হজরত রাসূলুল্লাহ সা.-এর সামাজিক ও মানবীয় চরিত্র



মাওলানা আবদুল জাব্বার, অতিথি লেখক, ইসলাম
নবী মুহাম্মদ সা.-এর অনুসরণেই আমাদের মুক্তি নিহিত, ছবি: সংগৃহীত

নবী মুহাম্মদ সা.-এর অনুসরণেই আমাদের মুক্তি নিহিত, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হজরত স্ত্রী খাদিজা (রা.) কে হেরা পাহাড়ে ঘটে যাওয়া অহি ও জিবরাইল সংক্রান্ত ঘটনাগুলো উল্লেখপূর্বক ভয়ার্ত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি আমার জীবন সম্পর্কে আশঙ্কা করছি।’ হজর খাদিজা (রা.) সান্তনা দিয়ে বলেন, ‘আল্লাহর শপথ! তা কখনও হতে পারে না, তিনি (আল্লাহতায়ালা) আপনাকে অপদস্থ করবেন না। ১. আপনি আত্মীয়তার বন্ধন সংরক্ষণ করেন, ২. আপনি দুস্থ মানুষের বোঝা হালকা করেন, ৩. নিঃস্বদের আহার করান, ৪. অতিথিদের সেবা করেন ও ৫. সত্যের পথে নির্যাতিতদের সাহায্য করেন।’ –সহিহ বোখারি

এগুলো হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সম্পর্কে হজরত খাদিজা (রা.)-এর উক্তি। তিনি নবী করিম (সা.)-এর প্রথম স্ত্রী। উম্মতের মধ্যে প্রথম ঈমান আনয়নকারী, জগতের শ্রেষ্ঠতম চার রমণীর অন্যতম। তিনি তার সব ধনসম্পদ রাসূলের কদমে উৎসর্গ করেছেন। রাসূলের সব ছেলেমেয়ে তার গর্ভে জন্মলাভ করেন। অহি লাভের পর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অস্থিরতায় তিনি সান্তানা দিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

একজন স্ত্রীর মন্তব্য স্বামীর ব্যাপারে খুবই প্রণিধানযোগ্য। কারণ সুখে-দুঃখে, দিনে-রাতে, সকালে-বিকেলে, রাগ-বিরাগে সর্বাবস্থায় নিবিড়ভাবে স্বামীকে দেখার সুযোগ পান তিনি। আর যদি স্ত্রী হন অতীব বিচক্ষণ, সচেতন ও জ্ঞান ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন তবে তো কথাই নেই। যে মুহাম্মদকে মক্কাবাসী পূর্বেই আল আমিন বলে ঘোষণা দিয়েছে, নবুওয়তপূর্ব জীবনে বর্বতার মধ্যে সভ্য, অশ্লীতার মধ্যে পরিচ্ছন্ন, পুঁতিগন্ধময়ের মধ্যে সৌরভ, অন্ধকারের মধ্যে আলো হিসেবে দেখছেন। তারপরও সবার প্রশংসার চেয়ে খাদিজার উক্তি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

হাদিসে হজরত খাদিজা (রা.) আরও বলেছেন, ‘আপনি আত্মীয়তার বন্ধন সংরক্ষণ করেন।’ এর বাস্তবতা আমরা নবী জীবনের পরতে পরতে দেখতে পাই। এ সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনাও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। নবুওয়তের ঘোষণা দেয়ার পরও তিনি এ বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। কোরআনে কারিমেও আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে বহু আয়াত নাজিল হয়েছে।

কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যার নামে তোমরা অধিকার দাবি করো আর সতর্ক থাকো আত্মীয়তার অধিকার ও সম্পর্কের বিষয়ে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ওপর তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখেন।’ -সূরা নিসা: ০১

হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘সাবধান! রক্ত সম্পর্কের আত্মীয়তা ছিন্নকারীরা জান্নাতে যাবে না।’ –সহিহ বোখারি

আজকের সমাজে ভাইয়ে-ভাইয়ে, পিতা-পুত্রে, চাচা-জেঠাদের সঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক নেই বরং নিকটাত্মীয়রা যেন অন্যদের চেয়েও বেশি শত্রু। সামান্য কারণে ঝগড়া-বিবাদ লেগে যায় এবং তা চলতে থাকে বছরের পর বছর। এই সময়ে রক্তের সম্পর্ক রক্ষা ও আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করা সুস্থ সমাজ ব্যবস্থার জন্য জরুরি।

হজরত খাদিজা (রা.) আরও বলেন, ‘আপনাকে দেখেছি সারাজীবন দুর্বল ও বঞ্চিতদের বোঝা বহন করতে।’ অথচ বাস্তবতা হলো- সমাজের বেশিরভাগ মানুষ দুর্বল ও অবহেলিত। তারা ন্যূনতম মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারে না। এই শ্রেণির লোকেরা সবসময় স্বল্পসংখ্যক সুবিধাভোগীর হাতে নিপীড়িত হয়। স্বয়ং নবী মুহাম্মদ (সা.) তাদের অন্তর্ভুক্ত। সোনার চামচ মুখে নিয়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেননি। তিনি সামান্য অর্থের বিনিময়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত মক্কাবাসীর বকরি চরিয়েছেন। ইমাম বোখারি (রহ.) এমন একটি হাদিসও উল্লেখ করেছেন। আর আল্লাহতায়ালা এমন কোনো নবী পাঠাননি, যিনি রাখাল ছিলেন না। আমরা ইতিহাস থেকে জানতে পারি, বেশিরভাগ নবী শ্রমজীবী ছিলেন। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সারাজীবন এতিম, বেওয়ারিশ ও মিসকিনদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে রেখেছিলেন। তিনি এতটুকু বলেছেন, আমার উম্মতের বেশিরভাগ মানুষ গোলাম, শ্রমজীবী ও এতিম হবে। তাদের বোঝা হালকা করার জন্য নিয়োজিতরা জান্নাতি।

কিন্তু আজকের সমাজে কী দেখি? মানুষ কিভাবে জালেমদের অত্যাচারে নির্বাক ও নিথর হয়ে অশ্রুবিসর্জন করছেন।

হজরত খাদিজা (রা.) হাদিসে আরও বলেন, ‘আপনি তো নিঃস্বদের আহারের ব্যবস্থা করেন, আপনি নিরন্ন মানুষের মুখে খাবার তুলে দেন, আপনি বিবস্ত্রদের কাপড় দেন, আল্লাহতায়ালা অবশ্যই আপনার কল্যাণ করবেন।

‘দরিদ্র, নিঃস্ব ও বুভুক্ষুরা আল্লাহর পরিবারের সদস্য’ বলে হাদিসে বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে হাদিসে কুদসিতে, আল্লাহ বলবেন কিয়ামতে- ‘হে বনি আদম! আমি ক্ষুধার্ত হয়ে তোমার নিকট গিয়েছিলাম তোমরা আমাকে খাবার দাওনি, লোকেরা বলবে তুমিতো আহার করো না, কিভাবে তোমায় আহার করাবো? আল্লাহ বলবেন, ক্ষুধার্তকে খাবার দান করা হলে আমাকে খাদ্য দেওয়া হতো।’ –সহিহ মুসলিম

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি রাসূলের জবানে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘তারা মুমিন নয়, যারা প্রতিবেশীকে ক্ষুধার্ত রেখে আহার করে।’ মিশকাত

নবী মুহাম্মদ (সা.) প্রতিবেশীদের খবর না নিয়ে, আসহাবে সুফফার লোকদের আহারের ব্যবস্থা না করে খাবার মুখে দেননি।

এখন তো বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ দু’বেলা আহার করতে পারে না, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে লাখ লাখ মানুষ। তাদের মুখে অন্ন ও পরিধানের বস্ত্র ও আর্তের চিকিৎসার জন্য আমাদের উদ্যোগী হতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কর্মনীতি কী ছিল? আমরা কোথায়, কী করছি, কোন ইবাদাতের মধ্যে জান্নাত খুঁজছি- এসব চিন্তা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, মানবতার সেবায়ই রয়েছে, আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি।

হজরত খাদিজা (রা.) আরও বলেন, ‘আপনি অতিথির সেবা করেন।’ কাবা শরীফ মক্কায় অবস্থিত বিধায় হাজার হাজার বছর থেকে কাবাকেন্দ্রিক বিভিন্ন এলাকা ও জনপদ থেকে তীর্থযাত্রীরা ভিড় জমাতো। কোরাইশ পৌত্তলিকেরা বিদেশিদের জীবন সম্পদ লুণ্ঠনের উৎসব করত বিশেষ করে হজ মৌসুমে। যদিও জাতিগতভাবে আরবিরা অতিথিপরায়ণ কিন্তু অসৎদের আর মূল্যবোধের বালাই থাকে না।

নবী মুহাম্মদ (সা.) বাল্যকাল থেকে অসহায় বিদেশি ও অতিথিদের সহায়-সম্পদ লুণ্ঠনের দৃশ্য দেখে আসছিলেন। হিলফুল ফুজুল সংগঠন সৃষ্টির উদ্দেশ্যও ছিল সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বিদেশিদের নিরাপত্তা দেওযা।

নবী করিম (সা.) হাদিসে ইরশাদ করেছেন, ‘কেউ যদি আল্লাহ ও পরকালের ওপর ঈমান আনে, সে যেন অতিথির সেবা করে।’ –সহিহ বোখারি

‘সত্যের পথে নির্যাতিতদের আপনি সাহায্য করেন’ হজরত খাদিজা (রা.)-এর এই উক্তিটিও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। হক ও ন্যায়ের পথে যারা যে যুগেই চলতে চেয়েছে, নিষ্ঠুর সমাজ তাদের চলার পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে। তাদেরকে জুলুম-নিপীড়ন নির্যাতনের বিষাক্ত কাঁটা মাড়িয়ে চলতে হয়েছে। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তোমাদেরকে (মুমিনদের) ভয়-ভীতি, ক্ষুধা, ধনসম্পদ, জীবন ও ফসলের ক্ষতি দ্বারা অবশ্যই পরীক্ষা করব, তুমি ধৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ দাও, যারা যেকোনো বিপদ-মুসিবতে বলে আমরা আল্লাহর কাছ হতে এসেছি এবং তারই নিকট ফিরে যাব।’ -সূরা বাকারা: ১৫৫

বস্তুত নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সামাজিক ও মানবীয় চরিত্র যা হজরত খাদিজা (রা.) বর্ণনা করেছেন, এগুলো উম্মতের জন্য শিক্ষা ও গ্রহণী বিষয়।

সুতরাং আমাদেরকে সমাজের অবহেলিত, নিপীড়িত মজলুমদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। দরিদ্র্য সীমার নিচে রয়েছে কোটি কোটি মানুষ। তাদেরকে সমাজের মূলস্রোতে আনতে চেষ্টা করতে হবে। নিরন্নদের মুখে অন্ন তুলে দিতে হেব। এগুলোকে ইবাদত মনে করতে সম্পাদন করতে হবে।

সেই সঙ্গে দেশি-বিদেশি অতিথি, পরিচিত-অপরিচিত সবার প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতার হাত বাড়াতে হবে। এটা মানবতার পরম শিক্ষা।

১৮ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। শেষ রাতে প্রথম সেহরি খাওয়া হবে।

এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা বয়ে আনে। সংযমের এ মাসে মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

;

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;

রোজা শুরু কবে, জানা যাবে সন্ধ্যায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে পবিত্র রমজান মাস কবে থেকে শুরু হবে এবং কোন রাতে খেতে হবে সেহেরি- তা জানা যাবে আজ সন্ধ্যায়।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পর্যালোচনা করে রোজা শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান ওই সভায় সভাপতিত্ব করবেন বলে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বুধবার বাংলাদেশের আকাশে কোথাও নতুন চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ নম্বরে ফোন করে কিংবা ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে জানাতে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চাঁদ দেখার তথ্য জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বুধবার চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। মুসলমানরা বুধবার রাতে তারাবি নামাজ পড়ে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখবেন।

আর বুধবার চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার থেকে এবং বৃহস্পতিবার রাতে হবে প্রথম তারাবি, শেষ রাতে সেহেরি খেতে হবে।

;