তিতাস গ্যাসের অবহেলায় মানুষ পুড়ে ছাই হয়েছে: মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম
নারায়ণগঞ্জে সরকারের ভুল পলিসি ও তিতাস গ্যাসের অবহেলার কারণে নামাজরত মুসল্লিরা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অথচ সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বক্তব্য দেয়, মসজিদ অবৈধ। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বরিশাল চাঁদমারী এমসি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বরিশাল মহানগর কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই এসব কথা বলেন।
বরিশাল নগর সহ-সভাপতি মুহাম্মদ সামসুল আলম মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মাওলানা সৈয়দ নাছির উদ্দিন আহমদ কাওছার ও নওমুসলিম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, বরিশাল মহানগর সেক্রেটারী অধ্যাপক জাকারিয়া হামিদী এবং অধ্যাপক সৈয়দ খলিলুর রহমান প্রমুখ।
সম্মেলনে মুহাম্মদ আমানুল্লাহ আমান চেয়ারম্যানকে সভাপতি এবং মাওলানা আবু আব্দুল্লাহকে সাধারণ সম্পাদক করে বরিশাল মহানগর এবং মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন রোক ডাকুয়াকে সভাপতি কন্ট্রাক্টর মুহা. ফজলুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে বরিশাল জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলনে মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশে ক্রমেই পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পরকীয়া ও অবৈধ সম্পর্কর কারণে অসংখ্য পরিবার বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। তার পরও ইসলামি তাহজিব-তামাদ্দুনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ফলে শেষ বয়সে বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয়ের সংখ্যা বেড়ে চলছে। আর এসবের একমাত্র কারণ, দ্বীনি শিক্ষার অভাব। ইসলামী মূল্যবোধ থেকে সরে যাওয়া।
তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজরা অবৈধভাবে সম্পদ উপার্জনের কারণে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে। অপরদিকে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ বিদেশে গিয়ে সীমাহীন পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠায়।
প্রচলিত অর্থ ব্যবস্থা ধনীকে আরও ধনী আর গরীবকে আরও গরিব বানায়। এভাবে বৈষম্য তৈরি করে একশ্রেণির মানুষকে অবহেলিত করছে বলেও অভিযোগ করেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।
অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, দেশে ইসলামি শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠিত না থাকায় শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষ চরম অবজ্ঞা ও অবহেলায় দিনাতিপাত করছে।
তিনি বলেন, শ্রমিককের অবহেলায় রেখে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ জন্য ইসলামি শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। ইসলামি শ্রমনীতি সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিত করেছে।