জুড়ে তুরস্কের মানবাধিকারের জন্য নিন্দার ঝড় উঠে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তায়্যিপ এরদোয়ান সকল সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে বলেন এরাসবাই ব্যর্থ ক্যু সাথে জড়িত। 

তুরস্কের সংবিধানে প্রেসিডেন্টসিয়াল পদ্ধতি প্রবর্তনে গণভোট আয়োজনের প্রাক্কালে আবার তীব্রও সমালোচনার মুখোমুখি হন এরদোয়ান। তাঁকে অনেকেই ডিক্টেটর বা নতুন সুলতান বলেও সমালোচনা করেন।তবে সিএনএনকে তিনি জানিয়েছেন, গণভোট তাঁকে ‘ডিক্টেটর’ বানাচ্ছে না৷ বরং নতুন ব্যবস্থার জন্য নয়, তুরস্কের মঙ্গলের জন্যই৷ইইউর মধ্যেই ফ্রান্সে প্রেসিডেন্টসিয়াল পদ্ধতি রয়েছে। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/30/1535628387498.jpg   

২০১৬ সা‌লের ২৪ নভেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট তুরস্কে মানবাধিকার ও আইনের শাসনের উপর উদ্বেগ প্রকাশ করে ইইউতে প্রবেশের আলোচনা স্থগিতের জন্য সিংহভাগ সাংসদরা ভোট প্রধান করে।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ইইউ নীতি নির্ধারকদের কঠোর সমালোচনা করে বলেন” ইইউ আমাদের চায় না, কারণ আমারা মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ। আমরা এটি জানতাম কিন্তু আমরা আমাদের আন্তরিকতা প্রদর্শন করার চেষ্টা করেছিলাম”(সুত্রঃ রাশা টুডে, ২৩ জুন,২০১৬-১৩:৪৭)।৫৪ বছর ধরে আমাদের অপেক্ষায় রেখেছেন, "আপনারা যদি সৎ হন, তাহলে আপনাদের বক্তব্য পরিষ্কার করুন।আমরা এটা বন্ধ করে দেব, আমাদের আর ইইউর দরকার নেই” (সুত্রঃ হুররিয়াতডেইলি নিউজ,১৩ অক্টোবর ২০১৭-১১:৩৪:০০)।

ইউরোপীয় আইন বিশেষজ্ঞ ড. হাজী জান, প্রফেসর ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডিপার্টমেন্ট অফ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ‘ল’, ডকুজ এইলুল ইউনিভার্সিটি, ইজমির,তুরস্ক। তিনি বলেন “ তুরস্ক মুসলিম রাষ্ট্র এটা তো আছেই তবে, এটা কোন মুখ্য বিষয় নয়, আসল কারণ তুরস্কের জনসংখ্যা ইউরোপের তুলনায় অনেক বেশি ও এখানে বেকারত্বের হারও অনেক এই মুহূর্তে তুরস্ক যদি ইইউর সদস্য হয় তাহলে এদের কর্মসংস্থানের জন্য ইইউ একটা সংকটের মুখোমুখি হবে।তাই এ বিষয় গুলোতে আগে নিজেদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে“।

একরোখা ও কর্তত্বপরায়ণ আচরণের জন্য এরদোয়ান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচিত চরিত্র হলেও নিজের দেশের জনগণের মধ্যে তাঁর সমর্থন বেড়েই চলেছে৷ গণভোটে জয়, শেষ জাতীয় নির্বাচনে তাঁর ও তাঁর  দলের ল্যান্ড স্লাইড ভিক্টরি।এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছিল কার্যত জনগণ প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান পাশে থাকায়৷ 

সাম্প্রতিক জাতীয় নির্বাচনে জয়ের পর এরদোয়ান আবারও সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছেন।ইতালির প্রধান মন্ত্রীর সাথে বৈঠক পর ইইউতে প্রবেশের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেন।বিশ্লেষকরা মনে করছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের আমন্ত্রণে জার্মানিতে গেলে এবিষয়ে কথা উটতে পারে।তবে আলোচনা যাইহউক না কেন তুরস্ক খুব শীঘ্রই ইইউ সদস্য হতে পারছেনা বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।  

   

হামাসের কৌশলের কাছে ব্যর্থ হচ্ছে ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, আট মাসের যুদ্ধের পরও হামাসের সক্ষমতা অক্ষত রয়েছে। সর্বশেষ শনিবার (২৫ মে) দখলদার বাহিনীর ওপর ভয়াবহ হামলা চালিয়ে বহু সেনাকে হত্যা ও বন্দি করার দাবি করেছে গাজা শাসনকারী সংগঠনটি।

দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের অধ্যাপক মোহাম্মদ এলমাসরি যুক্তরাষ্ট্রের পলিটিকো গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, হামাসের ৭০ শতাংশ যোদ্ধা গাজা যুদ্ধে অক্ষত রয়েছেন। এ ছাড়া হামাস হাজার হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের বিস্তৃত টানেল নেটওয়ার্কও অনেকাংশে অক্ষত রয়েছে।

এলমাসরি বলেন, এমনও খবর পাওয়া গেছে, হামাস অবিস্ফোরিত ইসরায়েলি বোমা পুনরায় ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে। তাই ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর আর অস্ত্র সরবরাহের সমস্যা নেই।

এ রকম পরিস্থিতিতে হামাস বলেছে, তাদের যোদ্ধারা শনিবার গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদের ধরে নিয়ে এসেছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেছেন, উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে লড়াইয়ের সময় তাদের যোদ্ধারা টানেলের ভেতরে ইসরায়েলি বাহিনীর সদস্যদের হত্যা, আহত বা বন্দি করেছে।

তিনি কতজনকে অপহরণ করা হয়েছে, তা বলেননি। তবে জানিয়েছেন, বিস্তারিত শিগগির প্রকাশ করা হবে।

কাসেম ব্রিগেড আরও বলেছে, তাদের যোদ্ধারা রবিবার তেল আবিবে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই এলাকায় ১৫টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

এদিকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংসপ্রাপ্ত অবরুদ্ধ গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করার জন্য সব কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ৭০টিরও বেশি বৈশ্বিক সংস্থা।

শনিবার ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটর এক বিবৃতিতে বলেছে, রাফায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর স্থল অভিযানের কারণে খাদ্য নিরাপত্তার মাত্রা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দির আল-বালা, খান ইউনিস এবং রাফাসহ গাজা উপত্যকার পুরো জনসংখ্যা উচ্চ মাত্রার তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হচ্ছে, যাদের অর্ধেকই দুর্ভিক্ষের পর্যায়ে রয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে উত্তর সিনাইয়ের মিসরীয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান খালেদ জায়েদ রয়টার্সকে বলেছেন, ২০০টি সাহায্য ট্রাক গতকাল কারেম আবু সালেম (কেরেম শালোম) ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভা হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির জন্য নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার কায়রোতে গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা আবার শুরু হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম।

তবে হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন আলোচনার কথা প্রত্যাখ্যান করেছে। হামাসের কর্মকর্তা ওসামা হামদান বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন আলোচনার প্রয়োজন নেই।

শনিবার আল জাজিরা আরবিকে সাক্ষাৎকারে হামদান বলেছেন, অবিলম্বে ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং সব আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। এর বাইরে নতুন আলোচনার দরকার নেই।

তিনি বলেন, হামাস এর আগে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছিল। তবে ইসরায়েল তখন তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় যাওয়ার জন্য নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করার অর্থ হলো আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলকে আরও সময় দেওয়া।

হামাস এ পর্যন্ত ১০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। তবে আরও ১২০ জনের বেশি গাজায় জিম্মি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

হামাসের হাতে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে শনিবার তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে।

এ সময় ইসরায়েলি পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবি জানায়।

ইসরায়েলি বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৫৮ জনকে হত্যা করেছে বলে উপত্যকার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এ নিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

;

পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধসে ৬৭০ জনের প্রাণহানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাপুয়া নিউগিনির একটি গ্রামে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনায় ৬৭০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ভূমিধসে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া গ্রামের আরও অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।

রোববার (২৬ মে) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসিকে হতাহতের এই পরিসংখ্যান জানিয়েছেনআন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার একজন কর্মকর্তা।

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রে সংস্থাটির মিশন প্রধান সেরহান আক্তোপ্রাক বলেছেন, নতুন আনুমানিক নিহতের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ইয়াম্বালি গ্রাম ও এনগা প্রদেশের কর্মকর্তাদের তথ্য বিবেচনায় নিয়ে।

বলা হয়েছে, গত শুক্রবারের ভূমিধসের ঘটনায় ১৫০টির বেশি বাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়েছে।

এর আগে বলা হয়েছিল ভূমিধসে ৬০টি বাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়েছে। কিন্তু বর্তমানের হিসাব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ৬৭০ জনের বেশি মানুষ এখনো মাটির নিচে রয়েছেন।

আক্তোপ্রাক বলেছেন, এখনো ভূমিধস হচ্ছে। প্রবাহিত হচ্ছে পানি। এতে সেখানে ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে।

জানা গেছে, রাজধানী পোর্ট মোর্সবি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার উত্তরের এনগা প্রদেশে মধ্যরাতে যখন ভূমিধসের ঘটনা ঘটে তখন গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন।

;

ইসরায়েলে রকেট হামলা চালাল হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস রোববার (২৬ মে) ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে। এরই মধ্যে হামলার শঙ্কায় তেল আবিবে সাইরেন বাজাতে শুরু করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ হামলার মধ্য দিয়ে চলতি মাসে এই প্রথম ইসরায়েলে কোনো হামলা চালাল হামাস।

সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ ও এবিসি নিউজের প্রতিবেদনেও এই তথ্য জানিয়েছে।

হামলার তথ্য জানাতে গিয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম বিগ্রেড থেকে বলা হয়, নিরপরাধ মানুষের ওপর ইহুদিদের হামলার জবাবে ক্ষেপণাস্ত্রসহ হামলা করা হলো। 

এনবিসি নিউজের প্রতিবেদক বলছেন, তিনি একটি রকেট আসতে দেখেছেন। আয়রন ডোম দিয়ে তা ভূপাতিত করা হয়।

হামাস আল আকসা টিভিতে বলা হয়, গাজা থেকে এই হামলা করা হয়েছে। তবে, কতটি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

;

পুতিন হিংস্র ও অত্যাচারী শাসক: বাইডেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনা করে বলেন, ‘পুতিন নিশ্চিত ছিলেন ন্যাটোতে ফাটল ধরাতে পারবেন। পুতিন এক হিংস্র ও অত্যাচারী শাসক। কিন্তু  আমরা ইউক্রেনকে ফেলে চলে যাচ্ছি না এবং চলে যাবও না।’

রোববার (২৬ মে) রুশ সংবাদমাধ্যম তাসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

ওয়েস্ট পয়েন্টে মার্কিন সামরিক একাডেমিতে স্নাতকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে জো বাইডেন বলেন, 'ইউক্রেন যুদ্ধে কোনো মার্কিন সেনা অংশ নিচ্ছে না। আমি বিষয়টাকে এরকমই রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা এমন একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি যাকে আমি বহু বছর ধরে চিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, তিনি ২০২১ সালে জেনেভায় এক বৈঠকে ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ রাখতে বা ফিনল্যান্ডের মতো করতে চাইলে এর ফল হবে সমগ্র ইউরোপ ন্যাটোতে যোগ দেবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা জোট (ন্যাটো) অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।

পুতিনের এই বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আনতোনভ। তিনি জানান, রুশ প্রেসিডেন্টকে নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য দিয়ে বাইডেন সমগ্র রুশ জাতিকে অপমান করেছেন।

'আমি বিশ্বাস করি এ ধরনের ব্যবহার যেকোনো দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদের ক্ষেত্রে অগ্রহণযোগ্য, বিশেষত সেই রাজনীতিবিদ যখন যুক্তরাষ্ট্রে মতো একটি দেশের নেতা', যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'রুঢ় বাক্যের ব্যবহার ও আমাদের প্রেসিডেন্টের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর প্রচেষ্টায় এটাই প্রমাণ হয়েছে যে রাশিয়ার ওপর রেগে আছে ওয়াশিংটন, কারণ দেশটি (যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত) তথাকথিত বৈশ্বিক নীতিমালার বিরুদ্ধাচারণ করেছে।'

রুশ কূটনীতিক আরও বলেন, 'মার্কিন প্রশাসনকে এটা অনুধাবন করতে হবে যে আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ মেনে নিরপেক্ষ ও সার্বভৌম নীতি অবলম্বন করতে থাকব।'

;